পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে অশোকনগর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইগাছি শ্রমলক্ষ্মী কলোনি এলাকায় ওএনজিসি তেল ও গ্যাসের সন্ধান শুরু করে। প্রাথমিকভাবে তেল ও গ্যাস পাওয়ার পর রাজ্য সরকারের কাছে জমি চায়। প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকার ৪ একর খাস জমি ওএজিসিকে দেয়। প্রাথমিকভাবে তেল ও গ্যাসের বিপুল সম্ভার পেয়ে বাণিজ্যিকভাবে ওই জায়গায় তেল ও গ্যাসের উৎপাদন করতে চাইছে ওএনজিসি। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে তারা আরও ১২ একর জমি চেয়ে চিঠি দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বণিকসভার বৈঠকে পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ওই জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে তেল উৎপাদনের কথা বলেন। এমনকী, তিনি নিজে অশোকনগর যাবেন বলেও জানান। ওএনজিসি আধিকারিকদের দাবি, ওই জায়গা থেকে রোজ ১লক্ষ কিউবিক মিটার গ্যাস এবং সমপরিমাণ তেল উৎপাদন সম্ভব। ইতিমধ্যেই সেখানে দুটি কুয়ো খনন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেলে শ্রমলক্ষ্মী কলোনি লাগোয়া নৈহাটি রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অশোকনগর পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা শহরের তৃণমূল নেতা সমীর দত্ত বলেন, পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড আগে গুমা পঞ্চায়েতের মধ্যে ছিল। ১৯৯০ সালে ওই এলাকা পুরসভার মধ্যে ঢোকে। আজকে যে এলাকায় ওএনজিসির প্রজেক্ট হয়েছে, সেখানে আগে ঘন জঙ্গল ছিল। শ্রমলক্ষ্মী কলোনির বাসিন্দারা ওই এলাকা পরিষ্কার করে ৭০ বছর ধরে চাষ করছেন। ওই জায়গা সরকারি হলেও কৃষকদের কাছে অনুমতি দখলপত্র রয়েছে। এই কৃষকদের সঙ্গে কথা না বলে গায়ের জোরে জমি দখল করা হয়েছে। কৃষকরা আদালতেও গিয়েছেন। কৃষকরা ন্যায্য অধিকারের দাবিতে কৃষক কল্যাণ সমিতি গড়েছেন। এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরাই। আমি অশোকনগরের বাসিন্দা হিসেবে ওই আন্দোলন সমর্থন করি। তাই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলাম। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সকলে এই প্রজেক্টে চাকরি চান। যদিও ওএনজিসির তরফে এই আন্দোলন প্রসঙ্গে কোনওরকম মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়। স্থানীয় বিধায়ক ধীমান রায় বলেন, শুনেছি কয়েকজন স্থানীয় কৃষক চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এরসঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। আন্দোলনে সমীরবাবুর যোগদান সম্পর্কে বলেন, উনি ছিলেন কি না জানি না। দল কোনওভাবেই এই বিক্ষোভ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নয়।