কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
২০১৩ সালে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন স্বরূপ দত্ত। ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় এই পুরসভার। ২৩ অক্টোবর বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক পুষ্পেন্দু সরকারকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পুরবোর্ড না থাকায় টানা দেড় বছর দুর্ভোগে পড়তে হয় নাগরিকদের। সামান্য ঠিকানার শংসাপত্র জোগাড় করতে ছুটতে হচ্ছে পুরসভায়। তারজন্য এফিডেভিট করতে হচ্ছে। সেই কাজে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দিনভর নাকাল হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। ৩৫টি ওয়ার্ডবিশিষ্ট এই পুরসভায় নানা কাজে প্রতিদিনই ভিড় জমান বহু মানুষ। এছাড়া জল, নিকাশি, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটের মতো নাগরিক পরিষেবার কাজও আছে। তাই পুরবোর্ড না থাকায় স্বভাবতই বেগ পেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। তবে, হাজার ঝক্কি সামলে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগী হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।
বর্ধমান পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার অমিত কুমার গুহ বলেন, নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে কাজ হচ্ছে। ১৫০টি রাস্তা পুনর্নির্মাণ হয়েছে। শহরকে স্বচ্ছ রাখতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের জন্য আম্রুত প্রকল্পের কাজ চলছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞ দল এলাকা পরিদর্শন সেরে গিয়েছে। দামোদর নদ থেকে জল আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড় নালাগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। শহরকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সীমিত কর্মীর মাঝেই প্রতিদিন বহু মানুষকে শংসাপত্র দেওয়ার কাজ হচ্ছে। দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, আইন মেনে পরিষেবা দেওয়ার কাজ চালাচ্ছে পুরসভা। উন্নয়নমূলক কাজ কোথাও থমকে নেই।
বর্ধমান পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শেখ জামির হোসেন বলেন, রাস্তা, জল, নিকাশির সমস্যা না থাকলেও শংসাপত্র জোগাড় করতে ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে। সময়ও লাগছে বিস্তর। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমর ভৌমিক বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে কোনও সমস্যা নেই। রাস্তাগুলিতে নিয়মিত সাফাই অভিযান চালানো হয়।
প্রশাসক দিয়ে কাজ চললেও স্থায়ী পুরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পুরভোটের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন শহরবাসী। ভোটের ফলপ্রকাশের পর স্থায়ী পুরবোর্ড গঠন হলে তবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।
যদিও বর্ধমান পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ এই প্রথম নয়। স্বাধীনতার পর এনিয়ে মোট ৫ বার প্রশাসক বসানো হয়েছে। বেশ কয়েকবছর ধরে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালানোর ঘটনাও ঘটেছে।