উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
বর্ধমান শহর থেকে অল্প দূরেই শ্রীরামপুর হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে অবসর নিয়েছেন। বর্ধমান শহরের শ্রীপল্লি বেচারহাট এলাকায় বাড়ি। স্ত্রী তপতী পান গৃহবধূ। তাঁর দুই মেয়ে অমৃতা পান এবং ঈশিতা পানের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। শরীর সুস্থ রাখতে ৫৫ বছর বয়সে হরিদ্বারে রামদেবের যোগ শিবির থেকে বাড়িতে ফিরে তিনি যোগাসনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তারপর ২০০৯ সালে যোগা কোচ ডাঃ সুব্রত সরকারের কাছে তিনি প্রশিক্ষণও শুরু করেন। স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং তাঁর কোচের নিয়মিত অনুপ্রেরণায় ২০০৯ সালেই তিনি প্রথমবার জেলাস্তরের যোগা চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন। প্রথমবার অংশ নিয়েই তিনি জেলাস্তরে তৃতীয় হয়েছিলেন। ওই বছর রাজ্যস্তরে অংশ নিয়েও চতুর্থ হন। তারপর একাধিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন তিনি। আন্তর্জাতিকস্তরের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং জাতীয়স্তরের ন্যাশনাল যোগা চ্যাম্পিয়নশিপেও অংশ নিয়েছেন বহুবার। প্রতিবারই কোনও না কোনও স্থান দখল করেছেন।
অবসরের পর তিনি বাড়িতে বসে থাকেননি। নিয়মিত যোগা প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৯ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত রাজস্থানের জয়পুরে জাতীয়স্তরের এই ‘সিনিয়র ন্যাশনাল যোগাসন স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ’ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল যোগা অ্যাসোশিয়েশন’ থেকে ৪৫ উর্ব্ধ সিনিয়র দলে অংশ নেন। সেখানে ভারতবর্ষের কমবেশি সমস্ত রাজ্যের প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন। তিনি প্রথম স্থান দখল করে সোনার পদক ছিনিয়ে নেন। গত শুক্রবারই রাজস্থান থেকে তিনি বর্ধমান শহরে ফিরেছেন। তাঁকে নিয়ে এলাকার মানুষের উচ্ছ্বাসও তুঙ্গে। মাত্র দু’মাস আগেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে এশিয়ান যোগায় ব্রোঞ্জ জেতার পর ন্যাশনালে সোনা পাওয়ায় তাঁর পরিবারে খুশির ঝলক।
পীযুষকান্তিবাবু বলেন, আমি আগে কোনওদিনই যোগা শিখিনি। বয়স বাড়ছিল। শরীরে অসুখ-বিসুখ হচ্ছিল। তার জন্য রামদেবের যোগ শিবিরে গিয়েছিলাম। তারপর যোগার প্রতি ভালোবাসা জন্মে যায়। সেই যোগা করতে করতে এতদূর যে পৌঁছে যাব তা কোনওদিনই ভাবিনি। তিনি বলেন, এর আগে অনেক পদক পেয়েছি। কোনওদিন সোনা পাইনি। তাই এবার আরও বেশি আনন্দ হচ্ছে। যোগার দৌলতে আমার শরীর এখনও পুরো ফিট। প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছি। এবার আমার লক্ষ্য, আন্তর্জাতিক এশিয়ান যোগা চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে সোনা নিয়ে আসা।