কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কাটোয়া-২ ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মী মনিকা সাহানা সহ দুই আশাকর্মী আনারকলি বিবি মল্লিক ও সুমিতা ঘোষ ওই গ্রামে শিশুদের টিকাকরণের কাজ করছিলেন। পাশাপাশি বাড়ির মহিলা ও তাঁদের স্বামীর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করেন। তাতেই বিপত্তি বাধে। অভিযোগ, আধারকার্ড চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন গ্রামের বাসিন্দা খেপে ওঠেন। এনআরসি আতঙ্কে তাঁরা ওই তিন স্বাস্থ্যকর্মীকে ঘিরে রাখেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের ফাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি কেড়ে নেন। এরপর খবর পেয়ে দীর্ঘক্ষণ পর গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
কাটোয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মজুমদার বলেন, আগে বিডিও মিটিং করে প্রত্যেক পঞ্চায়েত প্রধানদের এ ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। তখনই প্রধানদের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতার কথা বলেছিলেন। এখন যদি পঞ্চায়েত প্রধান সহযোগিতা না করেন তাহলে কী করে হবে। এটা যে এনআরসি ইস্যু নয়, সেটা বোঝানোর কাজ পঞ্চায়েত সদস্যদের। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রকল্পের জন্য সমীক্ষা চলছে।
আটকে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী মনিকা সাহানা বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো কাজ করছিলাম। গ্রামের কয়েকজন বিশিষ্টদের কাছে গিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্দেশমতো টিকাকরণের পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ করছিলাম। তখনই কিছু বাসিন্দা আমাদের বলেন, আমরা নাকি নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য এসব করছি। বোঝানোর চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। টেনে হিঁচড়ে আমাদের একটি জায়গায় আটকে রাখে।
ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি গ্রামেই শিশু বা তার মা ও বাবার তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সমীক্ষাও হচ্ছে। এসব রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশেই হচ্ছে। যাতে পরবর্তীকালে গ্রামীণ মহিলা বা তাঁর শিশুর সমস্ত তথ্যই স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে থাকে।
কাটোয়া-২ ব্লকের বিডিও শমীক পাণিগ্রাহী বলেন, আমরা সব পঞ্চায়েতের প্রধানদের বিষয়টি জানিয়েছি। তাছাড়া ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা পঞ্চায়েতকে না জানিয়েই গিয়েছেন। তবে, এখন আর কোনও অসুবিধা নেই। সমস্যা মিটে গিয়েছে।
এদিকে রামদাস গ্রামের বাসিন্দা রুখসোনা বিবি, হুমায়ুন কবীর বলেন, ওঁরা আমাদের কাছে এসে আধার কার্ড সংগ্রহ করছিলেন। এদিকে রাজ্য সরকার বলেছিল আধার কার্ড লাগবে না। তাই আমরা ভেবেছিলাম এনআরসি করতে এসেছে। তখন আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।
কাটোয়া-২ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ নিসার হোসেন শাহ বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা সরকারি কাজ করছিলেন। তাই তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। তখনই কিছু মানুষ ভুল বোঝেন। এখন সমস্যা মিটে গিয়েছে।