পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই চিটফান্ড মামলার তদন্তভার পায়। সারদা, রোজভ্যালি ছাড়াও এতে এঞ্জেল গ্রুপ-সহ আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানি ছিল। ২০১৭ সালে এঞ্জেল গ্রুপের ডিরেক্টর হাসিবুল হক কে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এরপরই পালিয়ে যান নাজিবুল্লাহ। হাসিবুল যে জেরা করে জানা যায় সারদা, রোজভ্যালির কায়দায় বাজার থেকে টাকা তুলেছে এঞ্জেল গ্রুপ। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেয়নি তারা।
সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর এঞ্জেল গ্রুপের সমস্ত অফিস বন্ধ হয়ে যায়। তাদের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই প্রচুর নথি উদ্ধার করে। সেগুলি ঘেঁটে জানা যায়, এই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা বাজার থেকে ৪৫০ কোটির বেশি টাকা তুলেছে। আমানতকারীদের ভরসা জোগাতে এই সংস্থার উপদেষ্টা পদে শাসক দলের কয়েকজন নামী ব্যক্তিকে রাখা হয়। তাঁরা এই কোম্পানির বার্ষিক সভায় হাজির থেকে কোম্পানির সুখ্যাতি করেছেন। এই অডিও সিবিআইয়ের হাতে এসেছে।
এর বিনিময়ে তাঁরা বিভিন্ন সুযোগ পেয়েছেন বলেই অভিযোগ। এমনকী, এই নেতানেত্রীদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বাজার থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেই অঙ্কটা ৪৫০ কোটি। তবে, মোট পরিমাণ ১০০০ কোটি হতে পারে সন্দেহ করছেন সিবিআই অফিসাররা। এই টাকা ঘুরপথে বাইরে নিয়ে গিয়েছেন কোম্পানির কর্ণধাররা। আমানতকারীদের টাকায় তাঁরা নিজেদের নামে সম্পত্তি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই তদন্ত শুরু করার কিছুদিন পর এঞ্জেল গ্রুপ কোম্পানির নামে কেনা সম্পত্তি বেআইনিভাবে হস্তান্তর করেছেন এবং সেগুলি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই টাকা ডিরেক্টরদের কাছে ঘুরপথে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এতে সাহায্য করেছে বেশ কিছু চাটার্ড ফার্ম। সেল কোম্পানি খুলে ভুয়া লেনদেন দেখিয়ে কোম্পানির টাকা বাইরে বের করে আনা হয়েছে। টাকা কোথায় রাখা আছে তা জানতেই সিবিআই নাজিবুল্লাহকে জেরা করছে।