কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত যে সকল চাষির নামে নিজস্ব জমির ন্যূনতম নথিপত্র আছে। তাঁদের পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। সেই হিসেবে মহকুমার ৬টি ব্লকের মধ্যে পুরশুড়া ব্লকের ২৩টি, আরামবাগ ব্লকের ৪০টি, খানাকুল-১ ব্লকের ৩১টি, খানাকুল-২ ব্লকের ১৭টি, গোঘাট -১ ব্লকের ৪৭টি, গোঘাট-২ ব্লকের ২৬টি মৃত কৃষক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে চেক দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষিকাজে সহায়তার জন্য মহকুমার প্রতিটি ব্লকে কৃষক বন্ধুদের আর্থিক সাহায্যের চেক প্রদান চলছে। জানা গিয়েছে, যে সকল চাষির ন্যূনতম ২০ শতক কৃষি জমি রয়েছে তাঁরা এক হাজার টাকা পাচ্ছেন। ২০ শতক থেকে ৯৯ শতক পর্যন্ত জমি আছে এমন চাষিরা শতক পিছু ৫০ টাকা করে এবং ১০০ শতকের অধিক জমি আছে এমন চাষিরা পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন। সরকারিভাবে চাষিদের আর্থিক সাহায্য বছরে দু’দফায় দেওয়া হবে। বছরে দু’বার টাকা চাষের ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে লাগবে বলে চাষিরা জানিয়েছেন।
আরামবাগ মহকুমা মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। মহকুমার অধিকাংশ মানুষই চাষে বাসের কাজের সঙ্গে যুক্ত। বছরের বিভিন্ন সময় চাষিরা আলু, ধান ও সব্জি চাষ করে থাকেন। কৃষিকাজের জন্য সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বছরের বিভিন্ন সময় সুযোগ সুবিধা পাওয়ায় খুশি মহকুমার চাষিরা। খানাকুল-১ ব্লকের ঘোষপুর এলাকার বাসিন্দা খুকুমণি মুখোপাধ্যায় বলেন, বছর খানেক আগে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। চাষবাস করেই আমাদের সংসার চলত। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে অভাবের মধ্যে রয়েছি। স্বামীর মৃত্যুর পর কৃষি দপ্তরে আর্থিক সাহায্য পেতে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদন মতো এদিন দু’লক্ষ টাকার চেক পেয়ে অনেকটাই উপকৃত হয়েছি। আমার মতো এদিন অনেকেই দু’লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়েছেন।
গোঘাটের বালি এলাকার চাষি সুকুমার সামুই বলেন, গত বছর বুলবুলের কারণে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। যদিও পরে আমরা ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারি সাহায্য পেয়েছি। এছাড়াও কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে জমির পরিমাণ অনুযায়ী ব্লক অফিসের মাধ্যমে বছরে দু’দফায় মোট পাঁচ হাজার টাকা কৃষি সাহায্য পাওয়ার জন্য আবেদন জমা দিয়েছিলাম। এবছরের প্রথম দফার আড়াই হাজার টাকার চেক ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছি। এই টাকা চাষের কাজে লাগবে।