কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
দিল্লির মডেল টাউন বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কপিল মিশ্র। ক’দিন আগে নিজের ট্যুইটারে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন তিনি। তা নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। গতকাল পোস্টটি খতিয়ে দেখে কমিশনের বিশেষ প্যানেল। এদিন মিশ্রের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা মিশ্রের প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। অর্থাৎ টানা প্রায় দু’দিন নিজের কেন্দ্র ছাড়াও দিল্লির কোথাও নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে পারবেন না মিশ্র। তাঁর বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
‘বাগ্গা বাগ্গা হর জাগা’ শিরোনামে একটি গান তৈরি করে ভোটের প্রচারে বেশ নজর কেড়েছিলেন তেজিন্দর পাল সিং বাগ্গা। তিনি হরিনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। নিয়ম মেনে প্রচারের যাবতীয় খরচ কমিশনের ঘরে দাখিল করা দস্তুর। কিন্তু গানের পিছনে কত খরচ হয়েছে, সেই তথ্য বাগ্গা জমা দেননি বলে অভিযোগ। এদিন কমিশনের ‘দ্য মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি (এমসিএমসি)-এর তরফে বাগ্গাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তিনি কেন প্রচার-সঙ্গীতের খরচ সংক্রান্ত তথ্য গোপন রেখেছেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে ওই নোটিসে। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, নোটিসের উত্তর পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে। জবাব পাওয়ার পরই বাগ্গার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কমিশন। বাগ্গা অবশ্য নোটিসের প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেছেন, ‘আমাকে ভয় পেয়েই কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আমি নোটিস পেয়েছি। যথাসময়ে কমিশনকে জবাব দেব।’
এদিকে, দিল্লির এক বাসিন্দা ইভিএম, ভিভিপ্যাট নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও পোস্ট করে পুলিসি তদন্তের মুখে পড়েছেন। পণ্ডিত নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইভিএম নিয়ে কমিশনের সচেতনতা মূলক প্রচারের ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। সেখানে ‘ইভিএম প্রাপ্ত ভোটের সঠিক সংখ্যা দিতে পারে না’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন। ভিডিওটি নজরে আসতেই পণ্ডিতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন টিমারপুর এলাকায় নিযুক্ত কমিশনের আধিকারিক শাম্মি কুমার। এদিন পুরো ঘটনার তদন্ত করতে পুলিসকে অনুমোদন দিল দিল্লির একটি আদালত।