Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ওবামার ‘প্রতিশ্রুতি’ এবং
বিতর্কের রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটি অ্যাফ্রো-আমেরিকান লোকগানের কয়েকটি লাইন... এক অক্লান্ত উড়ানের কথা... আর ‘প্রমিসড ল্যান্ড’। বইয়ের নামটাও বারাক ওবামা ওটাই রেখেছেন। আত্মজীবনী? হয়তো। আরও স্পষ্টভাবে বললে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশের ক্ষমতার অলিন্দে তাঁর প্রবেশ, রোজনামচা। এবং চাপ চাপ বিতর্ক। বই বাজারে আসার আগে থেকেই। আর হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ, এই ৯০০ পাতার আত্মকথনে ঢুকে পড়েছে ভারতীয় বেশ কিছু চরিত্র। শুধু প্রবেশে ব্যাপারটা সীমাবদ্ধ থাকলে হয়তো বিতর্ক এতটা মাথাচাড়া দিত না। কিন্তু ওবামা সেই সব চরিত্র বিশ্লেষণ করেছেন... ব্যাখ্যা করেছেন। ইতিহাসের প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন মহাত্মা গান্ধীর কথা... টেনেছেন ইন্দিরা, রাজীব হত্যার প্রসঙ্গ। এবং অবশ্যই সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর পুত্র। নানা ব্যক্তি, নানা দল এই ক্ষেত্রবিশেষেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন। একজন বিদেশি... হলেই বা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট! এই বিশ্লেষণের অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে? 
মতপ্রকাশের অধিকার তো বিশ্বজনীন! অন্তত এই ইস্যুতে একজনকে কাঠগড়ায় তোলাটা বৃথা। অনেকে এই বইয়ের জন্য ওবামার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও হুমকি-টুমকি দিচ্ছেন। মামলা হলে ওবামা সামলে নেবেন। প্রশ্নটা অন্যত্র... এই বিশ্লেষণের পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই তো? বা ভারতের সংস্কৃতিকে হেয় করার চেষ্টা? আপাত দৃষ্টিতে তেমন কিছু অবশ্য নজরে আসছে না। কারণ তিনি নিজেই লিখেছেন, ‘ভারত মানে আমার কাছে ২ হাজার জনজাতি, আর সাতশোরও বেশি ভাষা। ছেলেবেলার কিছুটা ইন্দোনেশিয়ায় কাটিয়েছিলাম বলেই হয়তো মনের একটা আলাদা ঘরে ভারত সম্পর্কে কল্পনার প্রাসাদ গড়ে উঠেছিল। রামায়ণ, মহাভারত... বা কলেজের সেই বন্ধুরা। তাদের মধ্যে ভারতীয় ছিল, পাকিস্তানিও। ওরা আমাকে ডাল আর কিমা রান্না করতে শিখিয়েছিল। ওদের জন্যই বলতে গেলে বলিউডি মুভির পোকা হয়ে গিয়েছিলাম।’ বিষয়টা খুব পরিষ্কার... ভারত সম্পর্কে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ধারণা, বিশ্বাস বা ব্যাখ্যায় এতটুকু গলদ নেই। আছে কিছু ভারতীয় সম্পর্কে। সিস্টেমকে ব্যবহার করে একের পর এক কেলেঙ্কারি, মারদাঙ্গা, গণতন্ত্রের নামে পরিবারতন্ত্র... আমাদের দেশের এই ‘মহত্ত্ব’কেও ছুঁয়ে গিয়েছেন ওবামা। যখনই সুযোগ পেয়েছেন। আর বলেছেন ডঃ মনমোহন সিংয়ের কথা। দ্বিধাহীন ভাষায় লিখেছেন, নয়ের দশক থেকে উদার অর্থনীতি এবং সাফল্যের যে দৌড় ভারত শুরু করেছে, তার প্রতীক একজনই—মনমোহন সিং। অসাধারণ জ্ঞান আর শিক্ষণীয় সৌজন্য। নির্বিবাদী এই রাষ্ট্রনেতাকে তিনি ঠিক কতটা সম্মান করেন, তা ওবামা লোকাননি। লোকানোর চেষ্টাও করেননি। লিখেছেন নয়াদিল্লিতে মনমোহনের বাড়ির সেই ডিনারের কথাও... ‘টেবলে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী... সেদিন দু’জনেই ছিলেন। ষাটের ঘরে বয়স, তাও ধাক্কা লাগার মতো ব্যক্তিত্ব। ট্র্যাডিশনাল শাড়ি, শান্ত-রাজকীয় উপস্থিতি, আর দু’টো কালো চোখ... যা সবসময় কাটাছেঁড়া করে যাচ্ছে। বলেছিলেন খুব কম। শুনেছিলেন বেশি। পলিসি সংক্রান্ত কিছু নিয়ে যখনই কথা উঠেছে, খুব বুঝে পা