পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
পঞ্চায়েত ভোটের সময় ডায়মন্ডহারবারে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। উন্নয়ন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ না থাকলেও ভোট সন্ত্রাস এবং নেতাদের মাতব্বরি নিয়ে অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। বিভিন্ন প্রকল্পে চুনোপুটি নেতাদের কাটমানি খাওয়া নিয়েও মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। লোকসভা ভোটের নিরিখে ডায়মন্ডহারবার পুর এলাকায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে শাসকদল। ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতেই এগিয়ে পদ্ম শিবির। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সেটি কোনও ফ্যাক্টর হবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব না। তবে তা যাতে না হয়, তার জন্যই তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এক একজন বিনয়ের অবতার হয়ে উঠেছেন।
ইতিমধ্যে সরিষা অঞ্চলে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শামিম আহমেদ মোল্লার নজরদারিতে দল বেঁধে বুথ ধরে ধরে সবার বাড়ি যাচ্ছেন তাঁরা। তাপস মণ্ডল, নীতিশ মোদক, আলাউদ্দিন মোল্লা, নিমাই হালদারের মতো নেতারাও সঙ্গে যাচ্ছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই অঞ্চলে থাকছেন তাঁরা। এই নিয়ে ফেসবুককে প্রচারও চলছে। অভাব অভিযোগ শোনার পাশাপাশি কীভাবে তার সমাধান করা যায়, সেই দিকেও নজর দিচ্ছেন ওই নেতারা। আপাতত এই কর্মসূচি ডায়মন্ডহারবার দু’নম্বর ব্লক দিয়ে শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি জায়গায় তা শুরু হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত বছর লোকসভা ভোটে কিন্তু এমন বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়নি। তাই রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে কেন এমন কর্মসূচি নিতে হল শাসকদলকে? আরও একটি প্রশ্ন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলকে। সেটা হল, এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক দীপক হালদারকে যেভাবে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে, তার কি কোনও প্রভাব পড়বে ভোটে? ডায়মন্ডহারবার দু’নম্বর ব্লকের সভাপতি অরুময় গায়েন বলেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে বিরোধীদের দিকে না চলে যায়, তার জন্যই এই বিশেষ পদক্ষেপ। আরও একটি লক্ষ্য হল, আগেরবারের থেকে এবারের জয়ের ব্যবধান বৃদ্ধি করা।
তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাটুর বক্তব্য, কাজ করে থাকলে এখন কেন তাঁদের এভাবে বাড়ি বাড়ি যেতে হচ্ছে? আসলে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে না। তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যানই করবে।