ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
লালবাগে আত্মীয়ের বাড়িতে এসে ফেরার জন্য ভুটভুটিতে উঠেছিলেন রেখা দে। তিনি বলেন, মাঝ ভাগীরথীতে সত্যিই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল ভুটভুটি যেন ডুবে যাবে। এত ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার করানো উচিত নয়। যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা হয়ে যাবে।
লালবাগ থেকে মুর্শিদাবাদে আসছিলেন সজল মণ্ডল। তিনি বলেন, প্রতিবাদ করার কেউ নেই। ভারী যানবাহন তুললে ভুটভুটি এমনিতেই একদিকে হেলে যায়। তার উপর আবার অতিরিক্ত যাত্রীও তোলা হয়। কাউকে লাইফ জ্যাকেটও দেওয়া হয় না। কোনও অঘটন হলে তার দায় কে নেবে। ভুটভুটিতে মাহিলা, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা এবং শিশুরাও থাকে। আরেক যাত্রী বলেন, প্রতিদিনই ঘাটগুলিতে নিয়ম ভেঙে যাত্রী পারাপার করানো হয়। জিয়াগঞ্জ সদরঘাটেও হামেশাই এই দৃশ্য দেখা যায়। ভারী গাড়ি তুলে অনেকেই আজিমগঞ্জে যায়। আবার ওপার থেকেও একইভাবে ভুটভুটিগুলি এপারে আসে। গাড়িতে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র বোঝাই করেও নদী পার করানো হয়। বাড়তি লাভের জন্য দিনের পর দিন এসব করা হচ্ছে। প্রশাসনের বিষয়টি দেখা উচিত।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে পরিবহরণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জিয়াগঞ্জে ভাগরথীর একটি ঘাটে আচমকা পরিদর্শনে গিয়ে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারপার চলছে। যাত্রীরা বলেন, ভারী গাড়িগুলি ভুটভুটিতে তোলা বন্ধ করা উচিত। খরচ বাঁচানোর জন্য চালকরা ঘুরপথে না গিয়ে ভুটভুটিতে গাড়ি তুলে পারাপার করছেন। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, বিষয়টি দেখছি। নিয়ম ভাঙলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।