ফেলেছেন। ভেবেচিন্তে ছাড় দিয়েছেন মনমোহন সিংকে... কথা বলার জন্য। আর সব সময় খেয়াল রেখেছেন, রাহুলের সঙ্গে বা রাহুলকে নিয়ে কী কথা হচ্ছে। আর রাহুল... স্মার্ট, আন্তরিক। রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। মাঝে মাঝে থেমে অপেক্ষা করছিলেন... কিছু বোঝার চেষ্টা। যেন একটি ছাত্র পড়া করে এসে শিক্ষককে ইমপ্রেস করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গভীরভাবে দেখলে, বিষয়টাতে তার না আছে বোধ, না আবেগ। স্মার্ট, কিন্তু নার্ভাস, অপরিণত।’
কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে সুকৌশলে বাজারে নামিয়ে এনেছেন ওবামা। প্রমাণ করেছেন, সোনিয়া গান্ধী শুধু তাঁর ছেলের জায়গাটা নিরাপদ রাখার খাতিরে এমন একজন প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচন করেছিলেন, যাঁর মতো যোগ্য কিন্তু নির্বিবাদী মানুষ গোটা ভারতে পাওয়া যাবে না। মনমোহন সিংয়ের প্রধানমন্ত্রিত্ব দেশে ‘উদার গণতন্ত্র’ নিয়ে আসেনি। বরং ওটা ছিল একটা ব্যতিক্রম মাত্র। মনমোহন নিজেও সেটা জানতেন। বুঝতেন। আর তাই পদে পদে থমকে যেতেন। 
ভারতের রাজনীতিতে ক্ষমতাশালী এবং ‘অসহায়ে’র মধ্যে সরাসরি একটা বিভাজিকা টেনে দিয়েছেন বারাক ওবামা। বিতর্ক হওয়াটা তাই স্বাভাবিক। কিন্তু বই প্রকাশের আগেই এই বিতর্ক কেন? নেগেটিভ পাবলিসিটি কখনও কখনও ইতিবাচক প্রচারকেও ছাপিয়ে চলে যায়। ভারতের মতো শিক্ষিত বাজারে একটা ‘প্রি বুকিং’ বিতর্ক ছড়িয়ে দিতে পারলে তার লাভের গুড় প্রকাশক প্রথম কয়েক দিনেই ঘরে তুলে নেবে। ফলে বিতর্ক ছড়িয়ে দেওয়াটা স্ট্র্যাটেজি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কী আছে, আর কী নেই... এটা শুধু হাওয়ায় ছড়িয়ে দাও। বাকিটা মার্কেট করে দেবে।
যেমন, শশী থারুর। দিন কয়েক আগে একটি ট্যুইট করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে এক লাইনও লেখেননি ওবামা। ঠিকই... তার একটা কারণও রয়েছে। ওসামা অভিযান... ২০১১ সাল। ওখানেই শেষ হয়েছে ‘আ প্রমিসড ল্যান্ড’-এর সফর। মানে এরপর আরও আসছে। দ্বিতীয় পর্ব। তখন হয়তো নরেন্দ্র মোদি থাকবেন। এবার বলেননি তিনি... কিন্তু বুঝিয়েছেন, ভারত সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। দিকে দিকে ধর্মের নামে, রাজনীতির নামে মারামারি, জাতের নামে ভোট, হিংসা, দুর্নীতি... এর থেকে ভারত মুক্তি পায়নি। বই প্রকাশের পর ব্যাপারটা এমন হয়েছে, আমার ঘরে হচ্ছে হোক, পড়শি বলতে পারবে না। আমরা নিজেদের শুধরানোর চেষ্টা না করে তাই মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে গাল পাড়ছি। ওবামা নিজেও ধোয়া তুলসিপাতা নন, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই! নরেন্দ্র মোদির একটি শিক্ষিত এবং বিদেশি ব্র্যান্ড তিনি। প্রকৃত অর্থে বেচুবাবু। স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। জানেন, কোনটা পাবলিক খাবে, আর কোনটা ছুঁড়ে ফেলে দেবে। তাই হোয়াইট হাউসে প্রবেশের দিন থেকে তাঁর লক্ষ্য ছিল একজন—ওসামা বিন লাদেন। কারণ ওবামা বুঝেছিলেন, একটা ৯/১১ হামলা প্রত্যেক আমেরিকানের মনে ত্রাস, আর প্রতিশোধের এক বেমানান মিশ্রণ তৈরি করেছে। লাদেনকে খুঁজে বের করতে পারলে গোটা দেশের সেন্টিমেন্ট তাঁর দিকে ধেয়ে আসবে। সেটাই করেছিলেন তিনি। পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদের বাড়িতে ঢুকে নেভি সিল খতম করেছিল লাদেনকে। পাকিস্তান তার আগেও আমেরিকার বন্ধু ছিল। তার পরেও কিন্তু আছে। আল কায়েদা সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে অপারেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন ওবামা। কিন্তু শুধু লাদেন কেন? পাকিস্তান তো সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর! মাসুদ আজহার, হাফিজ সইদদের তথ্যও নিশ্চয়ই আছে আমেরিকার কাছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান কেন চালায়নি ওবামা প্রশাসন? কারণ ওই জঙ্গিরা তাঁর গায়ে আঁচড় দেয়নি। তাঁর আদর্শ যে অহিংসা! হোক না সে পরিস্থিতি বিশেষে। তাই তিনি লেখেন মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ, তাঁর হার না মানা লড়াই, সাদামাটা জীবনের কথা। তুলে ধরেন মিশেলের সঙ্গে মণি ভবনে যাওয়ার মুহূর্তগুলো। মুম্বইয়ের শহরতলিতে। সেখানকার গেস্টবুকে ওবামা দেখেছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের সই... ১৯৫৯ সালের। জুতো খুলে ঘরে ঢোকার পর প্রতিটা মুহূর্ত পাতায় এঁকেছেন ওবামা। মাটিতে করা বিছানা, চরকা, ছাদের দরজা বেয়ে নেমে আসা হালকা বাতাস, আর আবছা আলো। লিখেছেন, ‘ভীষণভাবে মনে হয়, যদি ওঁর পাশে বসতে পারতাম... কিছু কথা বলার ছিল... আর কিছু জিজ্ঞাসা... এত কম সামর্থ্যে এত বেশি কিছু করার শক্তি কোথায় পেয়েছিলেন? কীভাবে দেখেছিলেন এই স্বপ্ন?’
মহাত্মা গান্ধী কিন্তু সত্যের পক্ষে বা অনাচারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইকে ব্যক্তিগত স্তরে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তাঁর আন্দোলন দেশের সীমান্তে আটকে থাকেনি। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও বর্ণবিদ্বেষ ও শ্রেণী বিভাজনের বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলন ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে। আর ওবামা? সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধে গোটা বিশ্বকে এক হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আহ্বান বক্তৃতাতেই তালাবন্দি থেকে গিয়েছে। হুমকি দিয়েছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেবে আমেরিকা। কিন্তু যুগ যুগ কেটে গেলেও তাতে সিলমোহর পড়েনি। সেদিন ডিনারের আগে কিছুক্ষণ মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছিলেন ওবামা। পিছনে দাঁড়িয়ে থাকার কেউ ছিল না। কেউ নোট নিচ্ছিল না। মনমোহন তাঁকে বলেছিলেন লস্কর-ই-তোইবার কথা। জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের যোগসাজশের কথা। ওবামা লিখেছেন, ‘হামলার পর পাকিস্তানকে পাল্টা আক্রমণের যে চাপ তৈরি হয়েছিল, তা বহু কষ্টে রুখেছিলেন মনমোহন। কারণ ওটা সমাধান নয়। যার মাশুল তাঁকে দিতে হয়েছিল রাজনৈতিকভাবে। মনমোহনের ভয় ছিল, মুসলিম বিরোধী আক্রোশ যেভাবে বাড়ছে, তার সুযোগ নেবে হিন্দু জাতীয়তাবাদী পার্টি বিজেপি। বলেছিলেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট... কখনও কখনও ধর্মীয় জোট সমাজের কাছে বিষাক্ত হয়ে ওঠে। আর রাজনীতিকরা তার সুযোগ নেয়। ভারতে... অন্য দেশেও।’ দূরদর্শী ছিলেন মনমোহন। বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্থান যে তারপরই! পাকিস্তান বিরোধী সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে। ২০১৬ সালে ভারত সফরে এসে বারাক ওবামা সরব হয়েছিলেন ধর্মান্তরকরণ, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে...। মোদির সামনেই। কাজেই এরপরের অধ্যায় নিয়ে তিনি যদি কলম ধরেন, বিজেপিকে স্বস্তিতে রাখার মতো পরিস্থিতি হয়তো তৈরি হবে না। 
স্বস্তিতে থাকবেন না নরেন্দ্র মোদিও।
বিকাশ না গরিমা,
সংস্কার কী জন্য?
পি চিদম্বরম

