Bartaman Patrika
সাপ্তাহিক বর্তমান
 

রোগ নিরাময়ে টোটকা?
ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য

হাতের কাছে চট করে পাওয়া যায় এমন ভেষজ যে প্রয়োজনে ছোটখাট অসুখ সারাতে পারে তা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে হয়তো কখনও জানতেন এখন আর মনে পড়ছে না। এইসব ভীষণ সস্তা কিন্তু কাজের ভেষজ কীভাবে ব্যবহার করে আপনি নিজেই সাধারণ অসুখ বিসুখের মোকাবিলা করতে পারবেন তা এই প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়। তবে যদি এতে না সারে তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 
১) পেটে ব্যথা: আদা শুঁঠ চূর্ণ জলে মিশিয়ে খেলে পেটে ব্যথা কমে। আদা কাঁচা অবস্থায় থেঁতো করে জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে সামান্য নুন মিশিয়ে খেতে হবে। আদার পরিবর্তে একইভাবে পুদিনাপাতার ক্বাথ প্রয়োগ করা যায়। এইভাবে ঘরোয়া ওষুধ প্রয়োগে যদি ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে ব্যথা না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 
২) হাইপার অ্যাসিডিটি: ভাজা জিরে অথবা মৌরি জলের সঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে ওই জল খেলে উপকার হয়। লবঙ্গ অথবা ছোট এলাচ চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া দই-এর ঘোল অল্প পরিমাণ গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে খুব ভালো। 
৩) পেটের আলসার: যষ্টিমধু চূর্ণ নিয়মিত খেলে উপকার হবে। রসুন খাওয়া যাবে না। বাঁধাকপির পাতার রস ৫-১০ এমএল মাত্রায় খাওয়ালে কাজ হয়। 
৪) কনস্টিপেশন: ত্রিফলা চূর্ণ অল্প জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। অতিরিক্ত চা-কফি-ফাস্ট ফুড এই সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এই সমস্যা দূর করতে নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। খেজুর কিশমিশ বা দ্রাক্ষা খেলে বাচ্চাদের কোষ্ঠবদ্ধতা কমে। 
৫) ডায়েরিয়া: ফোটানো জল ঠান্ডা করে নুন-চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে। এতে ডিহাইড্রেশন কমে। কাঁচাকলার তরকারি বা ঝোল, ছানা, দইয়ের ঘোল ডায়েরিয়া কমায়। 
৬) অরুচি: পুদিনা, হিং, জোয়ান ও পাতিলেবু অরুচি দূর করতে সাহায্য করে। আদা, লেবুর রস, বিটনুন এবং জোয়ান-এর পাউডার জলে মিশিয়ে পান করলে অরুচি দূর হয়। আপেল অথবা আনারসের রস গোলমরিচ চূর্ণ ও নুন দিয়ে খেলে ভালো কাজ হয়। চা, কফি, কোল্ডড্রিংক, অ্যালকোহল এবং ফাস্ট ফুড অরুচির সমস্যায় খাওয়া উচিত নয়। 
৭) বমি ভাব ও বমি: মৌরি, আদা শুঁঠ চূর্ণ, পুদিনা, পাতিলেবুর রস বমি দূর করে। বারবার বমি হলে নুন-চিনি-লেবুর শরবত খুব ধীরে ধীরে পান করতে হবে। এতে দেহে জলের ঘাটতি পূরণ হয়। ল্যাভেন্ডার, পাতিলেবুর গন্ধ বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। মুড়ি অথবা খই ভেজানো জল বমি দূর করে। এই জলে সামান্য জিরে ও বিটনুন গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। সামান্য দারুচিনি চূর্ণ জলে মিশিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এই পানীয় বমি কমাতে সাহায্য করে। কয়েকটি এলাচের দানা চিবিয়ে খেলেও বমি বা বমিভাব-এর সমস্যায় উপকার হবে। 
৮) পেটের সংক্রমণ: গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল ইনফেকশন কমাতে কুর্চি গাছের ছাল খুব উপকারী। এই ভেষজ জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেলে সংক্রমণ কমবে। শুঁঠ পিপুল-মরিচ সমমাত্রায় নিয়ে চূর্ণ করে জলে মিশিয়ে খেলে উপকার হবে। ডালিম ফলের বীজ বেটে বিটনুন ও গোলমরিচ চূর্ণ সহ খেতে হবে। বেল, গুড়ুচি, যষ্টিমধু, হরীতকী চূর্ণ এই সমস্যায় ভালো কাজ দেয়। 
