কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
গত বৃহস্পতিবার রাজ থ্যাকারে দলের নয়া পতাকা প্রকাশ্যে আনেন। গেরুয়া রঙের সেই পতাকার মাঝে রয়েছে ‘রাজমুদ্রা’, যেটি দেখতে অনেকটা ছত্রপতি শিবাজির বিজয় পতাকার মতো। নয়া সেই পতাকার প্রসঙ্গ টেনে শিবসেনার দাবি, মারাঠা সম্প্রদায়ের জন্য আরও ভালো কাজ করতে ১৪ বছর আগে নয়া দল এমএনএস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজ। কিন্তু এখন সেই মহারাষ্ট্রবাসীর স্বার্থ দেখার থেকে গেরুয়া রঙের প্রতি তাঁর ঝোঁক বেড়েছে। তাই মারাঠা ছেড়ে এখন দলকে হিন্দুত্বের মুখ হিসেবে তিনি সামনে আনতে চাইছেন। এমএনএসের নয়া পতাকা প্রসঙ্গেও সামনায় এমএনএসের সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, একই দলের যদি দু’টো পতাকা থাকে তাহলে সেই দলের ভাবনা এবং আদর্শ নিয়ে মানুষ দোটানায় পড়ে যাবে। প্রসঙ্গত, নয়া পতাকা প্রকাশ্যে আনার পর রাজ ঘোষণা করেছিলেন, এই পতাকা নির্বাচনের সময় ব্যবহার করা হবে না।
এমএনএসের নয়া পতাকা এবং তাদের গেরুয়া প্রীতিকে কটাক্ষ করে শিবসেনা নিজেদের আদর্শের কথা উল্লেখ করে। বলে, ‘যে হিন্দুত্ববাদী আদর্শ নিয়ে সাভারকর এবং বালাসাহেব থ্যাকারে কাজ করেছিলেন, তা কোনও ছেলেখেলা ছিল না। তবে যারা এখনও হিন্দুত্ববাদী অবস্থান নেবে আমরা তাদের স্বাগত জানাচ্ছি।’ তবে মারাঠাদের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে এতগুলো বছরে এমএনএস যে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি, সেটাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে শিবসেনা।
এদিকে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারি এদিন শিবসেনার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনলেন। পাশাপাশি শিবসেনা আদর্শ থেকেও সরে এসেছে বলে তিনি দাবি করেন। নাগপুরে বিজেপি কর্মীদের বৈঠকে গাদকারি মহারাষ্ট্র নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, মহারাষ্ট্রে বিজেপি হেরেছে। কারণ শিবসেনা আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং নিজেদের আদর্শ থেকেও বিচ্যুত হয়েছে।’