গুয়াহাটি: দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যুর কাছে হার মানলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ। সোমবার বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। করোনামুক্ত হওয়ার পর তিনি ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ২ নভেম্বর থেকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এদিন সকালে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘দীর্ঘদিন রোগভোগের পর এদিন বিকেলে মৃত্যু হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।’ তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে আসে রাজনৈতিক মহলে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘দেশ একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতাকে হারাল। তরুণ গগৈ মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অসমের অগ্রগতিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। বিশেষ করে অসমে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই অনস্বীকার্য।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করেছেন, ‘শ্রী তরুণ গগৈজি একজন জনপ্রিয় নেতা এবং দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। অসমের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতা ছিল।’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘শ্রী তরুণ গগৈ সত্যিকারের কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। অসমের সমস্ত মানুষ এবং সম্প্রদায়কে একসঙ্গে নিয়ে আসার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমার কাছে তিনি ছিলেন একজন অসামান্য এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতা। আমি তাঁকে ভালোবাসতাম, শ্রদ্ধাও করতাম। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি।’
অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর বাসভবনে। সেখান থেকে তাঁর মরদেহ শায়িত থাকবে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে। মঙ্গলবার সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন অসংখ্য অনুগামী। গুয়াহাটিতেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। গত ২৫ অগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন গগৈ। প্রায় দু’মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর গত ২৫ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। কিন্তু করোনা জটিলতা কারণে গত ২ নভেম্বর ফের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। এদিন চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে চিরবিদায় নিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।