কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
সিপিএম তথা বামফ্রন্ট এ নিয়ে পরপর তিনবার, সব আসনে জামানত খুইয়ে ‘শূন্য’র হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়ল। ১৯৬২ সাল থেকেই (মাঝে ১৯৬৯ সালে একবার কংগ্রেস জিতেছিল) ২০১১ পর্যন্ত দখলে থাকা মাদারিহাট আসনে আরএসপি প্রার্থী এবার নির্দলের চেয়েও দু’হাজার ভোট কম পেয়েছেন। রাজনৈতিক কারবারিদের কথায়, সিপিএম তথা বামফ্রন্টের এখন একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত—জামানত রক্ষার মতো ভোট জোগাড় করা। সম্প্রতি ভোটকুশলী নিয়োগের জন্য সমাজমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সিপিএম। জামানত কীভাবে বাঁচানো যায়, তা শেখার জন্য এই নিয়োগ কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। উপ নির্বাচনের ফলাফলে উচ্ছ্বসিত মমতা। সংযত প্রতিক্রিয়ায় বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ১৬ মাস পর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে এহেন ‘সফল ট্রায়াল রানে’ তৃপ্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোট পর্বে কোনও রিগিং-ছাপ্পার অভিযোগ করেনি কোনও বিরোধী দলই। তবুও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ফলাফলকে আমল দিতে চাননি। তাঁর দাবি—২৬’এ ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা কৌতুকও শুরু হয়েছে। এবারের উপ নির্বাচনে সবচেয়ে নজরকাড়া আসন ছিল উত্তরবঙ্গের মাদারিহাট কেন্দ্র। সাংসদ হওয়ায় বিধানসভা আসনটি ছেড়েছিলেন মনোজ টিগ্গা। চা-বাগান শ্রমিক মহল্লা প্রভাবিত কেন্দ্রটিতে জোড়াফুল শিবির গতবারের তুলনায় ভোট বাড়িয়েছে ১৭.৪৯ শতাংশ। অন্যদিকে বিজেপির ঝুলি থেকে উধাও হয়েছে ১৯.৫২ শতাংশ ভোট। বাম প্রার্থীর জুটেছে মাত্র ২.৩৩ শতাংশ। সিতাই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর ভোট বেড়েছে ২৬.৬৬ শতাংশ। বিজেপি ভোট খুইয়েছে ২৯ শতাংশ। সেখানে বাম প্রার্থীর প্রাপ্তি? মাত্র ১.৫২ শতাংশ। শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত মেদিনীপুরে বিজেপির ভোট কমেছে ২.৮৬ শতাংশ। প্রায় ততটাই ভোট বেড়েছে তৃণমূলের। এখানে বাম প্রার্থীর প্রাপ্তি মাত্র ০.০৯ শতাংশ ভোট। জাস্টিস আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান নৈহাটিতে তৃণমূলের ভোট বেড়েছে ১২ শতাংশ। পদ্মপার্টি খুইয়েছে ১৪.৪২ শতাংশ। বাম প্রার্থীর জুটেছে ৩.৯৩ শতাংশ। ভোট কমার এই ট্রেন্ড বিজেপি ধরে রেখেছে হাড়োয়া ও তালডাংরাতেও। জামানত বাঁচেনি বাম প্রার্থীদেরও।