৯) কৃমি: বিড়ঙ্গ ও পলাশবীজ খুব ভালো কাজ দেয়। জোয়ান, হিং, শুঁঠ চূর্ণ, বিটনুন, কাঁচা হলুদ কৃমি নাশ করে। এছাড়া নিম, চিরতা, কালমেঘ, শিউলি পাতার রস, আনারস পাতার রস কৃমির জন্য খুব উপকারী। 
১০) মুখে ঘা (মাউথ আলসার): মুখে ঘা সারাতে খদির বা খয়ের ভালো কাজ করে। ঘা-এর জ্বালাভাব কমাতে মধু অথবা মাখনের প্রলেপ কার্যকর। লক্ষ রাখবেন যেন কোষ্ঠবদ্ধতা না থাকে। নিয়মিত ত্রিফলা চূর্ণ খেলে উপকার হবে। পালং শাক, লাউ, শশার রস এই রোগে ভালো কাজ দেয়। কচি পেয়ারা পাতার রস উপকারী। কুল গাছের ছালের ক্বাথ মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। 
১১) কাশি: যষ্টিমধু, পিপুল, মরিচ, শুঁঠ চূর্ণ মধু দিয়ে খেতে পারেন। দারুচিনি চূর্ণ গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। শুকনো কাশিতে বুকে গলায় ঘাড়ে তিল তেল গরম করে মালিশ করলে উপকার হয়। এছাড়া তুলসী, বাসক, তালিশপত্র, তালমিছরি কাশি কমায়। গরম জল পানে কাশির কষ্ট দূর হয়। শুঁঠ-পিপুল-মরিচ চূর্ণ সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ থেকে ২ গ্রাম নিয়ে অল্প পরিমাণ গুড় ও গোঘৃত মিশিয়ে খেলে কাশি কমে। 
১২) গলা ব্যথা: গরম জলে ত্রিফলা চূর্ণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা কমে। ত্রিফলা চূর্ণ ছাড়া গার্গলের জলে হলুদ নুন মেশানো যেতে পারে। আখের রস, দুধ, ঘি ও মধুর মিশ্রণ গলা ব্যথা কমায়। দারুচিনি জলে ফুটিয়ে ক্বাথ তৈরি করতে হবে। এই ক্বাথে সামান্য গোলমরিচ চূর্ণ আর মধু দিয়ে দিনে তিন-চারবার ৫ এমএল পরিমাণে খেতে হবে। 
১৩) শ্বাসকষ্ট: এই রোগে খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর রাখা জরুরি। অতিরিক্ত ভাজাভুজি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, দই, ঘোল, ভারী খাবার যা সহজে হজম করা যায় না এবং প্রিজারভেটিভ দেওয়া প্রসেসড ফুড— এই ধরনের খাবার শ্বাসকষ্ট বাড়ায়। ঈষদুষ্ণ গরম জল শ্বাসকষ্টের সমস্যায় পান করলে উপকার পাবেন। পিপুল-যষ্টিমধু, খেজুর, কিশমিশ একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রণ কয়েক ফোঁটা মধু দিয়ে খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় উপকার হয়। এই রোগে কোষ্ঠবদ্ধতা যাতে না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। বাসা, কন্টিকারী, তুলসী, পিপুল-এর ক্বাথ খেলে উপকার হয়। 
১৪) জ্বর: জ্বর হলে হালকা সহজপাচ্য গরম খাবার খেতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ জল বা অন্যান্য পানীয় (ফলের রস, স্যুপ, চা, গরম জল) এবং বিশ্রাম খুব জরুরি। গোলমরিচ চূর্ণ ও গুড় দিয়ে তুলসী ক্বাথ খেতে পারেন। অথবা শুঁঠ চূর্ণ ও মধু মিশিয়ে তুলসীর ক্বাথ খেতে হবে। যষ্টিমধু ও দারুচিনির চূর্ণ জলে ফুটিয়ে ওই ক্বাথ পান করলে জ্বর কমে এবং ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ে। আঙুরের রসে জিরে ও মৌরি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে উপকার হবে। 
১৫) মাথা ব্যথা: জুঁই ফুল গাছ অথবা দাড়িম গাছের সবচেয়ে কচি পাতা ৫-৬টি নিয়ে সামান্য নুন সহ থেঁতো করে নিতে হবে। এরপর রস সংগ্রহ করে দুই নাসারন্ধ্রে (খুব ভোর এবং বিকেলে সূর্যাস্তের পর) ন্যাজাল ড্রপ হিসেবে দিতে হবে। যষ্টিমধু চূর্ণ দূর্বার রস মিশিয়ে প্রতিদিন দুপুরে পান করতে হবে। মনে রাখতে হবে মানসিক উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, উচ্চরক্তচাপ, দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা মাথা ব্যথার কারণ। তাই এই সব সমস্যা থাকলে তার প্রতিকার করতে হবে। 
১৬) অ্যালার্জি: চক্রমর্দ বা বনচাকুন্দের পাতা খুব ভালো কাজ দেয়। যে কোনও ধরনের অ্যালার্জি প্রতিরোধে হলুদ, আমলকী এবং দারুচিনি ভালো কাজ দেয়। অ্যালার্জি বা রাইনাইটিসে কালো জিরে খেতে পারেন। এছাড়া কালো জিরে তিল তেলে ফুটিয়ে নাকে ও গলায় মালিশ করলে উপকার হয়। এছাড়া আদা, তুলসী ও অশ্বগন্ধা অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে। 
১৭) দাঁতে ব্যথা ও মাড়ির সংক্রমণ: একচামচ অলিভ অয়েলে তিন ফোঁটা লবঙ্গ তেল মেশান। এই মিশ্রণ তুলোতে মিশিয়ে দাঁতের ওপর কিছুক্ষণ রাখলে ব্যথা কমে। একইভাবে রসুন, গোলমরিচ এবং নুনের পেস্ট দাঁতের ব্যথা কমাতে পারে। হিংকে সামান্য ভেজে নিতে হবে। এরপর মাখন অথবা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে তুলোতে করে দাঁতের গোড়ায় লাগাতে হবে। অর্জুনের ছাল, ত্রিফলা চূর্ণ এবং খদির সার (খয়ের) দিয়ে ক্বাথ বানাতে হবে। এই ক্বাথ মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ কমে। 
১৮) ডায়াবেটিস: মেথি বীজ, জামবীজ, উচ্ছে ও করলা, নিম, হলুদ, গুলঞ্চ, আমলকী, মেষশৃঙ্গী— এই সবকটি ভেষজ ডায়াবেটিস রোগে অত্যন্ত উপকারী। আমলকী ও হলুদ সমপরিমাণে নিয়ে বেটে অথবা রস করে খেলে ব্লাড সুগার কমে। সমমাত্রায় মেথি বীজ ও জামবীজ চূর্ণ জলে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়। একইভাবে নিম ও মেষশৃঙ্গীর পাতা চূর্ণ করে ৩ গ্রাম মাত্রায় খেলে উপকার পাবেন। শুঁঠ, পিপুল, মরিচ চূর্ণ হালকা গরম জলে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মেটাবলিজম বাড়ে। সজনে ডাঁটা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস রোগীর কিডনি ভালো রাখতে ত্রিফলা চূর্ণ খেতে পারেন। এছাড়া ত্রিফলা ইমিউনিটি বাড়ায়। অশ্বগন্ধা ইমউনিটি বাড়ায়, ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায় এবং স্ট্রেস কমায়। এক গ্লাস জলে অর্ধেক চামচ দারুচিনি পাউডার মিশিয়ে পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। পিয়াশাল গাছের কাণ্ডের কয়েকটি টুকরো রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ছেঁকে নিয়ে ওই জল পান করলে উপকার হবে। একইভাবে মেহগনি ফল ভেজানো জল খেতে পারেন। উচ্ছে ও করলা খেলে দেহে বেশি মাত্রায় ইনসুলিন তৈরি হয়। বেল ডায়াবেটিস রোগে খুব ভালো। 
১৯) ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম: আদা, জিরে, মৌরি এই রোগের উপকারী ভেষজ। ঘরে পাতা দই ও দই-এর ঘোল নিয়মিত খাওয়া ভালো, আদাশুঁঠ, গোলমরিচ জিরে ও বীটনুন পাউডার দিয়ে ঘোল খেলে উপকার পাবেন। হরীতকী চূর্ণ অথবা ত্রিফলা চূর্ণ খেতে পারেন। খাওয়ার অন্তত একঘণ্টা সময় পরে জল পান করুন। এই রোগের অন্যতম কারণ স্ট্রেস। যে কোনও উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা অথবা মানসিক অবসাদ এড়িয়ে চলা দরকার। এই জন্য অশ্বগন্ধা, শঙ্খপুষ্পী, ব্রাহ্মী অথবা জটামাংসী খেতে পারেন। 
২০) হাইপারটেনশন: অতিরিক্ত তেল, মশলা, নুন, তৈলাক্ত মাছ, মাংস, ফাস্ট ফুড এবং ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস এই রোগে ভীষণ ক্ষতিকর। পুনর্নবা, সর্পগন্ধা, ব্রাহ্মী, শতমূলী উচ্চরক্তচাপ (হাই প্রেশার) কমায়। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, ডাবের জল, তরমুজ ব্লাড প্রেশার কমায়। আদা শুঁঠ ও ধনিয়া গুঁড়ো (কোরিয়েন্ডার) জলে মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। অর্জুন গাছের ছালের টুকরো গো-দুগ্ধে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে পান করলে হাইপারটেনশন ও হার্টের সমস্যা কমে। রসুন, গুগ্গুল রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমায়। মঞ্জিষ্ঠা, গুলঞ্চ, ত্রিফলা এই রোগে খুবই উপকারী। যাঁদের মানসিক উত্তেজনা ও দুশ্চিন্তার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তাঁরা শঙ্খপুষ্পী ও ব্রাহ্মী খেলে উপকার পাবেন। 
২১) অস্টিও আর্থারাইটিস: আকন্দ গাছের কাঁচা পাতা হালকা গরম করে সেক দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে। গুগ্গুল এবং অশ্বগন্ধা অস্থিসন্ধির ব্যথা ও ফোলা কমায়, জয়েন্টের স্টিফনেস দূর করে। এর ফলে জয়েন্টের সঞ্চালন ও প্রসারণ সহজ হয়। হলুদও একইভাবে ফোলা, ব্যথা ও স্টিফনেস কমায়। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ আদা বা শুঁঠ খেলে উপকার হবে, কারণ আদা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণযুক্ত। 
সজিনার বীজ ক্যালশিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস। অস্টিওপোরোসিসকে দূরে রাখতে সজিনা খাওয়া ভালো। ওমেগা ৩ ফ্যাটিঅ্যাসিড যুক্ত খাবার যেমন মাছ, বাদাম, দানাশস্য এই রোগে খুব ভালো কাজ করে। বিশেষত, তিল, তিসি, সূর্যমুখীর বীজ খেলে উপকার হবে। শুকনো গরম বালির পুঁটুলি অথবা শুকনো কাপড় গরম করে সেক দিলে উপকার হয়। ত্রিফলা চূর্ণ অথবা শতাবরী খেলে এই রোগে ভালো ফল হয়। 
২২) ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম: ত্রিফলা, মৌরি, ধনিয়া জিরা, পিপুল এই রোগে খুবই উপকারী। এই সব ভেষজ একসঙ্গে চূর্ণ করে ১-৩ গ্রাম পরিমাণে জল অথবা দই এর ঘোল-এর সঙ্গে খেলে উপকার পাবেন। অতিরিক্ত ফাস্টফুড, ঠান্ডা পানীয়, অ্যালকোহল এই রোগ বাড়িয়ে তোলে। স্ট্রেস এই রোগের অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। শঙ্খপুষ্পী, ব্রাহ্মী, অশ্বগন্ধা স্ট্রেস কমাতে ভালো কাজ করে। 
২৩) স্থূলত্ব/ ওবেসিটি: উষ্ণ জল পান মেদ হ্রাসে সক্ষম, এছাড়া, মধু, গুগ্গুল ঘটিত ওষুধ বিশেষভাবে উপকারী। ত্রিফলা এবং কালো জিরা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া শুঁঠ, পিপুল, মরিচ চূর্ণ ওজন কমায়। মেথি, মরিচ দিয়ে তৈরি খাবার খেলে ফ্যাট কমে। মাষকলাই, দেবদারু, রাস্না এই সব ভেষজ চূর্ণ তেলে মিশিয়ে মালিশ করলে ত্বকে জমে থাকা ফ্যাট কমে। লঘু খাবার অথবা সাপ্তাহিক উপবাস ওজন কমাতে খুবই কার্যকর। 
২৪) চুলের সমস্যা: স্বাভাবিক অবস্থায় দিনে ৫০-১০০টি পর্যন্ত চুল ঝরে পড়তে পারে। কিন্তু তার বেশি হলে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন (দুধ, ছানা, ডিম, মাছ, মাংস, সোয়াবিন অথবা ডাল) থাকা দরকার। তিল তেল, অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল-এর যে কোনও একটাতে জবাফুল থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগালে উপকার হবে। যদি ছত্রাক সংক্রমণ বা খুশকির কারণে চুল ওঠে তবে পাতিলেবুর রস, নিমের রস অথবা মেথি পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। ভৃঙ্গরাজের পাতা তেলে ফুটিয়ে সেই তেল চুলে লাগালে চুলের বৃদ্ধি হয়। 
আর অকালে চুল পাকা রোধ হয়। এছাড়া অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। আমলকীর রস অথবা আমলকী পাউডার তেলে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল কালো ও মজবুত হয়। ব্রাহ্মীর রস চুলের জন্য খুব ভালো। কাঁচা ডিম মাখলে চুল মজবুত হয়। মেহেন্দি গাছের পাতা চুলের সংক্রমণ দূর করে। 
২৫) ত্বকের সমস্যা: ত্বকের অনুজ্জ্বল বিবর্ণ ভাব দূর করে ত্বককে মসৃণ করতে মধু ও সর খুব উপকারী। টম্যাটোর রস ত্বকের কালচে ভাব দূর করে এবং সানবার্ন কমায়। পেঁপে অথবা আপেলের পাল্প মুখে লাগাতে পারেন। দই অথবা দুধ মুখের ত্বকে লাগালে ত্বক ভালো থাকে। 
সপ্তাহে দু’দিন দুধ অথবা দই মাখুন এবং ২০ মিনিট পরে হাল্কা গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন। চন্দন, হলুদ, মসুরির ডাল বাটা ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করে। শঙ্খের গুঁড়ো জলে মিশিয়ে মাখলে ত্বক মসৃণ হয়। কমলালেবু, পাতিলেবু অথবা শশার রস ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করে। কেশর বা জাফরান দুধে মিশিয়ে মাখলে উপকার হবে। পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য এবং ঘুম ত্বকের জন্য বিশেষভাবে জরুরি। রোজ ওয়াটার, গাজরের রস লাগালে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। 
লেখিকা বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক চিকিত্সক

