কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
এদিনের ফলাফল সম্পর্কে বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরীণ প্রাথমিক মূল্যায়ন হল—দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের প্রতি চরম অনাস্থা প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ। বর্তমান রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা সহ কিছু ‘তৎকাল নেতা’ উপ নির্বাচনে প্রচারে ঝাঁপিয়েছিলে। ভোটাররা তাঁদের মুখে কার্যত ঝাঁমা ঘষে দিয়েছে। এমনটাই দাবি পার্টির আদি নেতৃত্বের একাংশের। সুকান্তবাবু অবশ্য প্রকাশ্যে সেকথা মানতে রাজি নন। তাঁর ব্যাখ্যা, উপ নির্বাচনে এরকমই হয়। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আবার দাবি, উপ নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। দলীয় সূত্রের খবর, এমনিতেই উপনির্বাচনী ভরাডুবিতে বঙ্গ নেতৃত্বের উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার উপর এরকম একাধিক ‘ব্যাখ্যা’য় সেই অসন্তোষ আরও বেড়েছে।
জানা যাচ্ছে, মাদারিহাটে শোচনীয় পরাজয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই। কারণ, ওই আসনে এর আগে জয় পেয়েছিল বিজেপি। বিধায়ক ছিলেন বঙ্গ বিজেপির বর্তমান সাংসদ মনোজ টিগ্গা। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠন অত্যন্ত ভালো বলে দীর্ঘদিন দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন সুকান্তবাবুরা। তাতে কি জল মেশানো ছিল? কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই প্রশ্নের সামনেই পড়তে হচ্ছে বঙ্গ বিজেপিকে। রাজ্য নেতাদের একাংশের আবার দাবি, সংগঠনের অন্যতম সহকারী সম্পাদক সতীশ ধোন্দকে গত তিন বছর ধরে ‘পঙ্গু’ করে রাখা হয়েছে। অথচ ২০১৪ সালে বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদির বিপুল জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। গত তিনমাস মহারাষ্ট্রের কয়েকটি অংশে নির্বাচনের দায়িত্বেও ছিলেন। সেখানে বিজেপির ফলাফল উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো হয়েছে। বাংলার সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দলীয় বৈঠকে একাধিকবার গর্জে উঠেছিলেন ধোন্দ। সেই কারণেই তাঁকে কার্যত একঘরে করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। উপ নির্বাচনে বিপর্যয়ের এটাও অন্যতম কারণ। আগামী সোমবার থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ফলে দিল্লিতে থাকবেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা। বিজেপি সূত্রের দাবি, উপ নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়েআগামী সপ্তাহেই তাঁদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে পারেন নাড্ডা।