কিছু কারণে ড. পানাগড়িয়া জোড়াতাপ্পির জিএসটি-টাকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেননি এবং বিপর্যয় ঘটাল যে ডিমানিটাইজেশন বা নোট বাতিল কাণ্ড সেটাকেও তিনি চেপে গেলেন। বিশদ

23rd  November, 2020
ভোটের আগে দিল্লির
এই খেলাটা বড় চেনা
হিমাংশু সিংহ

 দিলীপবাবুরা জানেন, সোজা পথে এখনও পশ্চিমবঙ্গ দখল কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আর তা বুঝেই একদিকে পুরোদমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কাজ করছে তৃণমূলকেই ছলে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার কৌশল। বিশদ

22nd  November, 2020
মমতা বিরোধিতাই
যখন রাজনীতির লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

বামেদের ধারণা, মমতা তৃণমূল না গড়লে তারা আরও অনেকদিন রাজ্যপাট চালিয়ে যেত। তাদের চোখে মমতা ‘জাতশত্রু’। সেই কারণেই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট সহ নানা চোখা চোখা বিশেষণে ভূষিত করলেও মমতা বিন্দুমাত্র সুবিধা পান, এমন কাজ তাঁরা কিছুতেই করেন না। বিশদ

21st  November, 2020
বাইডেন জমানা, ইমরানের অস্বস্তি
মৃণালকান্তি দাস

পাকিস্তান জন্মের পর তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশটির নাম আমেরিকা। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে পাকিস্তানকে পাশে পেতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওয়াশিংটন। ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তানকে কেন কাছে টেনেছিল আমেরিকা? 
বিশদ

