কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
দুই দেশের মধ্যে যৌথ প্রকল্পের প্রসারে বৃহস্পতিবার তৈরি হয়েছে একটি সাব- ওয়ার্কিং গ্রুপ (এসডব্লুজি)। প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত ও ইজরায়েলের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের অধীনে কাজ করবে এই নয়া সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপ। নেতৃত্বে থাকছেন দুই দেশের প্রতিরক্ষা সচিব। সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপের কাজ হবে প্রযুক্তির আদানপ্রদান, যৌথভাবে অত্যাধুনিক অস্ত্র গড়ে তোলা ও তার উৎপাদন, প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নতুন উদ্ভাবনের পথ প্রশস্ত করা ও উৎপাদিত যুদ্ধাস্ত্র বন্ধু দেশগুলিতে রপ্তানির ব্যবস্থা করা।
গত দু’দশক ধরে ইজরায়েল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কিনছে ভারত। প্রতি বছর ইজরায়েল থেকে গড়ে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র আসে। শুক্রবার প্রবীণ এক সরকারি কর্তা বলেন, এখন ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পও অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফলে এখন সহযোগিতার ভিত্তিতে যৌথভাবে অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে দুই দেশই। ক্ষেপণাস্ত্র, সেন্সর, সাইবার নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের বিভিন্ন সাব-সিস্টেম গড়ে তোলার নিরিখে ইজরায়েল বিশ্ব সেরা।
ঘটনাচক্রে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে নেক্সট-জেনারেশন ভূমি থেকে আকাশ বারাক-৮ মিশাইল সিস্টেম। এই মিশাইল সিস্টেম গড়ে তোলা হয়েছে ভারতের ডিআরডিও ও ইজরায়েলি এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের (আইএআই) যৌথ উদ্যোগে। এই প্রকল্পের খরচ ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি এআইএ, রাফায়েল অ্যাডভান্স ডিফেন্স সিস্টেম, এলিবিট ও এলটা সিস্টেমসের মতো ইজরায়েলি সংস্থা ভারতীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তুলছে। ইতিমধ্যেই এরকম সাতটি যৌথ উদ্যোগ গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে গত বৃহস্পতিবারই ইজরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্স ডিফেন্স সিস্টেম ও ভারতীয় সংস্থা কল্যাণী গোষ্টার মধ্যে এক মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এবার দুই দেশের মধ্যে সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে যৌথভাবে প্রতিরক্ষা উৎপাদন আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হল।