যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, এক্সিট পোলকে আমরা পাত্তাই দিচ্ছি না। এক্সিটপোল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা আগেও বলেছিলাম আবার বলছি আলিপুরদুয়ারে লক্ষাধিক ভোটেই জিতব। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এক্সিট পোলের গোটা হিসাবটাই ভুয়ো। ওরা কি সব জ্যোতিষী হয়ে গিয়েছে নাকি? বিগত দিনেও এই ধরনের এক্সিট পোলে নানা হিসাব দেখানো হয়েছিল। তখনও হিসাব মেলেনি। এবারও মিলবে না। আমরাই জিতব। দু’লক্ষ ভোটে জিতব। নানা ধরনের চক্রান্ত করার জন্য এই সব এক্সিট পোলের হিসেব হাজির করা হচ্ছে। বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, এক্সিট পোলের হিসেব তৃণমূলের অনুকুলে গেলে ওরা বলত এই ধরনের সমীক্ষা একেবারে যথার্থ। এখন ওই হিসেব বিপক্ষে গিয়েছে বলে ওরা বলছে এসব ভুয়ো। আমরা জেতার ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত। বুথভিত্তিক যে রিপোর্ট এসেছে তার ভিত্তিতেই আমরা একথা বলছি। এবার সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে বর্জন করেছে।
কিন্তু তৃণমূলের বিপক্ষে কেন যাচ্ছে বুথ ফেরৎ সমীক্ষার রিপোর্ট? রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা জুড়ে সন্ত্রাসের বদলা নেওয়ার জন্য এবার বাসিন্দারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। এতে তৃণমূলের কপাল কিছুটা পুড়েছে। তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব, এক শ্রেণির নেতা কর্মীর অন্তর্ঘাতের প্রবণতা দলকে আরও বিপাকে ফেলতে পারে। অন্যদিকে দলীয় সূত্রে খবর, জেলা জুড়ে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়া সত্ত্বেও বামফ্রন্ট থেকে আসা পরেশ অধিকারীকে প্রার্থী হিসাবে দলেরই অনেকে মেনে নিতে পারেননি। অসন্তোষের সেই চোরাস্রোত এবার নির্বাচনের দিনও দেখা গিয়েছে। এর জেরেই ফলাফল দলের বিপক্ষে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে জেলা নেতৃত্বের মতে, গতবারের চার লক্ষ ভোটের ব্যবধানকে টপকে জয় হাসিল করবে বিজেপি এটা কিছুতেই হতে পারে না।
রবিবার সন্ধ্যায় বুথ ফেরৎ সমীক্ষার হিসাবে কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারীকে প্রথম পর্বে সম্ভাব্য বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর জেরে তৃণমূল শিবিরের মধ্যে স্বস্তি এলেও বিজেপির পার্টি অফিস কার্যত গুমোট চেহারা নেয়। মনমরা হয়ে গিয়েছিলেন পার্টি কর্মীরা। দলের জেলা নেতৃত্বও দিশেহারা অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন। তবে এরপরই ওই সমীক্ষার রিপোর্টে কিছুটা বদল এনে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে সম্ভাব্য জয়ী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এর জেরে বিজেপি শিবিরে কার্যত বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করে। উৎসবের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। ২৩ মে’র ফলাফল যাই হোক বুথ ফেরৎ সমীক্ষার রিপোর্ট দেখে যথেষ্ট স্বস্তিতে রয়েছে গেরুয়া শিবির। নেতৃত্বরা চাইছেন এই স্বস্তি যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়। এক্সিট পোলের রিপোর্ট যেন সত্যি হয় ইষ্ট দেবতার কাছে এমন প্রার্থনাও করছেন নেতৃত্বের একাংশ।
অন্যদিকে এক্সিট পোলের হিসেব প্রকাশিত হওয়ার পরেই তৃণমূল শিবিরে যেন কালবৈশাখী ঝড়ের আগের মুহূর্তের চেহারা নিয়েছে। সত্যি কি মিলে যাবে এক্সিট পোলের হিসেব? এটাই এখন দলের অন্দরে চর্চার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে হেরে গেলে কি দশা হতে পারে তা নিয়েও আলোচনা চলছে।