20th  November, 2020
বিজেপির হয়েই কি ব্যাট ধরছে কং-সিপিএম?
হারাধন চৌধুরী

বছর তিরিশ আগের কিছু কথা মনে পড়ছে। জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রিত্বের তখন থার্ড টার্ম। সিদ্ধার্থ-জমানার সন্ত্রাসের বাস্তব অনেকটাই অতীত ততদিনে। সিপিএমের সন্ত্রাসটাই তখন হাতেগরম। সাতাত্তরে সিপিএম এবং জ্যোতি বসুর নামে যে মোহ জেগেছিল, অনেক সাচ্চা বামপন্থীদেরও ঘুচে গিয়েছে। সাংবাদিকতায় হাতেখড়ির সেই গোড়ার দিনগুলোতে আমাদের ব্যতিব্যস্ত রাখত সিপিএম পার্টি ক্যাডাররা।  
বিশদ

19th  November, 2020
কংগ্রেস কি দিনে দিনে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে
সন্দীপন বিশ্বাস

 কংগ্রেসের বিগত কয়েক বছরের ব্যর্থতা বারবার নিঃশব্দে বলে গিয়েছে নেতৃত্বে গলদ রয়েছে। আজ বুঝি তাই ভিতর থেকে একটা ভূকম্পনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। নতুন করে পার্টিটাকে বাঁধতে না পারলে মোদির সঙ্গে তার টক্কর দেওয়া সম্ভব নয়।
বিশদ

18th  November, 2020
ছুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরনোর খেলা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পরীক্ষায় পাশ নরেন্দ্র মোদি। তবে উতরানোটা মোটেই খুব সহজ ছিল না! একদিকে মহামারীর আতঙ্ক, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ... প্রশ্ন একটাই, বিজেপির বিকল্প কি খোঁজার সময় এসে গিয়েছে? বিহার বলল, না আসেনি। কারণ, বিকল্প কেউ নেই। আপাতত...। তাই নরেন্দ্র মোদি জনপ্রিয়তার ফাঁকা ময়দানে গোল দিয়েই চলেছেন।   বিশদ

17th  November, 2020
করোনাকালে বায়ুদূষণ এক অশনিসঙ্কেত
অনির্বাণ মিত্র

ইতালির দু’টি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি রোগীর মৃত্যু হয়। ওই দুই অঞ্চলে দূষণ প্রচণ্ড। একই ধরনের রিপোর্ট আসে চীন থেকেও। যুক্তরাষ্ট্রেও যেখানে বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি, সেখানেই তত বেশি করোনা রোগী মারা যাচ্ছেন।  বিশদ

16th  November, 2020
বিভাজন করেই আমাদের পতন হয়
পি চিদম্বরম

বিভাজনের প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে এবং এটা গভীরতরও হতে পারে—মার্কিন মুলুকে, ওইসঙ্গে ভারতেও। ... ভারতের আঘাতটা হবে ভীষণ খারাপ। সমাজ বিভাজিত হয়ে যাবে। অর্থনীতি উদ্যম হারিয়ে বসবে।  বিশদ

16th  November, 2020
বাংলায় লড়াইয়ের
মঞ্চটা কার তৈরি?
হিমাংশু সিংহ

বাংলার রাজনীতি এই মুহূর্তে এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। বিহার ভোটের ফল এরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনের মাহাত্ম্যকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। মাত্র একবছর আগে বিহারে লোকসভা ভোটে ৪০টির মধ্যে ৩৯টি আসন জিতেছিল মোদি-নীতীশ কুমারের এনডিএ। একবছরের মধ্যে সেই চিত্র কিন্তু আমূল বদলে গিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও এনডিএর সেই একচেটিয়া কর্তৃত্ব অনেকটাই খর্ব হয়েছে। বিশদ

15th  November, 2020
কালী সাধনায় মেলে প্রশাসনিক পদ
জয়ন্ত কুশারী

বিশ্ব সৃষ্টির আগে একমাত্র কালীই বর্তমান ছিলেন এবং তাঁর দ্বারাই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড প্রসূত হয়েছে। এজন্য তাঁকে ‘আদ্যা’ বলা হয়ে থাকে। যে মহাশক্তি মহাকালের সর্ব সংহারক শক্তির নিয়ন্ত্রক তিনিই কালী। বিশদ

