কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরিয়ান গত ৩০জানুয়ারি সেখানকারই বাসিন্দা এক নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে আসে। তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার পর পর্যটন কেন্দ্র দীঘায় চলে আসে। নাবালিকাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে স্থানীয় কোতোয়ালি থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন তার বাড়ির লোকজন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে কোতোয়ালি থানার পুলিস তদন্তে নামে। সেখানকার পুলিস টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাকিং সহ নানা সূত্র ধরে বুধবার দীঘায় আসে। তারপর দীঘার একটি হোটেল থেকে যুবককে গ্রেপ্তার এবং নাবালিকাকে উদ্ধার করে।
অন্যদিকে, খেজুরিতে বিবাহিতা অবস্থায় এক নাবালিকাকে উদ্ধার করল পুলিস-প্রশাসন। পাশাপাশি নববিবাহিত বধূকে উদ্ধার করে ভগবানপুরের পাঁউশির একটি হোমে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার খেজুরির টিকাশি এলাকার এক নাবালিকার সঙ্গে খেজুরির মুকুটশীলা গ্রামের এক যুবকের বিয়ে হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পারে ব্লক প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যায় পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে যুবকের বাড়িতে হাজির হন বিডিও তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেখান থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর স্থানীয় হেঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ডেকে নাবালিকার পরিবার ও যুবকের পরিবারের লোকজনকে সর্তক করা হয়। নাবালিকার বাবা-মা মুচলেকা দিয়ে জানান, ১৮বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটি হোমেই থাকবে। তারপর তাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হবে।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকাটি দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পরিবারের লোকজনের চাপে সে বিয়ে করতে বাধ্য হয় বলে প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে জানায়। বিডিও বলেন, যেহেতু এই বিয়ে আইনসিদ্ধ নয়, তাই নাবালিকাটিকে হোমে পাঠানো হয়েছে। সে যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, তার জন্য প্রশাসনের তরফে সবরকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। হেঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলাঞ্জন মাইতি বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগে মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।