গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
বিমলেন্দুবাবু বালিয়াডাঙা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। তারপর তিনি লেখাপড়ার জন্য কৃষ্ণনগরে যান। সেখানে তিনি সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। এরপর তিনি শিক্ষকতায় যুক্ত হন। ২০১৭ সালে তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান। এছাড়া, তিনি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পান। ছোট থেকেই তিনি রাজনৈতিক পরিসরে বেড়ে উঠেছেন। তাঁর রাজনীতি নিয়ে উৎসাহ ছিল প্রচুর। তিনি বাবা-দাদুদের কাছে প্রথম রাজনীতির হাতেখড়ি। পরিবারের সকলে কংগ্রেস করতেন। তিনি কংগ্রেসের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তখন থেকেই দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি নদীয়া জেলার তৃণমূল জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক। বর্তমানে তিনি নদীয়া জেলার উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিলের সদস্য। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার করিমপুরে একটি মিছিলে তিনি হাঁটবেন। সেখানে কৃষ্ণনগরের সংসদ সদস্য ও করিমপুরে প্রাক্তন বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের উপস্থিত থাকার কথা। বিমলেন্দুবাবু বলেন, গত বিধানসভায় আমাদের দলের যা মার্জিন ছিল তা এবার আরও বাড়বে। আমি জেতার বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। এবিষয়ে করিমপুর -১ ব্লকের সভাপতি তরুণ সাহা বলেন, দল বিমলেন্দুবাবুকে প্রার্থী করায় আমরা খুশি। তাঁকে জেতানোর জন্য আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব। করিমপুর-২ ব্লকের সভাপতি আজিজুর রহমান মল্লিক বলেন, এবার আরও বেশি ভোটে আমরা জিতব।
অন্যদিকে, স্থানীয় প্রার্থীর উপর ভরসা রেখেছে কংগ্রেস-সিপিএম জোট। এদিন প্রার্থী হিসাবে করিমপুর -২ ব্লকের সাদিপুর পরানপুর এলাকার তরুণ আইনজীবী গোলাম রাব্বির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বছর একচল্লিশের গোলামবাবু কলেজ জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বর্তমানে তেহট্ট মহকুমা আদালতে ওকালতি করেন।
সাধারণ পরিবারের ছেলে গোলাম রাব্বি ১৯৯৪ সালে সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর তিনি বেতাই ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন। সেখান থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। রাজনীতির প্রথম দিন থেকেই তিনি বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। কলেজ জীবনে এসএফআই করেছেন। বেতাই থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে তিনি আমতলা কলেজে কলা বিভাগে পাশ কোর্সে ভর্তি হন। সেখানেও তিনি এসএফআই রাজনীতি শুরু করেন। স্নাতক হয়ে তিনি ওড়িশার ভুবনেশ্বর উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল’ পাশ করেন। পরবর্তীকালে যুব ফেডারেশনের সম্পাদকও হন। তিনি গণতান্ত্রিক আইনজীবী সংগঠন করেন।
সিপিএম কংগ্রেস জোট করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নতুন মুখ ও তারুণ্যের উপর ভরসা রাখল বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। তিনি বলেন, করিমপুর বিধানসভার মানুষ সিপিএমকেই বেশি ভরসা করে। গত বিধানসভা নির্বাচনে কী হয়েছে তা ভাবছি না। আমি জেতার বিষয়ে আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, এখানে আমাদের ভোট যেমন আছে তেমন কংগ্রেসের ভোট আছে। কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের প্রচার কীভাবে হবে তা দল ঠিক করবে। সেইমতো আমরা প্রচার করব। করিমপুরের মানুষ রাজ্যে তৃণমূল সরকারকে দেখছে আবার কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে দেখছে। তাঁরা বুঝেছে, যে সাধারণ মানুষের কথা একমাত্র ভাবে বামফ্রন্টই। তাই এবার সাধারণ মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়ে জয়ী করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আজ থেকেই আমি কর্মীদের সঙ্গে বসতে শুরু করছি। কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তারক সরখেল বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোট প্রার্থীর হয়ে প্রচার করব। অন্যদিকে, সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক আশাদুল শেখ বলেন, করিমপুর উপনির্বাচনে এবার আমাদের প্রার্থীই জিতবে। আমরা খুব শীঘ্রই প্রচার শুরু করব।