14th  November, 2020
মূল্যবৃদ্ধি নয়, নির্বাচনই পাখির চোখ
তন্ময় মল্লিক

এই মূল্যবৃদ্ধি মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। তাই কেন্দ্রীয় সরকার মজুতদারিতে রাশ টেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জোগান বাড়িয়ে মানুষকে এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই দিক।  বিশদ

14th  November, 2020
একনজরে
মুম্বইয়ের এক ইভেন্ট ম্যানেজার যুবতীকে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে দিল্লির দুই ধাবা মালিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম সন্দীপ মেহতা (৫৭) ও নবীন দাওর (৪৭)। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোভিড পরিস্থিতি চলছে। ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে বাড়ির বাইরে বেরলে পরতে হবে মাস্ক। ঘনঘন সাবান জল দিয়ে হাত ধুতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে এসব স্বাস্থ্যবিধি মানলে রেহাই মিলতে পারে। বৃহত্তর স্বার্থে প্রশাসন পড়ায় পাড়ায় গিয়ে স্যানিটাইজ করবে।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: সোমবার থেকে বীরভূমের ১২টি থানায় শুরু হল জঙ্গলমহল কাপ। এদিন জেলার বিভিন্ন থানায় পুলিস আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিরা খেলার উদ্বোধন করেছেন। পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, প্রায় ৩০০টিরও বেশি দল জঙ্গলমহল কাপে অংশগ্রহণ করেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ক্রীড়া ক্ষেত্রে ...

বিশ্ব ক্রিকেটে স্লেজিংয়ের জন্য বিখ্যাত তারা। চোখাচোখা বাক্যবাণে প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাস টলিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের জুড়ি মেলা ভার। সেই অস্ট্রেলিয়ানরাই নাকি ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে স্লেজিং ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৯: চার্লস ডারউইনের লেখা ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস’ প্রকাশিত হল
১৮৮৮: মার্কিন সাহিত্যিক ডেল কার্নেগির জন্ম
১৯৫৫: ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার ইয়ান বথামের জন্ম
১৯৬১: লেখিকা এবং সমাজকর্মী অরুন্ধতী রায়ের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৫ টাকা ৭৫.০৬ টাকা
পাউন্ড ৯৭.১২ টাকা ১০০.৫১ টাকা
ইউরো ৮৬.৫২ টাকা ৮৯.৭০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,১৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮, ৫২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯, ২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬২, ৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬২, ৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০, দশমী ৫১/৪৮ রাত্রি ২/৪৩। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ২৩/৫১ দিবা ৩/৩২। সূর্যোদয় ৫/৫৯/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ১১/২ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩৪ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৫/৬ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/২০ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে।   
৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০, দশমী শেষরাত্রি ৪/২৯। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৬/২২। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৫ মধ্যে ও ৭/৩ গতে ১১/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/২৩ মধ্যে ও ৯/১৭ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/৪৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে ও ৫/১৯ গতে ৬/২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২২ গতে ৮/৪৩ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৬ গতে ৮/৬ মধ্যে।
৮ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি  
মেষ: পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। বৃষ: শরীর-স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনও চিন্তা নেই। মিথুন: শেয়ারে ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৫৯: চার্লস ডারউইনের লেখা ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস’ প্রকাশিত ...বিশদ

04:28:18 PM

জামশেদপুরকে ২-১ গোলে হারাল চেন্নাইয়ান এফসি 

09:31:04 PM

জামশেদপুর ১ চেন্নাইয়ান এফসি ২ (হাফটাইম) 

08:31:00 PM

দেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ৪৩টি অ্যাপস ব্লক করল কেন্দ্র 
দেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আজ, মঙ্গলবার ৪৩টি অ্যাপস ব্লক ...বিশদ

05:51:24 PM

করোনা: নাগাল্যান্ডে নতুন করে আক্রান্ত ৭৯ 
নাগাল্যান্ডে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৭৯ জন। মোট আক্রান্তের ...বিশদ

05:20:31 PM