উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
মৃতার পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ টিউশনি সেরে বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্রী। অভিযোগ ওই গ্রামের বাসিন্দা মনু মণ্ডল, অমর বিশ্বাস, ভোলা বিশ্বাস, শক্তি মণ্ডল মোটা টাকার চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নদীয়ার পলাশীপাড়া থানার সাহেবনগর গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের এক আত্মীয়ের নির্জন বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং জোর করে সিঁদুর পরিয়ে দেয় মনু। তাদের বিয়ে হয়েছে বলে মনুর পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রামে জানানো হয়। ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা ফিরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই ছাত্রীর পরিবার মেয়েকে ফিরে পেতে বেলডাঙা থানার দ্বারস্থ হয়। বেলডাঙা থানার পুলিস অভিযুক্তের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করলে শুক্রবার ওই ছাত্রী সহ অভিযুক্তরা থানায় হাজির হয়। থানা থেকে ছাত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় তার পরিবার। পুলিস মূল অভিযুক্ত মনু মণ্ডল সহ তিনজনকে আটক করে। কিন্তু কোনও লিখিত অভিযোগ না হওয়ায় মনুকে রেখে বাকি দু’জনকে শনিবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়। মৃত ছাত্রীর জেঠিমা বলেন, এদিন সকালে ওদের ছেড়ে দেওয়ার খবর শোনার পরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
মৃতার বাবা বলেন, বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার পর থেকেই ও মনমরা হয়ে ছিল। সকালে ওদের ছেড়ে দেওয়ার খবর শোনার পরেই ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। ঘণ্টাখানেক পরও বেরচ্ছে না দেখে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে দেখা যায়। গ্রামের বাসিন্দা অমর মণ্ডল বলেন, আমরা অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। বেলডাঙা থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, অভিযোগ না হওয়ায় ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ হলে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত করা হবে।