বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
এদিন ঘটনার খবর পেয়ে বংশীহারি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। তারা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। দীর্ঘক্ষণ ধরে অবরোধ চলার পর বুনিয়াদপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুণ্ডু ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুরসভার কর্মীদের নিয়ে। তিনিও কথা বলে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে পারেননি। অবশেষে গঙ্গারামপুর মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনতোষ মণ্ডল ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর এলাকাবাসীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে মহকুমা শাসকের দপ্তরে আলোচনা করা হয়। শেষমেষ অবরোধ উঠে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা তৈরি হওয়ার পরেও নারায়ণপুর থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি রাস্তা এখনও কাঁচা। সেই রাস্তার কিছু অংশ অবশ্য প্রতিবেশী গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেও রয়েছে। পুরসভা সেই রাস্তার সংস্কারও করে না। বর্ষায় দুর্ভোগ চরমে ওঠে। পুরসভাকে সমস্যার কথা জানানোর পরেও কোনও কাজ না হওয়ায় তাঁরা অবরোধ করেছেন।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন বলেন, আমি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি। এদিন ঘটনাস্থলে ভাইস চেয়ারম্যান ও পুরসভার কর্মীরা গিয়েছিলেন। পুর এলাকার মধ্যে যে এক কিমি রাস্তা রয়েছে, তার সংস্কার হয়নি। সংস্কারের জন্য আবেদন করেছি। লকডাউনের জন্য অফিস বন্ধ থাকার কারণে কাজ হয়নি। অফিস এখন খুলেছে। সবুজ সঙ্কেত পেলে আমরা টেন্ডার করে রাস্তার কাজ করব। গত আর্থিক বর্ষে ৬৬ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে ওই এক নম্বর ওয়ার্ডে। সমস্ত তথ্য আমি মহকুমা শাসককে জানিয়েছি।
গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র দেবনাথ বলেন, পুরসভার কর্মী ও ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। পুরসভাকে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের বিষয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
নারায়ণপুরের বাসিন্দা স্বপন ধর বলেন, চেয়ারম্যান রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেন না। মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন করেছি আমরা। তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় এদিন অবরোধ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান আমাদের জানিয়েছেন, যে আমাদের ওয়ার্ডে নাকি অনেক কাজ হয়েছে। এখন আর কাজ হবে না। এদিকে বর্ষায় প্রতিদিন ওই বেহাল রাস্তার কারণে পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। হাঁটু পর্যন্ত কাদা ঠেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাস্তা সংস্কার নিয়ে মহকুমা শাসক আমাদের প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছেন। তারপর আমরা অবরোধ তুলেছি।