বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহ, হবিবপুর, গাজোল, চাঁচল-১ ও হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকে মোট পাঁচটি ভ্রাম্যমান ধান ক্রয় কেন্দ্র চালু হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের ফলে সরাসরি কৃষকদের কাছে পৌঁছতে পারছেন খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এবিষয়ে জেলার খাদ্য নিয়ামক পার্থ সাহা বলেন, কৃষকদের সুবিধার দিকে তাকিয়ে, কার্যত তাঁদের বাড়ির দোরগোড়া থেকে ধান কেনার জন্য ভ্রাম্যমান ধান ক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এই পরিষেবা আপাতত পাঁচটি ব্লকে মিলবে। কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ধান এই ভ্রাম্যমান কেন্দ্রে এনে বিক্রি করতে পারবেন। কবে কোন এলাকায় এই গাড়ি আসবে তা আমরা ব্লক প্রশাসনকে আগে থেকেই জানিয়ে দেব। সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসের তরফে এলাকায় সেব্যাপারে প্রচার করা হবে। তারপরে ধান ক্রয় কেন্দ্র এলাকায় পৌঁছে যাবে। ইতিমধ্যেই পাঁচটি ব্লকে এই নতুন ব্যবস্থায় ভালো সাড়া মিলেছে।
চাঁচল-১ ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বলেন, আগে কৃষকদের ধান বিক্রি করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে। সেজন্যও তাঁদের কিষাণ মাণ্ডি যেতে হবে না। এলাকাতেই আগে থেকে ব্লক অফিসের তরফে প্রচার করা হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশনের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারপর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরে ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান ওই ধান ক্রয় কেন্দ্র পৌঁছে যাচ্ছে। সেখানে কৃষকরা রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে ধান বিক্রি করছেন।
এছাড়া জেলাজুড়ে এখনও সব ক’টি সেন্ট্রালাইজড পারচেজ সেন্টার (সিপিসি ) খোলা রয়েছে। যে সমস্ত কৃষক সিপিসি-তেই ধান বিক্রি করতে চান, তা তাঁরা করতেই পারেন এখনও। তবে ওই পাঁচটি ব্লকের যে সমস্ত কৃষক সিপিসি-তে যেতে চাইছেন না, বা যেতে সমস্যায় পড়ছেন, তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা। এতে সিপিসিগুলিতে ভিড় এড়ানো যাবে। করোনা ভাইরাসের আবহে জমায়েত যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা খাদ্য দপ্তর এবছর দুই লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ইতিমধ্যে দুই লক্ষ মেট্রিক টনেরও বেশি পরিমান ধান কিনে ফেলেছে তারা। কৃষকেরা জানান, এই নতুন ব্যবস্থাপনায় করোনার মধ্যে কিষাণ মাণ্ডিতে ধান নিয়ে দৌড়তে হচ্ছে না। পরিবহণ খরচও অনেক বেঁচে যাচ্ছে। এই ব্যবস্থা আরও আগেই চালু করা প্রয়োজন ছিল।