কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
সকাল দেখেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। শাহিন আফ্রিদির আগুনে পেস ও বিষাক্ত স্যুইংয়ের ছোবলে ভারতীয় ব্যাটিং শুরুতেই টলে যায়। তা সত্ত্বেও বিরাটের চোয়ালচাপা অর্ধশতরানের সুবাদে ৭ উইকেটে ১৫১ রান তোলে ভারত। তখনও সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই আশার ফানুস উড়িয়ে লিখছিলেন, এটা ‘ফাইটিং’ স্কোর। কিন্তু ভুল ভাঙতে সময় লাগেনি। পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ানের পরিকল্পিত ও দাপুটে ব্যাটিংয়ের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় ভারতীয় বোলারদের যাবতীয় জারিজুরি। সামি, ভুবনেশ্বরদের বোলিংয়ে কোনও পরিকল্পনার ছাপ ধরা পড়েনি। দীর্ঘদিন টি-২০’র সার্কিটে না থাকা ভুবিকে এই ম্যাচে খেলানোটাই ভুল। ব্যর্থ স্পিনাররাও। ‘কাগুজে বাঘ’ বরুণ চক্রবর্তী। মিস্ট্রি স্পিনারের বোলিংয়ে কোনও রহস্যই দানা বাঁধেনি। তাই হাসতে হাসতেই পাকিস্তানকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছেন বাবর আজম (অপরাজিত ৬৮), মহম্মদ রিজওয়ান (অপরাজিত ৭৮)। এ যেন এক অন্য পাকিস্তান।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। প্রথম ওভারেই ‘গোল্ডেন ডাক’ রোহিত শর্মা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে দিনের সেরা ডেলিভারিতে লোকেশ রাহুলের স্টাম্প ছিটকে দিয়ে শাহিন যেন পাক শিবিরের ‘শাহেনশা’। স্কোর তখন ৬/২। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। ‘শত্রুপক্ষ’ সুযোগ বুঝে আত্মসমর্পণের বার্তা দিচ্ছে। কিন্তু কোহলি নাছোড়বান্দা। শাহিনকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে পাল্টা লড়াই ছুঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ভারত অধিনায়ক। তিনি যে বড় মঞ্চের ‘নায়ক’, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন। হাঁকালেন টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বাধিক হাফ-সেঞ্চুরিও (১০টি)। টপকে গেলেন ক্রিস গেইলকে (৯)। কিন্তু সেই লড়াই প্রাপ্য মর্যাদা পেল না সতীর্থদের গাছাড়া মনোভাবের জন্য। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব (১১)। ক্রমাগত উইকেট পতনের ফলে ভারতের রান রেট কখনওই গতি পায়নি। প্রশংসা করতেই হবে পাক ক্রিকেটারদের। আঁটসাঁট বোলিং ও দুরন্ত ফিল্ডিংয়ে জয়ের পথ তৈরি করেছেন সাদাব, হাসানরা।
চতুর্থ উইকেটে বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্থ ৫৩ রান যোগ করার পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল ভারতীয় শিবিরে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ৩৯ রানে আউট হন পন্থ । তথৈবচ রবীন্দ্র জাদেজা (১৩ বলে ১৩), হার্দিক পান্ডিয়া (১১ বলে ১১)। এঁদের যাবতীয় হম্বিতম্বি আইপিএলে। মোটা অর্থের লোভে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে যতটা এঁরা ঘাম ঝরান, দেশের জার্সিতে ততটা নয়। শাহিন আফ্রিদির বলেই বিরাট কোহলি ৫৭ রানে আউট হন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা। ভারতের ব্যর্থতার দিনে সান্ত্বনা বলতে শুধুই বিরাটের লড়াকু ইনিংস।