কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
১) পেটে ব্যথা: আদা শুঁঠ চূর্ণ জলে মিশিয়ে খেলে পেটে ব্যথা কমে। আদা কাঁচা অবস্থায় থেঁতো করে জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে সামান্য নুন মিশিয়ে খেতে হবে। আদার পরিবর্তে একইভাবে পুদিনাপাতার ক্বাথ প্রয়োগ করা যায়। এইভাবে ঘরোয়া ওষুধ প্রয়োগে যদি ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে ব্যথা না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
২) হাইপার অ্যাসিডিটি: ভাজা জিরে অথবা মৌরি জলের সঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে ওই জল খেলে উপকার হয়। লবঙ্গ অথবা ছোট এলাচ চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া দই-এর ঘোল অল্প পরিমাণ গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে খুব ভালো।
৩) পেটের আলসার: যষ্টিমধু চূর্ণ নিয়মিত খেলে উপকার হবে। রসুন খাওয়া যাবে না। বাঁধাকপির পাতার রস ৫-১০ এমএল মাত্রায় খাওয়ালে কাজ হয়।
৪) কনস্টিপেশন: ত্রিফলা চূর্ণ অল্প জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। অতিরিক্ত চা-কফি-ফাস্ট ফুড এই সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এই সমস্যা দূর করতে নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। খেজুর কিশমিশ বা দ্রাক্ষা খেলে বাচ্চাদের কোষ্ঠবদ্ধতা কমে।
৫) ডায়েরিয়া: ফোটানো জল ঠান্ডা করে নুন-চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে। এতে ডিহাইড্রেশন কমে। কাঁচাকলার তরকারি বা ঝোল, ছানা, দইয়ের ঘোল ডায়েরিয়া কমায়।
৬) অরুচি: পুদিনা, হিং, জোয়ান ও পাতিলেবু অরুচি দূর করতে সাহায্য করে। আদা, লেবুর রস, বিটনুন এবং জোয়ান-এর পাউডার জলে মিশিয়ে পান করলে অরুচি দূর হয়। আপেল অথবা আনারসের রস গোলমরিচ চূর্ণ ও নুন দিয়ে খেলে ভালো কাজ হয়। চা, কফি, কোল্ডড্রিংক, অ্যালকোহল এবং ফাস্ট ফুড অরুচির সমস্যায় খাওয়া উচিত নয়।
৭) বমি ভাব ও বমি: মৌরি, আদা শুঁঠ চূর্ণ, পুদিনা, পাতিলেবুর রস বমি দূর করে। বারবার বমি হলে নুন-চিনি-লেবুর শরবত খুব ধীরে ধীরে পান করতে হবে। এতে দেহে জলের ঘাটতি পূরণ হয়। ল্যাভেন্ডার, পাতিলেবুর গন্ধ বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। মুড়ি অথবা খই ভেজানো জল বমি দূর করে। এই জলে সামান্য জিরে ও বিটনুন গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। সামান্য দারুচিনি চূর্ণ জলে মিশিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এই পানীয় বমি কমাতে সাহায্য করে। কয়েকটি এলাচের দানা চিবিয়ে খেলেও বমি বা বমিভাব-এর সমস্যায় উপকার হবে।
৮) পেটের সংক্রমণ: গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল ইনফেকশন কমাতে কুর্চি গাছের ছাল খুব উপকারী। এই ভেষজ জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেলে সংক্রমণ কমবে। শুঁঠ পিপুল-মরিচ সমমাত্রায় নিয়ে চূর্ণ করে জলে মিশিয়ে খেলে উপকার হবে। ডালিম ফলের বীজ বেটে বিটনুন ও গোলমরিচ চূর্ণ সহ খেতে হবে। বেল, গুড়ুচি, যষ্টিমধু, হরীতকী চূর্ণ এই সমস্যায় ভালো কাজ দেয়।
৯) কৃমি: বিড়ঙ্গ ও পলাশবীজ খুব ভালো কাজ দেয়। জোয়ান, হিং, শুঁঠ চূর্ণ, বিটনুন, কাঁচা হলুদ কৃমি নাশ করে। এছাড়া নিম, চিরতা, কালমেঘ, শিউলি পাতার রস, আনারস পাতার রস কৃমির জন্য খুব উপকারী।
১০) মুখে ঘা (মাউথ আলসার): মুখে ঘা সারাতে খদির বা খয়ের ভালো কাজ করে। ঘা-এর জ্বালাভাব কমাতে মধু অথবা মাখনের প্রলেপ কার্যকর। লক্ষ রাখবেন যেন কোষ্ঠবদ্ধতা না থাকে। নিয়মিত ত্রিফলা চূর্ণ খেলে উপকার হবে। পালং শাক, লাউ, শশার রস এই রোগে ভালো কাজ দেয়। কচি পেয়ারা পাতার রস উপকারী। কুল গাছের ছালের ক্বাথ মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
