উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
পর্ষদ সূত্রের খবর, এবিষয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি বৈঠক হয়েছে, সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে একজন এসপি, তিনজন ডিএসপি, পাঁচজন ইন্সপেক্টর, ১০ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ৫০ জন কনস্টেবলকে নিয়ে পর্ষদের এই বিশেষ বাহিনী তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করা হবে। পর্ষদ প্রাথমিকভাবে দূষণ সংক্রান্ত মামলাতে যাতে নিজেই পদক্ষেপ করতে পারে, সেবিষয়েই এই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, পরিবেশ আইনে পর্ষদে এডিজি পদমর্যাদার অফিসার সবসময় রাখার নির্দেশ রয়েছে। তা সবসময় ঠিকভাবে মানা হয় না। তবে বর্তমানে পর্ষদে এডিজি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছে, তিনি উদ্যোগী হয়ে যদি ওই পরিকাঠামো তৈরি করতে পারেন, তাহলে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। পর্ষদের নিজের হাতে যদি পুলিসের ক্ষমতা থাকে, তাহলে পরিবেশ লঙ্ঘন করা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যদিও এবিষয়ে পর্ষদের অন্দরে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
পর্ষদের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, পর্ষদ হচ্ছে একটি বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত সংস্থা। এখানে পুলিস ঢুকলে কাজের পরিবেশ অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাইরে পুলিস যেভাবে কাজ করে পর্ষদে থেকে তা করা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় দু’পক্ষের কাজে সমস্যা হতে পারে। যদিও এবিষয়ে সুভাষবাবুর পাল্টা যুক্তি, এই ভাবনা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। পর্ষদে যে পুলিস বাহিনী থাকবে, তা পর্ষদের নির্দেশে কাজ করবে। বাইরের পুলিসের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। সেক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথাই নয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি শব্দদূষণ সংক্রান্ত একটি মামলায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের ডিজিকে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) নির্দেশ দিয়েছে, এই সংক্রান্ত বিষয়ে একজন এসপি অথবা ডিএসপি পদমর্যাদার কাউকে দায়িত্ব দিয়ে নিত্য নজরদারি চালানো হোক। তারাই দেখবে শব্দমাত্রা ছাড়াচ্ছে কি না। পাশাপাশি জনসচেতনা বাড়ানো এবং অভিযোগ গ্রহণের জন্য পুলিসের মতোই ২৪ ঘন্টার একটি হেল্প লাইন খুলতে হবে।