অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
২০১৯ সালে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন জেডিইউর রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং। এবারেও তাঁকে টিকিট দিয়েছে দল। অন্যদিকে, লালু প্রসাদ যাদবের দল টিকিট দিয়েছে বাহুবলী অশোক মাহাতর স্ত্রী অনিতাকে। মুঙ্গের কেন্দ্র থেকে সাংসদ হতে চেয়েছিলেন অশোকই। বাধ সাধে আইনি জটিলতা। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, জেল থেকে মুক্তি পেলেও আগামী ছ’বছর ভোটে লড়তে পারবেন না তিনি। তাই স্ত্রীকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপূর্ণ সাধ পূরণে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। ঘোর ‘মল-মাসে’ই বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েন তিনি। লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করে স্ত্রীর জন্য টিকিটের তব্দির করেছিলেন। তাতে কাজ হওয়ায় নাওয়া-খাওয়া ভুলে মাঠে নেমে পড়েছেন।
বসে নেই নীতীশ কুমারও। মুঙ্গের আসনটি কার্যত লালু ও নীতীশের জন্য প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতবারের জয়ী প্রার্থী ললন সিং মোটেও স্বস্তিতে নেই। স্থানীয়দের একাংশের মতে, বিগত পাঁচ বছরে তেমন কোনও কাজই করেননি সাংসদ। ফলে তুমুল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া বইছে। স্বাভাবিকভাবেই লড়াই কঠিন। এই পরিস্থিতিতে নীতীশের কপালে চিন্তার ভাঁজ কিছুটা কমিয়েছেন প্যারোলে মুক্তি পাওয়া পাঁচবারের জেডিইউ বিধায়ক অনন্তকুমার সিং। ওরফে ছোটে সরকার। ভোটের মুখে তাঁর মুক্তিতে রাজনীতি দেখছে বিরোধীরা। দীর্ঘদিন জেলে থাকলেও ‘ছোটে সরকারের’ প্রভাব যে অক্ষুন্ন রয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছে পটনার বেউর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে বেরনোর সময় তাঁকে ঘিরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে। সময় নষ্ট না করে জেডিইউ প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন মোকামা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক। নিজের শক্তঘাঁটিতে লালনকে বড় লিড দেওয়ার টার্গেট নিয়েছেন তিনি।
মুঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রে বাহুবলীদের লড়াইয়ের মধ্যেও মাথা উঁচু করে রয়েছে জাতপাতের রাজনীতি। লালুর দলিত প্রার্থী, পাল্টা নীতীশের ভূমিহার সমাজের প্রতিনিধিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন ধানক সম্প্রদায়ের পীযূষ প্রিয়দর্শী। নির্দল হয়ে দাঁড়ালেও তিনিই ভোটভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তথ্য বলছে, এই কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১০ লক্ষ ৭৫ হাজারের বেশি। তারমধ্যে ধনুকা ১লক্ষ ৪০ হাজার, কুর্মি ১ লক্ষ ৪৯ হাজার, যাদব ২লক্ষ ৯৩ হাজার, ভূমিহার ২ লক্ষ ৪২ হাজার—অর্থাত্ মূল চারটি সম্প্রদায়েরই ৬ লক্ষের বেশি ভোটার। তাই এই আসনে শেষ হাসি কে হাসবেন, তা ঠিক করে দেয় জাতপাতের রাজনীতিই।