অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
শুরু থেকেই পালাবদলের সাক্ষী থেকেছে এই কেন্দ্র। ২০০৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে প্রায় দেড় লাখেরও বেশি ব্যবধানে বিজেডি প্রার্থীকে হারিয়ে ভোটে জেতেন হাত শিবিরের ভক্তচরণ দাস। ৫ বছরের মধ্যেই সে সমীকরণ উল্টে দেয় নবীন পট্টনায়েকের দল। প্রায় ৫৬ হাজার ভোটে জিতে লোকসভায় যান অর্ক কেশরি দেও। তবে দেশের ক্ষমতায় বিজেপি আসতেই তার প্রভাব পড়ে ওড়িশাতেও। জিততে না পারলেও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে গেরুয়া শিবির। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় থেকে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। কালাহান্ডিতে ওড়ে পদ্ম পতাকা। লোকসভায় যান বসন্ত কুমার পান্ডা।
তবে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। ঘরে বাইরে চাপের মুখে বিজেপি। তাই ঝুঁকি না নিয়ে এবার প্রাক্তন বিজেডি সাংসদের স্ত্রীকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছেন কংগ্রেসের আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় মানুষের অভাব-অভিযোগ নিয়ে কাজ করছেন। স্থানীয়দের অধিকাংশই তাঁকে ‘ঘরের মেয়ে’ বলেই মনে করেন। গৌড়া সম্প্রদায়ের ভোটকে মাথায় রেখে বিজেডি প্রার্থী করেছে লম্বোদরকে।
বিগত কয়েক দশকে কালাহান্ডি একাধিক পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে। এককালের ‘ভুখা এলাকা’ এখন ধান উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। পাশাপাশি, ভবানীপাটনায় গড়ে উঠেছে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। জনজীবনেও এসেছে পরিবর্তন। তবে এই উন্নতি সত্বেও খুশি হতে পারছেন না এলাকাবাসী। স্থানীয় সূর্য মাঝির কথায়, এমন একজন সাংসদ চাই যিনি কৃষকদের সমস্যার কথা বুঝবেন। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জলসেচের সমস্যা রয়েছে। তা নিরসনে সাংসদ উদ্যোগী হবেন আশা করছি। এছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকের সমস্যাও রয়েছে।
জল-জমি-জঙ্গলের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন কংগ্রেস প্রার্থী দ্রৌপদী মাঝি। প্রাক্তন সাংসদ তথা নারলা বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী ভক্তচরণ দাসের কথায়, সারাবছর ধরে মানুষের পাশে থাকেন দ্রৌপদী। সাধারণের অভাব-অভিযোগ নিয়ে লড়াই করেন। ফলে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন তিনি।