ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি থেকে কচুজোড় স্টেশনের মাঝে ১৯ নম্বর গেটে রেলওয়ে ট্র্যাকের কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। সিউড়ি স্টেশনের এক আধিকারিক বলেন, রবিবার সকাল ৮টা ৪৫মিনিট থেকে থেকে দুপুর ২টো ৪৫মিনিট পর্যন্ত কাজ হয়েছে। সেজন্য ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ও সিউড়ি-প্রান্তিক এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল করেছে। তবে, ময়ূরাক্ষীর পর অণ্ডাল পর্যন্ত ট্রেনগুলি বাতিল ছিল। স্টেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, রেল ট্র্যাকের সংস্কারের কাজ করা হবে, সেজন্য ট্রেন বাতিলের খবর তিন-চারদিন আগে থেকেই প্রচার করে জানানো হয়েছে। তার ফলে যাত্রীরা আর স্টেশনে আসেননি। তবে, যাঁরা জানতেন না তাঁরা এদিন স্টেশনে এসে ঘুরে গিয়েছেন। স্টেশনের এক আধিকারিক বলেন, ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সংস্কার প্রয়োজন। তাই তা যাত্রীদের জানিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
সিউড়ি রেলযাত্রী সংগঠনের পক্ষে সুব্রত ভাণ্ডারি বলেন, রেলের তরফে কাজ করা হবে বলে আগেই নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই খবর আমরা জানতাম। কিন্তু যাঁরা জানতেন না তাঁদের দুর্ভোগ হওয়াটা স্বাভাবিক। সংগঠনের আর এক কর্তা জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বোলপুর রুটেও এরকম রেলওয়ে ট্র্যাকের কাজ করা হচ্ছিল। সেইমতো এখানেও হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য রেলকে কাজ করতেও হবে।
অন্যদিকে, গত শনিবার রাত ৮টা থেকে সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারেজের ব্রিজে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কাজ করায় ভারী যানগুলিকে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, ছোট গাড়িগুলি একটি লেন দিয়ে যাতায়াত করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিলপাড়া ব্রিজে কাজের জন্য সেখান থেকে প্রায় কড়িধ্যা পর্যন্ত যানজট হয়ে যায়। তবে, ছোট গাড়িগুলির যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল।
ওই রাত থেকে কাজ করার জন্য ট্রাফিক পুলিসের তরফেও যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর নাগাদ কাজ চলাকালীন সংশ্লিষ্ট সংস্থার সামগ্রী ফুরিয়ে যাওয়ায় কাজে দেরি হয়।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিজের রাস্তার কাজ করার জন্য রবিবার রাতকে বেছে নেওয়া হয়। সেজন্য ভারী যানগুলি সিউড়ির লম্বোদরপুর হয়ে ঝাড়খণ্ডের রানিশ্বর থেকে ফের মহম্মদবাজারের খয়রাকুড়িতে সংযোগ করানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু, বহু পণ্যবাহী লরি ওই রুটে যায়নি। তারফলে যানজটের পরিমাণ বেড়েছে। তার সঙ্গে জাতীয় সড়কে ধুলোর জন্য সাধারণ মানুষকে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়।
যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে তিলপাড়া ব্রিজের কাজ করা হয়েছে। অতি দ্রুততার সঙ্গে সেই কাজ করা হয়েছে। জেলার অন্যান্য সেতুগুলিতেও এভাবেই সংস্কারের কাজ করা হবে।
৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নিশিকান্ত সিং বলেন, নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হয়েছে। কোনও দুর্ভোগ হয়নি। সকালে সামান্য যানজট হয়েছে। পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিসের তরফে সহযোগিতা পাওয়া গিয়েছে।