পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
জেলা নির্বাচনী আধিকারিক মার্ঘব ইলমি বলেন, খসড়া ভোটার তালিকায় সম্ভাব্য নতুন ভোটার প্রায় ৫৪ হাজার। ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ফর্ম-৬পূরণ করতে হবে। জেলায় বিভিন্ন ক্যাম্পে সবচেয়ে বেশি ফর্ম-৬ জমা পড়ছে।
গত ১৮নভেম্বর থেকে জেলায় ৪৩৫৪টি বুথে ভোটার তালিকা সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দু’দিন ৩৬২জন নতুন ভোটার আবেদন করেছেন। তারপর সেই সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। আগামী ১৩ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যেক শনি ও রবিবার স্পেশাল ক্যাম্পে বুথ লেভেল অফিসাররা(বিএলও) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বসবেন। স্পেশাল ক্যাম্পে ভালো সাড়া পড়ছে। শনি ও রবিবার ছাড়া অন্যান্য দিন বিএলও-রা দু’ঘণ্টা অফিসে বসছেন। বুথে যেকোনও দাবিপত্র ও অভিযোগ জানানো যাবে আগামী ১৫ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রত্যেক শুক্রবার জেলা হেডকোয়ার্টার থেকে জেলাজুড়ে সমস্ত ক্যাম্পে ভোটার তালিকা সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯লক্ষ ৬৯হাজার ১৯৮। পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২০লক্ষ ৪৮হাজার ৫৫৮জন। মহিলা ভোটার সংখ্যা ১৯লক্ষ ২০হাজার ৫৮৯জন। অন্যান্য ভোটার সংখ্যা ৫১জন। সম্ভাব্য নতুন ভোটারদের ফর্ম-৬ পূরণ করে ক্যাম্পে বিএলওদের কাছে জমা করতে হবে। আগামী ১৫জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। সেদিন জেলায় প্রকৃত নতুন ভোটারের পরিসংখ্যান মিলবে। বিএলওদের গতবারের সার্ভে অনুযায়ী, আগামী ১জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৫৩ হাজার ৮৭৬জনের বয়স ১৮পার হবে। তাঁদেরই সম্ভাব্য নতুন ভোটার ধরে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম-২ব্লকে আমদাবাদ-১গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকাপুরা বাজার ১৫৭নম্বর বুথের খসড়া ভোটার তালিকা সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করে নতুন ভোটারদের পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি। দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, নতুন ভোটারদের ম্যানেজ করার জন্য আমরা আইসি সেলের কর্মীদের নামিয়েছি। আমরা নিজেরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। কর্মসংস্থানে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরা হচ্ছে। ফর্মপূরণ করা থেকে জমা, সবেতেই আমরা সহযোগিতা করে দিচ্ছি।
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র মধুরিমা মণ্ডল বলেন, প্রত্যেকটি বুথে ক্যাম্প চলাকালীন সহযোগিতার জন্য স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন ভোটারদের কাছে আমরা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প তুলে ধরছি। যুব সমাজ আমাদের সঙ্গে আগেও ছিল। আগামী দিনেও থাকবে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, প্রত্যেকটা বুথে আমাদের এজেন্ট দেওয়া আছে। রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। যুব সমাজ হতাশ। আমরা ভালোভাবেই সেটা টের পাচ্ছি।