কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিক বলেন, প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে টিউশনি করা যাবে না বলে যে মুচলেকা আদায় করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে শিক্ষক সমাজকে অসম্মান করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষক টিউশনি পড়ান না। অথচ তাঁদেরও বাধ্যতামূলকভাবে ঘোষণাপত্র দিতে হবে। যাঁরা টিউশনি পড়ান, সরকারের দায়িত্ব তাঁদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া। সমষ্টির জন্য গোষ্ঠীকে দায়ী করে এভাবে মুচলেকা আদায় করা আসলে অসম্মান করা। তাই আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে এধরনের নির্দেশিকা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্পাদক সতীশ সাউ বলেন, কর্মরত শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি করাকে আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু, এনিয়ে সমস্ত শিক্ষককে মুচলেকা দিতে হবে কেন? আমি গৃহশিক্ষকতা করি না। তাহলে আমি মুচলেকা দেব কেন? এর ফলে আমাকে অসম্মান করা হল। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। স্কুল শিক্ষকদের কাছ থেকে এভাবে মুচলেকা আদায় করার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ফেব্রুয়ারি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(প্রাথমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড় একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। জেলায় সমস্ত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে সেল্ফ ডিক্লিয়ারেশন দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষকরা গৃহ শিক্ষকতা কিংবা কোনও ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলে মুচলেকা দিতে হবে। এই নির্দেশিকা ঘিরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শিক্ষক মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। একাধিক শিক্ষক সংগঠন প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে।