কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
রবিবার ২৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস লিখেছেন বাবর আজমরা। বিশ্বকাপে এই প্রথমবার ভারতকে হারিয়েছেন তাঁরা। শুধু হারানোই নয়, দশ উইকেটে ছিনিয়ে নিয়েছেন জয়। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে দেখিয়েছেন দাপট। যার জবাব ছিল না টিম ইন্ডিয়ার কাছে। এই জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তান জুড়ে চলছে উৎসব। যেন বিশ্বকাপই জিতে ফেলেছেন আজমরা। সেই উচ্ছ্বাসের রেশ স্পর্শ করছে সবুজ জার্সিধারীদেরও। আর এখানেই সতর্ক হতে চাইছে শিবির। ভারতকে হারানোর সৌরভ যতই মনমাতানো হোক, তা যেন কিউয়িদের বিরুদ্ধে জয়ের পথে কাঁটা হয়ে না ওঠে, সেদিকে সচেষ্ট থাকছেন স্বয়ং অধিনায়ক। সতীর্থদের একজোট করে তিনি বলে দিয়েছেন, ‘শুধু ভারতকে হারাতে আমরা এখানে আসিনি। বিশ্বকাপ জেতাই আমাদের লক্ষ্য। আর আমি তা ভুলছি না।’ অর্থাৎ, ফাঁক গলেও যাতে শিবিরে আত্মতুষ্টি ঢুকতে না পারে, হুঁশিয়ার বাবর।নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবশ্য একটা অন্য বোঝাপড়াও বাকি পাকিস্তানের। সম্ভাব্য জঙ্গিহানার কথা তুলে সম্প্রতি শেষ মুহূর্তে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছিল কিউয়িরা। ইংল্যান্ডও খেলতে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তানে। যার ফলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ব্যাহত হয়েছিল। প্রকাশ্যে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের সমালোচনা না করলেও প্রতিশোধ নেওয়ার একটা তাগিদ থাকারই কথা বাবরের। বিশ্বকাপ অভিযানের গোড়ায় ভারতের বিরুদ্ধে পাকদের অবশ্য রীতিমতো শক্তিশালী দেখিয়েছে। নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদির স্যুইংয়ের হদিশই পাননি রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলরা। হ্যারিস রউফ ঘণ্টায় দেড়শো কিমি গতিতে বল করেছেন। আবার গতির হেরফেরে বিভ্রান্তও করেছেন। তিন স্পিনার শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, মহম্মদ হাফিজরা লাইন-লেংথে অভ্রান্ত থেকেছেন। ব্যাট হাতেও দেড়শো রানের বেশি যোগ করে জিতিয়ে ফিরেছেন মহম্মদ রিজওয়ান, আজমরা। ভারতীয় বোলারদের সামনে বিন্দুমাত্র বিব্রত দেখায়নি পাক ওপেনিং জুটিকে।ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, কাইল জেমিসনদেরও তাই মঙ্গলবার কড়া পরীক্ষায় ফেলবেন বাবর-রিজওয়ান জুটি। মিডল অর্ডারে শোয়েব মালিক, মহম্মদ হাফিজের অভিজ্ঞতাও থাকছে। এমনিতে কিউয়িদের বোলিং মারাত্মক শক্তিশালী। কিন্তু, দুটো প্রস্তুতি ম্যাচেই হেরেছে তারা। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের কনুইয়ের চোটও উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে নিউজিল্যান্ডের।