উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় রাজমিস্ত্রি পরিতোষ তাঁর স্ত্রী তৃপ্তিকে নিয়ে থাকতেন। পাশাপাশি পরিতোষবাবুর দুই দাদা-বউদিও থাকেন। স্থানীয় যুবক শিবু ঘোষ প্রায়ই পরিতোষের স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। পরিতোষ তার প্রতিবাদ করতেন। কয়েক দিন আগে আবার শিবু ঘোষ পরিতোষের স্ত্রীকে কু প্রস্তাব দেয়। রাজমিস্ত্রির কাজ থেকে ফিরে এসে স্ত্রীর কাছে সমস্ত কথা শুনে পরিতোষবাবু তার প্রতিবাদ করেন। শিবু সবকিছু শুনে তখনকার মতো চলে আসে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে শিবু পরিতোষবাবুদের বাড়িতে মদের আসর বসাতে চায়। পরিতোষ শিবুর এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর শিবু রেগে ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যার সময় পরিতোষ রাজমিস্ত্রির কাজ থেকে বাড়ি ফিরে খাওয়ার পর অন্য কয়েকজনের সঙ্গে একটি ঘরে বসেছিলেন। তাঁকে ওই ঘরে বসে থাকতে দেখে শিবু একটি রামদা নিয়ে রাস্তার সামনে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। উত্তেজিত ভাষায় চিৎকার করতে থাকে। কিছুক্ষণ এভাবে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে হঠাৎ শিবু ওই ঘরে ঢুকে পরিতোষবাবুর মাথায় কোপ মারে বলে অভিযোগ। মাথায় আঘাত পেয়ে পরিতোষবাবু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আবার সে পেটে আর একটি কোপ মারে। এরপর শিবু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির লোকজন পরিতোষবাবুকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। সেখান থেকেও চিকিৎসক তাঁকে কলকাতায় রেফার করেন। কলকাতা যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিতোষের বউদি ছায়া বৈরাগ্য তেহট্ট থানায় শিবু ঘোষের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে পুলিস কিছু নমুনা সংগ্রহ করে। পুলিস অভিযুক্তের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে। তবে অভিযুক্তকে পুলিস এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পরিতোষের বউদি সান্ত্বনা বৈরাগ্য বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার সময় আমি ভাত চাপিয়ে বাড়ির সামনের দিকে যাই। তখন দেখি শিবু ঘোষ সাইকেল করে বাড়ি যাচ্ছে। তখনই সে দেওরকে উদ্দেশ করে গালিগালাজ দিচ্ছিল। তারপর ও বাড়িতে সাইকেল রেখেই একটি রাম দা নিয়ে ছুটে আসে। পিছন পিছন শিবুর বউ ও মেয়ে আসে। কিছু বোঝার আগেই শিবু রাম দা দিয়ে দেওরের মাথায় কোপ মারে। ও পড়ে গেলে আবার পেটে কোপ মারে। এই দেখে আমরা বাড়ির সকলে ভয় পেয়ে যাই। আমাদের চিৎকারে শিবু পালিয়ে যায়।
মৃতের দাদা সঞ্জয় বৈরাগ্য বলেন, শিবু প্রায় আমাদের বউমাকে কুপ্রস্তাব দিত। পরিতোষ ও বউমা দু’জনেই এর প্রতিবাদ করত। বৃহস্পতিবার শিবু পরিতোষের বাড়িতে মদের আসর বসাতে চাইলে তা প্রত্যাখ্যান করে পরিতোষ। সেই রাগেই শিবু পরিতোষকে খুন করেছে। আমরা দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি চাই। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।