পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এবিষয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই ক্যাম্পাসের মধ্যে ওই পুলিস ক্যাম্প গঠন করা হয়েছে। যেখানে একজন সাব-ইন্সপেক্টর এবং কয়েকজন পুলিস কর্মী থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে একটি পুলিস ভ্যান সবসময় থাকবে বলে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা যাতে কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সেই লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা আমাদের কর্মীদের পাশাপাশি রোগীর পরিজনদের স্বার্থরক্ষার জন্যও সচেষ্ট। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার বলেন, ওই অস্থায়ী ক্যাম্পে কতজন পুলিস কর্মী থাকবেন, সেব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আপাতত একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগেই সরব হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজের অস্থায়ী শ্রমিক সংগঠন। সেব্যাপারে তারা একটি স্মারকলিপিও দিয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। প্রথমে কর্মবিরতির হুমকি দিলেও পরে অবশ্য সেই রাস্তা থেকে সরে আসে তারা। এবার হাসপাতাল চত্বরেই এসআই সহ পুলিস মোতায়েন হওয়ায় খুশি সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত মল্লিক বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী এবং নিরাপত্তা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। ক্যাম্পাসে পুলিস মোতায়েন করার দাবিও জানিয়েছিলাম। সম্প্রতি একজন সাব-ইন্সপেক্টরকে এখানে রাখা হয়েছে। এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন সময়ে রোগীর পরিবার এবং বহিরাগতদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, চিকিৎসক এবং নিরাপত্তারক্ষীদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকবার অস্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের তরফ থেকে এই সমস্যাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন পুলিস আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে একাধিকবার অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বারবার নিগৃহীত হয়ে রীতিমতো আতঙ্কে কাজ করতেন স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা। এর আগে হাসপাতাল চত্বরে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে তারপরেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে এক যুবককে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। তারপর তাঁর পরিজনরা হাসপাতালে রীতিমতো তাণ্ডব করে। তাদের সামলাতে গিয়ে জনা কয়েক নিরাপত্তারক্ষী জখমও হন। ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তারা নার্স এবং চিকিৎসকদেরও মারধর করেছে। ওই ঘটনার পরই নিরাপত্তার দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই এসআইয়ের বসার জন্য কোনও নির্দিষ্ট ঘরের ব্যবস্থা করা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিন-চার দিনের মধ্যেই ইমারজেন্সি বিভাগের পাশের ঘরটি পুলিসের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে। আপাতত সেখান থেকেই কাজ চলবে। পরবর্তীকালে হাসপাতাল চত্বরে থাকা আর একটি বিল্ডিংয়ে পুলিস ক্যাম্প তৈরি করা হবে। ফাইল চিত্র