পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
জেল ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়াবাগান থানার বাবুরাম ঘোষ লেনের বাসিন্দা অভিযুক্ত শোভা মল্লিক আদালতের নির্দেশে আলিপুরের প্রেসিডেন্সি মহিলা সংশোধনাগারে ছিলেন। গত ১৬ নভেম্বর তিনি অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে প্রথমে জেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। ১৭ নভেম্বর দুপুরে তিনি সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জেল সূত্রের খবর, যেহেতু এই মহিলা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন, তাই মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইন মেনে ওই বন্দির মৃতদেহ ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে ময়না-তদন্ত করা হয়। পাশাপাশি বিষয়টি জেলের তরফে মানবাধিকার কমিশন ও আদালতকে জানানো হয়। আদালত সূত্রের খবর, জেলের ওই রিপোর্ট পাবার পরই বিচারক এই মামলার তদন্তকারী অফিসার উৎপল মাজিকে ওই বন্দির মৃত্যুর বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জেল হেফাজতে থাকা ওই মহিলা বন্দির বিরুদ্ধে ঘটনার তদন্ত চলছিল। চার্জশিট পেশ হয়নি। কিছু দিন আগে এই মহিলা বন্দিই আদালত দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, তিনি তাঁর বউদিকে পুড়িয়ে মেরেছিলেন। বিচারক তাঁকে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু গোপন জবানবন্দি দিতে এসে তিনি বিচারকের কাছে বেঁকে বসেন। তিনি বিচারকের কাছে এ নিয়ে কোনও মন্তব্যই করবেন না বলে জানিয়ে দেন। এরপরই আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোরে জোড়াবাগান থানা এলাকায়। ৮০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বউদি বাসন্তী লাহাকে ভর্তি করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। ওইদিনই তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার আগে তিনি মৃত্যুকালীন জবানবন্দিও দেন পুলিস ও চিকিৎসকের কাছে। তারই ভিত্তিতে ননদ শোভা মল্লিককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে রুজু করা হয় খুনের মামলা।