যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
তবে, প্রার্থীর সামনেই সাংবাদমাধ্যমের কাছে এক জওয়ান বলেন, ওনাদের পার্টির লোকজন আমাদের মদ খাওয়াতে চেয়েছিল। আমরা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমরা মিথ্যা বলছি না। তখন কাকলি ঘোষদস্তিদার তাঁকে থামিয়ে বলেন, মিথ্যা বলছেন। আপনারা সকলকে পদ্মফুলে ছাপ দিতে বলছিলেন। তখন ওই জওয়ান বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারকে জিজ্ঞাসা করুন। প্রার্থী বলেন, আমি দু’বারের সাংসদ। আপনারা খাওয়ার জন্য যে ৯০ টাকা করে পান, সেটা বাড়ানোর জন্য আমিই প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। কাকলিদেবী বলেন, এই বিষয়টি আমি নির্বাচন কমিশনকেও বলব।
অন্যদিকে, দেগঙ্গার নন্দীপাড়ায় ১৩১ বুথের সামনে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের পাঁচজনকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর স্থানীয় জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি গাছতলায় বসে প্রতিবাদ জানান। সেখানেই ক্যাম্প অফিস চালু করেন। ঘটনাস্থলে বসে একেএম ফারহাদ বলেন, এখানে শান্তির ভোট হচ্ছে। অথচ, কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে আমাদের ক্যাম্প ভেঙে দিল। দলীয় কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বুকে রাইফেল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছে।
অন্যদিকে, রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভার ২৫৫ ও ২৫৬ বুথের সামনেও তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিয়ে চেয়ার ও টেবিল ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, জওয়ানরা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও দেয়। এই ঘটনার পর রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গৌরপদ দাসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভার তৃণমূলের যুব সভাপতি আফতাবউদ্দিনও ছিলেন। পরে কাকলি ঘোষদস্তিদারও ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। অন্যদিকে, এদিন দেগঙ্গার নুরনগর এলাকায় আক্রান্ত হন বারাসতের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হরিপদ বিশ্বাস। তিনি বলেন, আমাদের দলের পোলিং এজেন্টকে বসাতে গিয়েছিলাম। তখনই তৃণমূলের লোকজন আমাকে ধাক্কা দেয়। অপরদিকে, দেগঙ্গার গিলেবেড়িয়া এলাকায় বুথের বাইরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠে। জনতার তাড়া খেয়ে হামলাকারী বাইকে ফেলে পালিয়ে যায়। যদিও অনেকে বলছেন, বোমা নয়, বাজি ফাটানো হয়েছে। দেগঙ্গার সোহাই এফপি স্কুলে ১২০/৮৬ বুথের বাইরে চারজন বিজেপিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বারাসত জেলার বিজেপির সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের লোকজন ক্যাম্প অফিসের সামনে গিয়ে মেরেছে। আমাদের একজনকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
হাবড়ার সালকিয়াতেও চারজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে দু’জনের মাথা ফেটে গিয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মধ্যমগ্রামের নবাবপুরে ফরওয়ার্ড ব্লকের পোলিং এজেন্টকে বুথের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল নেতৃত্ব প্রতিটি অভিযোগই অস্বীকার করেছে।