07th  October, 2024
খাবার নিয়ে নানা ভুল ধারণা 

খাবার নিয়ে প্রচলিত এমন অনেক ধারণা আছে যা একেবারেই ভুল। কলা খেলে নাকি শ্লেষ্মা হয়। ইউরিক অ্যাসিডে মসুর ডাল নিষিদ্ধ। এসব কি ঠিক? খাবার নিয়ে নানা ভুল ধারণা ভেঙে দিলেন পুষ্টিবিদ স্বাগতা মুখোপাধ্যায়।  বিশদ

01st  January, 2025
কোন খাবারের পর কী খাওয়া উচিত নয়?

ভোজনরসিক বাঙালি খেতে বসলে হুঁশ থাকে না। ভাত-রুটি, ডাল-তরকারি, মাছ-মাংসে রসনা তৃপ্তি হয় বটে, কিন্তু এইসব খাবার কতটা প্রয়োজনীয়? কতটা ক্ষতিকর? আয়ুর্বেদে আছে সব খাবারই ভালো, কিন্তু সংযোগ দোষে তা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। দেশ, কাল, অগ্নি, কোষ্ঠ, সংস্কার, পরিহার, উপচার, সম্পদ —এইরকম ১৭টি বিরোধ খাদ্য এড়িয়ে চলা দরকার। কোন খাবারের সঙ্গে কোন খাবার খাবেন না? কোন খাবার দিনে খাবেন? কোন ফল কখন খেতে হয়? বিরুদ্ধ খাদ্য কেন খাবেন না? লিখেছেন ডাঃ সুবলকুমার মাইতি।
বিশদ

01st  January, 2025
রহস্য মুক্তি পোস্টমর্টেমে!

শুধুই মৃতদেহ কাটাছেঁড়া নয়, অপরাধীকে চিহ্নিত করতে জরুরি হয়ে পড়ে পারিপার্শ্বিক প্রমাণও। জানাচ্ছেন প্রবীণ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ অজয় গুপ্ত বিশদ

