শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
(নোগুয়েরা) (নাওরেম মহেশ-২)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই টিভির পর্দায় ভেসে উঠল তাঁর মুখ। লিগ টেবিলে সবার শেষে থাকা দলকে কামব্যাক করানোর যে চ্যালেঞ্জ তিনি নিয়েছিলেন, তার প্রথম ধাপ অতিক্রমে সফল মারিও রিভেরা। স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই জ্বলল জয়ের মশাল। চলতি আইএসএলে প্রথমবার তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল এসসি ইস্ট বেঙ্গল। বুধবার এফসি গোয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারাল তারা। জোড়া গোলে নায়ক নাওরেম মহেশ সিং। এফসি গোয়ার একমাত্র গোলটি অ্যালবার্ট নাগুয়েরার। এই জয়ের সুবাদে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে পিছনে ফেলে লিগ টেবিলে দশম স্থানে উঠে এল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ১২ ম্যাচে মহম্মদ রফিকদের সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। পক্ষান্তরে, হেরে ১২ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে রইল গোয়া। উল্লেখ্য, গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি শেষবার আইএসএলে জয়ের মুখ দেখেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
মরশুমের মাঝপথে দায়িত্ব নিয়ে রাতারাতি যে দলের ভোল বদলে দেওয়া সম্ভব নয়, তা ভালোমতোই জানতেন কোচ রিভেরা। তাই প্রথম একাদশে খুব বেশি কাটাছেঁড়া করেননি তিনি। আপফ্রন্টে হাওকিপের সঙ্গে মহেশকে রেখে সাজিয়েছিলেন দল। পাশাপাশি গত ম্যাচে চোট পাওয়া আদিল খানও শুরু থেকেই মাঠে নামেন। চলতি লিগে একাধিক ম্যাচে লিড নিয়েও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল। বুধবারও শুরুটা দারুণ করেন রফিক-অরিন্দমরা। ৯ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন নাওরেম মহেশ। প্রতিপক্ষ রক্ষণের ব্যর্থতাকে কাজে লাগাতে ভুল করেননি এই তরুণ ফুটবলারটি। এডু বেদিয়ার বাড়ানো বল ধরে পাল্টা ব্যাক পাস করেন নোগুয়েরা। তবে যোগ্য সুযোগ সন্ধানীর মতো সেই বল ধরে আনোয়ার আলিকে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মহেশ (১-০)। যদিও সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লাল-হলুদ ডিফেন্ডাররা। ৩৭ মিনিটে দারুণ সংগঠিত আক্রমণ থেকে দলকে সমতায় ফেরান নোগুয়েরা। বাঁ প্রান্ত থেকে জর্জ ওর্তিজের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি এই অভিজ্ঞ স্প্যানিশ মিডিওর (১-১)।
ম্যাচে এগিয়ে থেকেও তা হাতছাড়া হওয়ায় কিঞ্চিৎ হতাশা গ্রাস করে পর্চেদের। এই পর্বে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক দেখায় গোয়াকে। তারই মধ্যে এক নিশ্চিত গোল সেভ করেন অরিন্দম। তবে ম্যাচের গতির বিপরীতে আরও একবার প্রতিপক্ষ ডিফেন্সের ভুল কাজে লাগিয়ে ইস্ট বেঙ্গলকে এগিয়ে দেন নাওরেম। গোলরক্ষক ধীরাজকে লক্ষ্য করে পাস বাড়ান লিয়েন্ডার। তবে তরুণ কিপারটি বুঝে ওঠার আগেই সেই বল ধরে ডানপায়ের ভলিতে দুরন্ত শটে লক্ষ্যভেদ নাওরেমের (২-১)। তাঁর শট ক্রসপিসে লেগে বল গোল লাইন টপকে গেলেও রেফারি গোলের বাঁশি বাজাননি। তবে সহকারীর সহযোগিতায় দ্রুত ভুল শুধরে নেন।
প্রথমার্ধে দল লিড নিয়ে মাঠ ছাড়লেও, রক্ষণের পারফরম্যান্স খুব একটা স্বস্তিতে রাখেনি কোচ মারিওকে। তাই দ্বিতীয়ার্ধে অভিজ্ঞ রাজু গায়কোয়াড়কে মাঠে নামান তিনি। এই পর্বে মূলত বল পজেশনের উপর জোর দেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ম্যাচ যত গড়াতে থাকে, ততই ছন্নছাড়া দেখায় গোয়াকে। প্রথমার্ধের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক বেশি সংঘবদ্ধ ফুটবল খেলেন আদিল, সৌরভরা।
এসসি ইস্ট বেঙ্গল: অরিন্দম, অমরজিৎ, আদিল, পর্চে, অঙ্কিত, রফিক (রাজু), ড্যারেল, সৌরভ, আঙ্গুসানা, নাওরেম মহেশ (জ্যাকিচাঁদ), হাওকিপ (বলবন্ত)।