কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
গালওয়ান-পর্বের অনেক আগে থেকেই চীনা বাহিনীর নজরে ছিল ডোকলাম। চীন-ভুটান সীমান্তের একাধিক সেক্টরে বহুদিন ধরেই তৎপর তারা। আপাতত সেখানকার পশ্চিম সেক্টরে ৩১৮ বর্গ কিমি এলাকা ও মধ্য সেক্টরের ৪৯৫ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে আধিপত্য বিস্তারে চীন উঠেপড়ে লেগেছে। ওইসব এলাকায় চলছে নিয়মিত টহলদারিও। পাশাপাশি সেনা মোতায়নে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে। ‘স্ট্র্যাটফর’-এর তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের আসল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ভারতীয় সেনার উপর চাপ বাড়ানো। আগামী দিনে সংঘর্ষ বাঁধলে এই পরিকাঠামোকে পুরোদস্তুর কাজে লাগাবে লাল ফৌজ। তাই বাড়তি নিরাপত্তা ও রসদ জোগাতেই আগেভাগে সামরিক ঘাঁটি তৈরিতে জোর দিয়েছে তারা।
ভারত-চীন সীমান্তজুড়ে এই পরিস্থিতির মধ্যেই ফের দু’দেশের সামরিক পর্যায়ে ষষ্ঠ দফার বৈঠক হয়। সোমবার লাদাখের পূর্বাঞ্চলের মোল্ডো এলাকায় দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। সকাল ন’টা থেকে রাত ১১টা। দু’দেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেলদের মধ্যে সীমান্ত-সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা হয়। ভারতের হয়ে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। আলোচনার ফলাফল নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। তবে সূত্রের খবর, সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছে ভারত ও চীন। এর আগে ১৪ জুলাই এবং ২ আগস্ট যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম দফার বৈঠক হয়েছিল দু’দেশের মধ্যে। তাতে সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। ষষ্ঠ দফার বৈঠকের পর চীন তাদের অবস্থান বদল করবে কি না, সেটাই এখন দেখার।