পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
ঠিক কী পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে পিএফ কর্তৃপক্ষ এই দাবি করছে? হিসেব কষে সংস্থার কর্তারা দেখেছেন, গত আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে সারা দেশে পিএফ অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ। আগস্টে যা বেড়েছিল ১০ লক্ষের সামান্য বেশি। মাত্র এক মাসের মধ্যে তা আরও পাঁচ লক্ষ বৃদ্ধি পাওয়ায় একে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন তাঁরা। কারণ, এই পাঁচ লক্ষ অ্যাকাউন্টের মধ্যে পুরনো সদস্যদের কাজ ফিরে পাওয়ার তথ্য রয়েছে। আবার নতুন নিয়োগের হিসেবও রয়েছে। তবে শুধু এই মাপকাঠিই নয়, গত বছর সেপ্টেম্বরে নতুন অ্যাকাউন্ট যুক্ত হয়েছিল ১০ লক্ষের মতো। সেখানে এবার তা ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কর্তৃপক্ষের হিসেব বলছে, আর্থিক বছরের প্রথম দুই কোয়ার্টার (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর) বা ছ’মাসের তুলনামূলক পরিসংখ্যানের দিকে চোখ বোলালে অর্থনীতি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার যথেষ্ট ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলবে। কর্মসংস্থান চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। তথ্য বলছে, দুটি আর্থিক বছরেই ওই সময়ে নতুন পিএফ অ্যাকাউন্ট হয়েছিল ৩০ লক্ষের কিছু বেশি। চলতি আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে কোভিডের কারণে নতুন অ্যাকাউন্ট হয়েছিল সাড়ে আট লক্ষের কাছাকাছি। তার মধ্যে আবার পূর্ণ লকডাউনের দু’মাস, অর্থাৎ এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে এই সংখ্যা ছিল লাখ দুয়েকের আশপাশে। জুন মাসে তা এক লাফে বেড়ে যায়। যুক্ত হয় সাড়ে ছ’লাখের বেশি নতুন অ্যাকাউন্ট। তখন থেকেই আশার আলো দেখার শুরু। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রায় ২২ লক্ষ নতুন অ্যাকাউন্ট যুক্ত হওয়ার ছবি সেই আশাকে আরও দৃঢ় করেছে, বলছেন পিএফ কর্তারা।
পিএফ আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের এই পরিসংখ্যানের আরও একটি আশাব্যঞ্জক দিক রয়েছে। তা হল, বয়স্কদের নতুন অ্যাকাউন্ট বৃদ্ধির সংখ্যা। সেপ্টেম্বরে যে সব নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে ৩৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে থাকা চাকরিজীবীরা। আগস্টে এই বয়সের চাকরিজীবীরা ১ লক্ষ ২৪ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। সেখানে সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় চার লক্ষ। এরা অনেকেই আবার তাঁদের আগের অ্যাকাউন্টের রাশি ট্রান্সফার করিয়েছেন নতুনটিতে। সেপ্টেম্বরে নতুন অ্যাকাউন্ট যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ১৮-২১ এবং ২২-২৫ বছর বয়সের চাকরিজীবীরা। এই পরিসংখ্যান পুরনোদের পাশাপাশি নতুনদের কাজ পাওয়ার ছবিও তুলে ধরছে। পিএফ কর্তাদের মতো বিশেষজ্ঞরাও এমনটাই মনে করছেন।