কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের কথা আঁচ করে পাল্টা রাস্তার কথা ভেবেছে সংঘাতে যাওয়া শ্রমিক সংগঠনগুলিও। আরএসএস পরিচালিত সংগঠন বিএমএস ঠিক করেছে, প্রধানমন্ত্রীর তরফে কোনও চিঠি এলেই শ্রমিকদের দিয়ে তার উত্তর দেওয়া হবে। খনি বেসরকারিকরণ যে কার্যত আত্মহত্যার শামিল— প্রত্যেক শ্রমিককে দিয়ে একই বয়ানে জবাবি চিঠি পাঠানোর কথা চিন্তা করেছে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্র বাকি চারটি বাম ও ডানপন্থী কয়লা শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএমএস-এর শীর্ষস্থানীয় নেতা ডঃ বি কে রাই। উল্লেখ্য, সঙ্ঘের সঙ্গে দীর্ঘকাল যুক্ত থাকার সুবাদে মোদির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে ডঃ রাইয়ের। জানা গিয়েছে, ২-৪ জুলাই দেশের সব কয়লা খনিতে বেসরকারিকরণের ইস্যুতে ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ফলে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির। ধর্মঘট প্রত্যাহারের বহু চেষ্টা করেও দু’পক্ষই অনড় থাকায় রফাসূত্র মেলেনি। এরপর আরও এক ধাপ এগিয়ে আগামী ১৮ আগস্ট ফের একদিনের খনি ধর্মঘটের ঘোষণা করেছে সংগঠনগুলি। শুধু তাই নয়, আগ্রহী বেসরকারি সংস্থাগুলি টেন্ডারপত্র জমা দেওয়ার আগে খনি পরিদর্শনে এলে তাদের প্রবল বাধার মুখে ফেলা হবে। মন্ত্রকের আধিকারিকরা বলছেন, সম্ভবত একথা টের পেয়েই এবার সক্রিয় হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। সেখান থেকে সব শ্রমিকের বিস্তারিত ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ঠিক হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক শ্রমিককে চিঠি লিখে বেসরকারিকরণের ফলে দেশের কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধি ও আমদানি হ্রাসের মাধ্যমে কীভাবে আগামীদিনে এই শিল্পে ভারত স্বনির্ভর হয়ে উঠবে তা সবিস্তারে জানাবেন।