১১) কাশি: যষ্টিমধু, পিপুল, মরিচ, শুঁঠ চূর্ণ মধু দিয়ে খেতে পারেন। দারুচিনি চূর্ণ গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। শুকনো কাশিতে বুকে গলায় ঘাড়ে তিল তেল গরম করে মালিশ করলে উপকার হয়। এছাড়া তুলসী, বাসক, তালিশপত্র, তালমিছরি কাশি কমায়। গরম জল পানে কাশির কষ্ট দূর হয়। শুঁঠ-পিপুল-মরিচ চূর্ণ সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ থেকে ২ গ্রাম নিয়ে অল্প পরিমাণ গুড় ও গোঘৃত মিশিয়ে খেলে কাশি কমে।
১২) গলা ব্যথা: গরম জলে ত্রিফলা চূর্ণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা কমে। ত্রিফলা চূর্ণ ছাড়া গার্গলের জলে হলুদ নুন মেশানো যেতে পারে। আখের রস, দুধ, ঘি ও মধুর মিশ্রণ গলা ব্যথা কমায়। দারুচিনি জলে ফুটিয়ে ক্বাথ তৈরি করতে হবে। এই ক্বাথে সামান্য গোলমরিচ চূর্ণ আর মধু দিয়ে দিনে তিন-চারবার ৫ এমএল পরিমাণে খেতে হবে।
১৩) শ্বাসকষ্ট: এই রোগে খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর রাখা জরুরি। অতিরিক্ত ভাজাভুজি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, দই, ঘোল, ভারী খাবার যা সহজে হজম করা যায় না এবং প্রিজারভেটিভ দেওয়া প্রসেসড ফুড— এই ধরনের খাবার শ্বাসকষ্ট বাড়ায়। ঈষদুষ্ণ গরম জল শ্বাসকষ্টের সমস্যায় পান করলে উপকার পাবেন। পিপুল-যষ্টিমধু, খেজুর, কিশমিশ একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রণ কয়েক ফোঁটা মধু দিয়ে খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় উপকার হয়। এই রোগে কোষ্ঠবদ্ধতা যাতে না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। বাসা, কন্টিকারী, তুলসী, পিপুল-এর ক্বাথ খেলে উপকার হয়।
১৪) জ্বর: জ্বর হলে হালকা সহজপাচ্য গরম খাবার খেতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ জল বা অন্যান্য পানীয় (ফলের রস, স্যুপ, চা, গরম জল) এবং বিশ্রাম খুব জরুরি। গোলমরিচ চূর্ণ ও গুড় দিয়ে তুলসী ক্বাথ খেতে পারেন। অথবা শুঁঠ চূর্ণ ও মধু মিশিয়ে তুলসীর ক্বাথ খেতে হবে। যষ্টিমধু ও দারুচিনির চূর্ণ জলে ফুটিয়ে ওই ক্বাথ পান করলে জ্বর কমে এবং ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ে। আঙুরের রসে জিরে ও মৌরি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে উপকার হবে।
১৫) মাথা ব্যথা: জুঁই ফুল গাছ অথবা দাড়িম গাছের সবচেয়ে কচি পাতা ৫-৬টি নিয়ে সামান্য নুন সহ থেঁতো করে নিতে হবে। এরপর রস সংগ্রহ করে দুই নাসারন্ধ্রে (খুব ভোর এবং বিকেলে সূর্যাস্তের পর) ন্যাজাল ড্রপ হিসেবে দিতে হবে। যষ্টিমধু চূর্ণ দূর্বার রস মিশিয়ে প্রতিদিন দুপুরে পান করতে হবে। মনে রাখতে হবে মানসিক উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, উচ্চরক্তচাপ, দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা মাথা ব্যথার কারণ। তাই এই সব সমস্যা থাকলে তার প্রতিকার করতে হবে।
১৬) অ্যালার্জি: চক্রমর্দ বা বনচাকুন্দের পাতা খুব ভালো কাজ দেয়। যে কোনও ধরনের অ্যালার্জি প্রতিরোধে হলুদ, আমলকী এবং দারুচিনি ভালো কাজ দেয়। অ্যালার্জি বা রাইনাইটিসে কালো জিরে খেতে পারেন। এছাড়া কালো জিরে তিল তেলে ফুটিয়ে নাকে ও গলায় মালিশ করলে উপকার হয়। এছাড়া আদা, তুলসী ও অশ্বগন্ধা অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে।
১৭) দাঁতে ব্যথা ও মাড়ির সংক্রমণ: একচামচ অলিভ অয়েলে তিন ফোঁটা লবঙ্গ তেল মেশান। এই মিশ্রণ তুলোতে মিশিয়ে দাঁতের ওপর কিছুক্ষণ রাখলে ব্যথা কমে। একইভাবে রসুন, গোলমরিচ এবং নুনের পেস্ট দাঁতের ব্যথা কমাতে পারে। হিংকে সামান্য ভেজে নিতে হবে। এরপর মাখন অথবা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে তুলোতে করে দাঁতের গোড়ায় লাগাতে হবে। অর্জুনের ছাল, ত্রিফলা চূর্ণ এবং খদির সার (খয়ের) দিয়ে ক্বাথ বানাতে হবে। এই ক্বাথ মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ কমে।
১৮) ডায়াবেটিস: মেথি বীজ, জামবীজ, উচ্ছে ও করলা, নিম, হলুদ, গুলঞ্চ, আমলকী, মেষশৃঙ্গী— এই সবকটি ভেষজ ডায়াবেটিস রোগে অত্যন্ত উপকারী। আমলকী ও হলুদ সমপরিমাণে নিয়ে বেটে অথবা রস করে খেলে ব্লাড সুগার কমে। সমমাত্রায় মেথি বীজ ও জামবীজ চূর্ণ জলে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়। একইভাবে নিম ও মেষশৃঙ্গীর পাতা চূর্ণ করে ৩ গ্রাম মাত্রায় খেলে উপকার পাবেন। শুঁঠ, পিপুল, মরিচ চূর্ণ হালকা গরম জলে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মেটাবলিজম বাড়ে। সজনে ডাঁটা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস রোগীর কিডনি ভালো রাখতে ত্রিফলা চূর্ণ খেতে পারেন। এছাড়া ত্রিফলা ইমিউনিটি বাড়ায়। অশ্বগন্ধা ইমউনিটি বাড়ায়, ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায় এবং স্ট্রেস কমায়। এক গ্লাস জলে অর্ধেক চামচ দারুচিনি পাউডার মিশিয়ে পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। পিয়াশাল গাছের কাণ্ডের কয়েকটি টুকরো রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ছেঁকে নিয়ে ওই জল পান করলে উপকার হবে। একইভাবে মেহগনি ফল ভেজানো জল খেতে পারেন। উচ্ছে ও করলা খেলে দেহে বেশি মাত্রায় ইনসুলিন তৈরি হয়। বেল ডায়াবেটিস রোগে খুব ভালো।
১৯) ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম: আদা, জিরে, মৌরি এই রোগের উপকারী ভেষজ। ঘরে পাতা দই ও দই-এর ঘোল নিয়মিত খাওয়া ভালো, আদাশুঁঠ, গোলমরিচ জিরে ও বীটনুন পাউডার দিয়ে ঘোল খেলে উপকার পাবেন। হরীতকী চূর্ণ অথবা ত্রিফলা চূর্ণ খেতে পারেন। খাওয়ার অন্তত একঘণ্টা সময় পরে জল পান করুন। এই রোগের অন্যতম কারণ স্ট্রেস। যে কোনও উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা অথবা মানসিক অবসাদ এড়িয়ে চলা দরকার। এই জন্য অশ্বগন্ধা, শঙ্খপুষ্পী, ব্রাহ্মী অথবা জটামাংসী খেতে পারেন।
২০) হাইপারটেনশন: অতিরিক্ত তেল, মশলা, নুন, তৈলাক্ত মাছ, মাংস, ফাস্ট ফুড এবং ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস এই রোগে ভীষণ ক্ষতিকর। পুনর্নবা, সর্পগন্ধা, ব্রাহ্মী, শতমূলী উচ্চরক্তচাপ (হাই প্রেশার) কমায়। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, ডাবের জল, তরমুজ ব্লাড প্রেশার কমায়। আদা শুঁঠ ও ধনিয়া গুঁড়ো (কোরিয়েন্ডার) জলে মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। অর্জুন গাছের ছালের টুকরো গো-দুগ্ধে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে পান করলে হাইপারটেনশন ও হার্টের সমস্যা কমে। রসুন, গুগ্গুল রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমায়। মঞ্জিষ্ঠা, গুলঞ্চ, ত্রিফলা এই রোগে খুবই উপকারী। যাঁদের মানসিক উত্তেজনা ও দুশ্চিন্তার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তাঁরা শঙ্খপুষ্পী ও ব্রাহ্মী খেলে উপকার পাবেন।
২১) অস্টিও আর্থারাইটিস: আকন্দ গাছের কাঁচা পাতা হালকা গরম করে সেক দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে। গুগ্গুল এবং অশ্বগন্ধা অস্থিসন্ধির ব্যথা ও ফোলা কমায়, জয়েন্টের স্টিফনেস দূর করে। এর ফলে জয়েন্টের সঞ্চালন ও প্রসারণ সহজ হয়। হলুদও একইভাবে ফোলা, ব্যথা ও স্টিফনেস কমায়। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ আদা বা শুঁঠ খেলে উপকার হবে, কারণ আদা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণযুক্ত।
সজিনার বীজ ক্যালশিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস। অস্টিওপোরোসিসকে দূরে রাখতে সজিনা খাওয়া ভালো। ওমেগা ৩ ফ্যাটিঅ্যাসিড যুক্ত খাবার যেমন মাছ, বাদাম, দানাশস্য এই রোগে খুব ভালো কাজ করে। বিশেষত, তিল, তিসি, সূর্যমুখীর বীজ খেলে উপকার হবে। শুকনো গরম বালির পুঁটুলি অথবা শুকনো কাপড় গরম করে সেক দিলে উপকার হয়। ত্রিফলা চূর্ণ অথবা শতাবরী খেলে এই রোগে ভালো ফল হয়।
২২) ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম: ত্রিফলা, মৌরি, ধনিয়া জিরা, পিপুল এই রোগে খুবই উপকারী। এই সব ভেষজ একসঙ্গে চূর্ণ করে ১-৩ গ্রাম পরিমাণে জল অথবা দই এর ঘোল-এর সঙ্গে খেলে উপকার পাবেন। অতিরিক্ত ফাস্টফুড, ঠান্ডা পানীয়, অ্যালকোহল এই রোগ বাড়িয়ে তোলে। স্ট্রেস এই রোগের অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। শঙ্খপুষ্পী, ব্রাহ্মী, অশ্বগন্ধা স্ট্রেস কমাতে ভালো কাজ করে।
২৩) স্থূলত্ব/ ওবেসিটি: উষ্ণ জল পান মেদ হ্রাসে সক্ষম, এছাড়া, মধু, গুগ্গুল ঘটিত ওষুধ বিশেষভাবে উপকারী। ত্রিফলা এবং কালো জিরা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া শুঁঠ, পিপুল, মরিচ চূর্ণ ওজন কমায়। মেথি, মরিচ দিয়ে তৈরি খাবার খেলে ফ্যাট কমে। মাষকলাই, দেবদারু, রাস্না এই সব ভেষজ চূর্ণ তেলে মিশিয়ে মালিশ করলে ত্বকে জমে থাকা ফ্যাট কমে। লঘু খাবার অথবা সাপ্তাহিক উপবাস ওজন কমাতে খুবই কার্যকর।
২৪) চুলের সমস্যা: স্বাভাবিক অবস্থায় দিনে ৫০-১০০টি পর্যন্ত চুল ঝরে পড়তে পারে। কিন্তু তার বেশি হলে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন (দুধ, ছানা, ডিম, মাছ, মাংস, সোয়াবিন অথবা ডাল) থাকা দরকার। তিল তেল, অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল-এর যে কোনও একটাতে জবাফুল থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগালে উপকার হবে। যদি ছত্রাক সংক্রমণ বা খুশকির কারণে চুল ওঠে তবে পাতিলেবুর রস, নিমের রস অথবা মেথি পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। ভৃঙ্গরাজের পাতা তেলে ফুটিয়ে সেই তেল চুলে লাগালে চুলের বৃদ্ধি হয়।
আর অকালে চুল পাকা রোধ হয়। এছাড়া অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। আমলকীর রস অথবা আমলকী পাউডার তেলে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল কালো ও মজবুত হয়। ব্রাহ্মীর রস চুলের জন্য খুব ভালো। কাঁচা ডিম মাখলে চুল মজবুত হয়। মেহেন্দি গাছের পাতা চুলের সংক্রমণ দূর করে।
২৫) ত্বকের সমস্যা: ত্বকের অনুজ্জ্বল বিবর্ণ ভাব দূর করে ত্বককে মসৃণ করতে মধু ও সর খুব উপকারী। টম্যাটোর রস ত্বকের কালচে ভাব দূর করে এবং সানবার্ন কমায়। পেঁপে অথবা আপেলের পাল্প মুখে লাগাতে পারেন। দই অথবা দুধ মুখের ত্বকে লাগালে ত্বক ভালো থাকে।
সপ্তাহে দু’দিন দুধ অথবা দই মাখুন এবং ২০ মিনিট পরে হাল্কা গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন। চন্দন, হলুদ, মসুরির ডাল বাটা ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করে। শঙ্খের গুঁড়ো জলে মিশিয়ে মাখলে ত্বক মসৃণ হয়। কমলালেবু, পাতিলেবু অথবা শশার রস ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করে। কেশর বা জাফরান দুধে মিশিয়ে মাখলে উপকার হবে। পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য এবং ঘুম ত্বকের জন্য বিশেষভাবে জরুরি। রোজ ওয়াটার, গাজরের রস লাগালে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।