কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
গত ৩০ জুন টেলিফোন ভবনে বাম-ডান সংগঠনগুলির ১৭ জন নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সিজিএম। হাজির ছিলেন সংস্থার আরও ১৪ জন বড় কর্তা। সেখানেই দিল্লির কর্তাদের এহেন মনোভাবের কথা নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বিচার করে ওই বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের সঙ্গে সকলেই একমত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত কর্মী-অফিসারদের ইউনিয়নগুলি এবার থেকে আন্দোলনরত ঠিকাকর্মীদের সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা নেবে।
বৈঠকে সিজিএম বলেছেন, সংস্থার আয় হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা, ব্যয় ৯০০ কোটি। পরিষেবা ও কর্মীদের কথা ভেবে দিল্লির সদর দপ্তর অন্যান্য সার্কেলের রাজস্ব থেকে কেটে লোকসানের ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। তা সত্ত্বেও লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাকর্মীরা। গত এক মাসে তা জঙ্গি আকার নিয়েছে। কার্যত তালা পড়ে গিয়েছে সংস্থার ছোট-বড় ২২টি এক্সচেঞ্জে। আক্রান্ত হচ্ছেন স্থায়ী কর্মী-অফিসাররা। ফোন-ব্রডব্যান্ড মেরামতির কাজ ব্যাহত হওয়ায় গ্রাহকরা বিরক্ত হয়ে লাইন ছেড়ে দিতে শুরু করেছেন। গ্রাহক স্বার্থে গোটা দেশেই ফল্ট রিপেয়ারের জন্য আউটসোর্সিং ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসএনএল। সর্বত্র টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এখানে আপাতত যে ৮টি ক্লাস্টারের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, সেখানে নতুন ভেন্ডারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। অথচ কেরল, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে একাজে কোনও সমস্যা হয়নি। তাই সংস্থা বাঁচাতে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি কর্মী-অফিসারদের সংগঠনকেও এব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। নচেৎ চরম পরিণামের জন্য সকলকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে দিল্লির তরফে। প্রসঙ্গত, ঠিকাকর্মীদের বকেয়া নিয়েই এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। কৃর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা গত বছর জুন মাস থেকে সঠিক বিল দাখিল করেননি। যদিও ইউনিয়নগুলি সে কথা মানতে নারাজ।