01st  January, 2025
পোস্টমর্টেম কী

খুনের কিনারা করার জন্য সবথেকে প্রয়োজনীয় যে তথ্য তার সিংহভাগই পোস্টমর্টেম রিপোর্টে থাকে। হত্যার আগে ও সেই মুহূর্তে মনের অবস্থা, আচরণ কেমন ছিল ধর্ষক- হত্যাকারীর? সেটাই অপরাধের চালিকাশক্তি। আর সেই হদিশ মেলে পোস্টমর্টেমে। তদন্তের চাবিকাঠি ফরেনসিক রিপোর্ট। দেশের সাড়া জাগানো ধর্ষণ-প্রতিশোধমূলক 
হত্যার কথা লিখলেন সমৃদ্ধ দত্ত। ফরেনসিক এবং অটোপসি পরীক্ষা কী? খুন, অপঘাত, দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা—সবকিছুরই প্রমাণ রয়ে যায় দেহে। খুন কি চাপা দেওয়া যায়? দক্ষ পরীক্ষক-বিশেষজ্ঞরা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে উদ্ধার করে আনেন নিখুঁত সত্যকে। সেই কাজের ধরণ কেমন? ক্রাইমের আড়ালে থাকে এক অন্য থ্রিলার। ধাপে ধাপে এগন ফরেনসিক এক্সপার্টরা। কীভাবে? সেই রহস্যকথা শোনালেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ অজয় গুপ্ত। 
বিশদ

01st  January, 2025
গয়া কেন 
মুক্তিতীর্থ?

গয়াকে কেউ বলে তীর্থ, কেউ বলে ক্ষেত্র, কারও কাছে পরিচিত ধাম নামে। ইতিহাস-কিংবদন্তি-লোকথায় জড়িয়ে আছে গয়া। শুধু তীর্থই নয় পর্যটনেও গয়া প্রসিদ্ধ। শহরটির উত্থান ভৌগোলিকতাকেও হার মানায় পুরাণের রোমাঞ্চকর কাহিনি। এখানেই গয়াসুর বধ হয়। এখানেই আছে প্রাচীন অক্ষয়বট, বিষ্ণুপাদপদ্ম। এমন কোনও মহাপুরুষ নেই যিনি এখানে আসেননি। আছে রহস্যময় গদাধর শিলা আর প্রেতশিলা! মৃত‌্যুর পর মানুষের আত্মার ঠিকানা স্থির হয় এখানেই। মৃতের কল্যাণে আছে নানা বিধিব্যবস্থা। তবে সবকিছুকেই ছাড়িয়ে যায় গয়ার নানা মিথ। কেন এটি মুক্তিতীর্থ? অজানা, রহস্যময় গয়ার কথা লিখেছেন ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

01st  January, 2025
ব্লু জোনের শতায়ু ডায়েট
সঞ্চিতা চট্টোপাধ্যায়

নাম, যশ, অর্থ, ক্ষমতাশীল ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ এবং সুস্বাস্থ্য— তাহলে আপনি অবশ্যই ঈশ্বরের কাছ থেকে বরদান হিসেবে সুস্বাস্থ্যই বেছে নিতে চাইবেন! কারণ সুস্বাস্থ্য বজায় থাকলে যে কেউ বাকি সৌভাগ্য অর্জন করে নিতে পারেন। আর ভগ্নস্বাস্থ্য হলে বাকি সব সৌভাগ্য অধরা থাকতে বাধ্য! বিশদ

31st  December, 2024
দীর্ঘ জীবনের দাওয়াই 
সিম্পল লিভিং হাই থিংকিং
ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়

৮৯ বছর বয়স হল। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে রোগী দেখছি। এতদিন কেটে গেল সারা জীবনই কি স্বাস্থ্য অটুট থেকেছে? তা নয়। একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। জোর ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছিল। সেই একবারই! বরাবর যতখানি স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা সম্ভব, করেছি। তাতে কর্মবিরতি হয়নি। বিশদ

31st  December, 2024
আয়ু বাড়ানোর ডায়েট
শতভিষা বসু

প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা গড় আয়ু আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আয়ুষ্কাল মোটামুটি ৭০ বছর। ২৫ বছর আগে যা ছিল ৬২! আবার একজন মার্কিনির আয়ু প্রায় ৮০ বছর! ভারত বা বিদেশ— এতখানি আয়ুবৃদ্ধির পিছনে চিকিত্‍সাশাস্ত্রের উন্নতির যথেষ্ট হাত রয়েছে। বিশদ

31st  December, 2024
সুস্থভাবে দীর্ঘায়ু হতে কীভাবে 
সাহায্য করে যোগব্যায়াম
পরিতোষকুমার হাজরা

সারা বিশ্ব মেনে নিয়েছে যোগব্যায়ামের অপরিসীম গুণের কথা। ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ জুন বিশ্বযোগ দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), ভারত সরকার ও রাজ্য সরকার যোগ ও নেচারোপ্যাথি সিস্টেম অব মেডিসিন অ্যাক্ট ২০১০ তৈরি করেছে। বিশদ

31st  December, 2024
হোমিওপ্যাথিতে অসুখ নিরাময়
ডাঃ রামকৃষ্ণ ঘোষ

১৭৯৬ সাল। ওই বছরই বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি নামে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন। যেখানে রোগীকে একসঙ্গে একটি মাত্র ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে তোলাই হল চিকিৎসার মূলমন্ত্র। বিশদ

31st  December, 2024
সুস্থ দীর্ঘজীবনের 
জন্য কী কী করবেন?

মৃত্যু জীবনের অন্তিম পরিণতি, এটি জানার পরও বলতে হয়—প্রথমত এই সুন্দর পৃথিবী, ভালোবাসা, আনন্দ আর সম্পর্কের মধুর স্মৃতি ছেড়ে যেন মন বিশ্ব ছেড়ে যেতে চায় না। দ্বিতীয়ত, নশ্বর দেহ থেকে প্রাণবায়ু বেরিয়ে যাক, কিন্তু আমাদের কৃতকর্ম যেন মানুষের মনে বেঁচে থাকে, একেই বলে মরে বেঁচে থাকা, অমরত্ব। কিন্তু দেহের কোনও অমরত্ব নেই। জীবনযাত্রা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুষ্ঠু সমন্বয় গড়তে পারলে নীরোগ ও বলিষ্ঠ দেহ নিয়ে দীর্ঘকাল বাঁচা যায়। দীর্ঘজীবনের উপায় জানালেন ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়, আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডাঃ সুবলকুমার মাইতি, ডাঃ রামকৃষ্ণ ঘোষ, যোগবিশারদ পরিতোষকুমার হাজরা, পুষ্টিবিদ শতভিষা বসু। ব্লু জোন-এর শতায়ু মানুষদের আশ্চর্য জীবনযাত্রার কথা শোনালেন সঞ্চিতা চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

31st  December, 2024
জাতিস্মর কারা হয়?
তাঁরা কেন রহস্যময়?

জাতিস্মর কারা হয়? এখানেই যত বিস্ময়! এদের পূর্বজন্মের কথা মনে পড়ে। তেমনই তাদের কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সেই বিবরণও দেয়। একমাত্র তারাই মৃত্যুর অভিজ্ঞতা কিংবা স্মৃতির প্রত্যক্ষ বিবরণ দেওয়ার অধিকারী। জাতিস্মরদের নিয়ে যখনই গবেষকরা রিসার্চ করেন, তখনই প্রশ্ন করা হয়েছে মৃত্যু কীভাবে হল? তাঁর পরিবার-পরিজন-প্রতিবেশি-বন্ধু কেমন ছিল? মানুষ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত জানতে পারে না যে, ঠিক মৃত্যুর মুহূর্তটি কেমন হবে! কীভাবে পলকের মধ্যে মৃত্যু এসে জীবনকে স্তব্ধ করে দেয়! তখন কেমন বোধ হয়? মৃত্যুকে কেমন দেখেছে সে? এটাই যুগ যুগ ধরে জানতে চায় নশ্বর মানুষ! এর উত্তর জানে জাতিস্মররাই। কিন্তু সত্যিই কি উত্তর মেলে? এই চির রহস্যের কথা শোনালেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

30th  December, 2024
মৃত্যু কি আগাম
ইঙ্গিত দেয়?

স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন, মৃত্যু চিন্তা ভালো। কারণ এই জগৎ কতটা মিথ্যা সেটা বোঝার জন্য। তবে মৃত্যুভয় ভালো নয়। জগতের বড় বিস্ময় মৃত্যু। মৃত্যুকালে মানুষের শুদ্ধ চেতনাকে আচ্ছন্ন করে দেয় অন্ধকার। সাধক-যোগীরা সেই অন্ধকারকে কাটাতে পারেন। বীরের মতো দেহ ছেড়েছেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, রাম ঠাকুর, বালানন্দ ব্রহ্মচারি, নিগমানন্দ ঠাকুর, পরমহংস যোগানন্দ স্বামী, দুর্গাপুরী মাতাজি। মৃত্যুযোগ যাঁরা অভ্যাস করেন তাঁরাই নিজের মৃত্যুকালটি জানতে পারেন। সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন মৃত্যুকাল আসন্ন? মৃত্যুকালে মানুষের মুখ কেন খোলা থাকে? শাস্ত্রে আছে, কারও যদি মনে হয় সূর্যের তেজ কমে আসছে, তাহলে তার আয়ু বেশিদিন নেই। রয়েছে আরও কিছু পূর্ব লক্ষণ। মৃত্যুর পূর্বে মানুষ নানারকম স্বপ্ন দেখেন, কী সেই স্বপ্ন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।
বিশদ

07th  October, 2024
আত্মার উপস্থিতি কীভাবে
অনুভব করা যায়?

আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে অনেক কথা শোনা যায়। আশ্চর্যের বিষয়, মহাপুরুষ থেকে সাধারণ মানুষও আত্মার উপস্থিতি বুঝতে পারেন। আচার্য শঙ্করাচার্য থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ, আবার রাম ঠাকুর থেকে নিগমানন্দ সরস্বতী এমনকী বিশ্বের তাবড় মনীষীরাও স্বীকার করেন আত্মার অস্তিত্ব। জীবন ফুরিয়ে গেলেই তা শেষ হয়ে যায় না। এ বিষয়ে গীতা থেকে ভারতীয় অধ্যাত্মশাস্ত্র কী বলে? প্ল্যানচেটে অাত্মা আনা সম্ভব। কলকাতায় এক সময় এটি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু আত্মারা কখনও স্বইচ্ছায় আসেন তাঁর প্রিয়জনের কাছে! তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী হন। কোন পরিস্থিতিতে আত্মারা আসেন? কীভাবে বুঝবেন তাঁদের উপস্থিতি? কী সহায়তা করেন তাঁরা? লিখেছেন সোমব্রত সরকার। 
বিশদ

07th  October, 2024

Pages: 12345

একনজরে
গত দুই মরশুমে মোহন বাগানের যাবতীয় সাফল্যের অন্যতম কাণ্ডারি তিনি। তবে চলতি আইএসএলে একেবারেই ছন্দে নেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। তার উপর থাবা বসিয়েছে চোট। গত দু’টি ...

নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের অধিকারকে নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার। সেই লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন তৈরি করা হচ্ছে। ...

ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে প্রয়াত হলেন মুরারই-১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রমেশ রাজবংশী(৪০)। তাঁর বাড়ি মুরারই-১ ব্লকের গোঁড়শা পঞ্চায়েতের ডালিম্বা গ্রামে। ...

প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে প্রবাদপ্রতিম লেখকদের ছাপিয়ে গেল রকমারি কেরিয়ার গাইডেন্স বই। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা বইমেলার শেষদিনে বই বিক্রির এমনই তথ্য উঠে এল জেলা গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
aries

কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৬: মার্কিন লেখক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ও কূটনীতিবিদ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জন্ম
১৮৩৮: হাতে কলমে টেলিগ্রাফের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেন স্যামুয়েল মোর্স
১৮৫২: দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের মৃত্যু
১৮৮৪: বংশগতির প্রবক্তা গ্রেগর মেন্ডেলের মৃত্যু
১৯২৯: কলকাতায় এলেন মাদার টেরিজা
১৯৫৯: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কপিল দেবের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী বিন্দিয়া গোস্বামীর জন্ম
১৯৬৬: সঙ্গীত পরিচালক তথা শিল্পী এ আর রহমানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের জন্ম
১৯৭১: জাদুসম্রাট সিনিয়র পিসি সরকারের মৃত্যু
১৯৮০: বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার তথা সঙ্গীতজ্ঞ দীলিপকুমার রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী তথা মঞ্চাভিনেত্রী আঙুর বালার মৃত্যু
২০১৭: অভিনেতা ওম পুরির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২২ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী ৩০/৫ রাত্রি ৬/২৪। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩১/৫৩ রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/২/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১২/২১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। 
২১ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী রাত্রি ৬/৪৩। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৬। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। 
৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মধ্যপ্রদেশের মহাকালেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন অভিনেত্রী রিমি সেন

06:45:00 PM

সোনমার্গে শুরু হয়েছে তুষারপাত

06:22:00 PM

অসমের একটি কয়লা খনিতে আটকে পড়েছে বহু শ্রমিক! চলছে উদ্ধারকাজ

06:04:00 PM

ভুবনেশ্বরে চলছে ১৮তম প্রবাসী ভারতীয় দিবসের প্রস্তুতি

05:50:00 PM

পাসপোর্ট কাণ্ড: যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বললেন কলকাতা পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা

05:35:00 PM

১২৫৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

05:21:00 PM



Loading...