উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
৩৭০ ধারা রদের পর থেকে কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনেও জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হয় তারা। তার জবাবে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ইমরান খানের দেশকে চেপে ধরেন সম্মেলনে যোগ দেওয়া ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেত্রী অনন্যা আগরওয়াল। বলেন, ‘দুর্বল অর্থনীতি, কট্টর মৌলবাদী সমাজের পাশাপাশি ওদের ডিএনএর গভীরে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ।’
২০১৮ সালে দুর্বল দেশের তালিকায় ১৪ নম্বরে নাম ছিল পাকিস্তানের। তারপরেও রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার তারা যেভাবে ভারতকে অপমান করার জন্য ইউনেস্কো সম্মেলনের মঞ্চ ব্যবহার করেছে, তারও তীব্র নিন্দা করেছেন অনন্যা। পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফ ওসামা বিন লাদেন এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ককে পাকিস্তানের হিরো বলে বর্ণনা করেছেন। সেই প্রসঙ্গও টেনে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৪৭ সালের পর থেকে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রশ্ন তোলার আগে নিজেদের দেশেই মানবাধিকার রক্ষার দিকে নজর দেওয়া উচিত পাকিস্তানের।’
অন্যদিকে, মার্কিন কংগ্রেসে মানবাধিকার নিয়ে শুনানি চলার সময় কাশ্মীরের প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হন ভারতীয় সাংবাদিক সুনন্দা বশিষ্ঠ। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, ‘ভারত এক অনন্য গণতান্ত্রিক দেশ। পাঞ্জাব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি সমস্যার মোকাবিলা করেছি। এখন কাশ্মীরের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে সমর্থনের সময় এসেছে।’
কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে টম ল্যান্টোস কমিশনে শুনানি শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় শুনানিতে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেন সুনন্দা। উল্লেখ্য, এই কমিশনের অধিকাংশ সদস্যই ডেমোক্র্যাট। সুনন্দা আরও বলেন, ‘ভারত কাশ্মীরের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেনি। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ভারতের পরিচয় কেবল ৭০ বছরের নয়। ৫ হাজার বছরের পুরনো সভ্যতার ধারক ভারত।’ কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশ পাকিস্তান এবং চীনের হাতে রয়েছে। তাই সেখানে গণভোট সম্ভব নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।