অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
বিশ্বকাপ তিরন্দাজিতে শুরু থেকেই ছন্দে রয়েছেন ভারতীয়রা। বিশেষ করে মহিলাদের বিভাগে একচেটিয়া দাপট দেখালেন জ্যোতি। দলগত ইভেন্টে পজক জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এই দলে জ্যোতি ছাড়াও ছিলেন অদিতি স্বামী ও পারণীত কাউর। পদক নির্নায়ক ম্যাচে ২৩৬-২২৫ পয়েন্টে ইতালির মহিলা দলকে হারালেন তাঁরা। এরপর মিক্সড ইভেন্টে অভিষেক শর্মার সঙ্গে জুটি বাঁধেন জ্যোতি। সাফল্য আসে সেখানেও। ফাইনালে তাঁরা বশ মানান এস্তোনিয়ার লিসেল-রবিন জুটিকে। জ্যোতিদের পক্ষে খেলার ফল ১৫৮-১৫৭। এরপর সিঙ্গলসে তিনি হারালেন মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া বেসেরাকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই গড়ায় টাইব্রেকারে। দু’জনের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৪৬-১৪৬। তাতেও বিজয়ী নির্ধারিত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নিতে হয় বুলস আইয়ের নিকটতম লক্ষ্যভেদের হিসেবকে। তাতে শেষ হাসি হাসেন জ্যোতি (৯*-৯)। বিশ্বকাপের এক আসরে তিনটি সোনা জয়ের সুবাদে তিনি স্পর্শ করলেন দীপিকা কুমারীর নজির। ২০২১ সালে দীপিকা একই রকম আলো ছড়িয়েছিলেন। এবার তাতে ভাগ বসালেন জ্যোতি।
দেশবাসীকে সোনা উপহার দিল পুরুষ দলও। অভিষেক, প্রিয়াংশ ও প্রথমেশরা ফাইনালে ২৩৮-২৩১ পয়েন্টে হারালেন নেদারল্যান্ডসকে। গত বছর হাংঝউ এশিয়ান গেমসে দলগত ও ব্যক্তিগত ইভেন্ট মিলিয়ে মোট ছ’টি সোনা জিতেছিল ভারতীয় দল। বিশ্বকাপে সেই সাফল্য ছাপিয়ে যাওয়ার হাতছানি মেন ইন ব্লু’র সামনে। রবিবার রিকার্ভ ইভেন্টের শেষ পর্বে ফেভারিট হিসেবে নামবেন দীপিকা কুমারীরা।