উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
অর্থ দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, প্রতি বছরই দপ্তরগুলি থেকে এই তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু এবার অনেক আগেভাগেই তথ্য তলব করা হয়েছে। যাতে অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষণে সরকারের সাফল্যের দিকগুলি আরও সুচারুভাবে তুলে ধরা যায়। এক্ষেত্রে অর্থ সচিবের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এই দু’টি রিপোর্ট পেশের শব্দ সংখ্যা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমটির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০০ এবং দ্বিতীয় বিষয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দ বরাদ্দ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমস্ত হিসেব পেশ করতে বলা হয়েছে। সূত্রের দাবি, আসন্ন বাজেটে নবান্নের তরফে একাধিক জনকল্যাণকর প্রকল্পের ঘোষণা হতে পারে। তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এবং তা চালিয়ে যাওয়ার দক্ষতা সম্পর্কে আগাম হদিশ পেতে অর্থ দপ্তরের কর্তারা চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করে দেবেন। যদিও বাম আমলে বাজার থেকে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেওয়া হতো। যার একটা বড় অংশ শোধ দিতে হবে আসন্ন অর্থবর্ষ থেকে। স্বভাবতই রাজকোষের উপর চাপ আসবে। একইসঙ্গে ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য কর্মীদের নতুন বেতন কমিশন চালু হবে। সবমিলিয়ে অতিরিক্ত কয়েক হাজার কোটি টাকার দায় চাপতে চলেছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই দৈনন্দিন সংসার চালানোর উপায় খুঁজতে শুরু করেছেন অর্থ দপ্তরের কর্তারা। এই মুহূর্তে চলা বিবিধ সামাজিক প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাওয়া এবং বাড়তি প্রকল্প ঘোষণার সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই বাজেট প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত আয়ের একাধিক পথের সন্ধান চলছে। তার উপর একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েই উত্তরণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই অর্থ দপ্তরের অন্যতম শীর্ষ কর্তাটি।