উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
টেলিফোনে ওই প্রৌঢ়া বললেন, এতদিন বাদেও সেই কথা ভুলতে পারছি না। বারুইপুর থেকে রাতের ট্রেনে মা-মেয়ে ফিরছিলাম শিয়ালদহে। ট্রেনটি পার্ক সার্কাসের কাছে আসতেই ওই যুবক আমার মেয়ের হাত থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। মেয়ে বাধা দিলে ওকে চড়-থাপ্পড়ের সঙ্গে মুখে ঘুসিও মারে। মেয়ে চিৎকার শুরু করে। কিন্তু শীতের রাতে ট্রেনের ওই মহিলা কামরা ছিল প্রায় ফাঁকা। মারধর করে সে মেয়ের হাতে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রৌঢ়ার মেয়ে বলেন, আচমকা মুখে ঘুসি মেরে সে ব্যাগটি নিয়ে পালায়।
আদালত এবং রেল পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ জানুয়ারি ওই ঘটনার পর মিতুনদেবী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে রেল পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন। জখম যুবতীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএসে। রেল পুলিস তদন্তে নেমে সোর্স মারফত জানতে পারে, এই ঘটনার ‘মূলচক্রী’ হল মাসাদ। তাকে গ্রেপ্তার করে জেরা শুরু করে জানা গিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শেখ নাজিবুল, ইমরান খান ও শেখ মেসাবুদ্দিন নামে আরও তিন যুবক। পরবর্তী সময় তারাও পুলিসের হাতে ধরা পড়ে। যদিও আদালতে মাসাদের দাবি, তাকে রেল পুলিস মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে।