কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
১) অতীত রেকর্ড ও আত্মতুষ্টি
বিশ্বকাপের মঞ্চে ১২-০। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একচ্ছত্র আধিপত্যই হয়তো বিপদ ডেকে আনল। আত্মতুষ্টি যে ছিল ভারতীয় শিবিরে, তার প্রমাণ তো দেরিতে মাঠে যাওয়ার মধ্যেই। পাক ক্রিকেটাররা কিন্তু অনেক আগেই মাঠে নেমে পড়েছিলেন।
২) টস ও শিশির ফ্যাক্টর
মরুদেশে টসে জিতে যে কোনও দলই ফিল্ডিং করতে চাইবে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়ে শিশির। ভেজা বল গ্রিপ করতে সমস্যা হয়। সেই কারণেই ভারতীয় বোলারদের নির্বিষ লেগেছে।
৩) ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা
রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের মধ্যে একজনের ব্যর্থতা অন্যজন ঢেকে দেবেন, এটাই বিশ্বাস ছিল দলের। কিন্তু শাহিন আফ্রিদির বিষাক্ত স্যুইংয়ে দুই তারকাই দ্রুত ডাগ-আউটে ফেরেন। সেই চাপের রেশ ছিল ভারতীয় ব্যাটিংয়ে।
৪) অচেনা প্রতিপক্ষ
শেষবার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৯ বিশ্বকাপে। মাঝে কেটে গিয়েছে দু’বছর। ফলে পাকিস্তান কতটা শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে, তা টেরই পাননি বিরাটরা।
৫) হোমওয়ার্কের অভাব
লড়াই জিততে প্রয়োজন নিখুঁত ও নির্ভুল রণকৌশল। পুরনো ভিডিও ফুটেজ দেখে তৈরি হওয়া উচিত ছিল বিরাটদের। কিন্তু কোচ রবি শাস্ত্রী কতটা হোমওয়ার্কে জোর দিয়েছিলেন, তা নিয়ে রয়েছে সংশয় যথেষ্ট।
৬) ভুবনেশ্বর, সূর্যদের অফ ফর্ম
কথায় বলে, বিনাশকালে বুদ্ধি নাশ। প্রথম এগারো গড়ার ক্ষেত্রে তেমনই একাধিক ভুল ধরা পড়েছে। টি-২০ সার্কিটে অনিয়মিত ভুবনেশ্বরের জায়গায় শার্দূল ঠাকুরকে খেলানো যেত। আইপিএলে ব্যর্থ সূর্যকুমার যাদবও খেললেন। অথচ ছন্দে থাকা ঈষান কিশানে ভরসা ছিল না দলের।
৭) দলের ‘বোঝা’ হার্দিক পান্ডিয়া
টি-টোয়েন্টি হল গতির ক্রিকেট। সেরাটা মেলে ধরতে প্রয়োজন তুখোড় ফিটনেস। যা মাথায় রাখা হয়নি। পিঠের ব্যথায় কাবু হার্দিক বল করছেন না। তিন-চারটি ইনজেকশনও নিতে হয়েছিল কয়েকদিন আগে। ম্যাচে শট নিতে গিয়ে কাঁধে চোটও পেলেন। কেন যে তাঁর উপর এত আস্থা!
৮) ‘কাগুজে বাঘ’ বরুণ চক্রবর্তী
ভারতীয় বোলারদের প্রায় সকলেই যেন এক খুরে মাথা কামানো। স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী বড়ই ওভাররেটেড। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন মাত্র তিনটি ম্যাচ। তার মধ্যে আবার একটি ম্যাচে বল করেননি। শুধু আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখে বরুণকে খেলানো ঠিক হয়নি।
৯) দুর্বল নেতৃত্ব
বিরাট কোহলি বনাম বাবর আজম। ব্যাটসম্যান হিসেবে দু’জনেই তুখোড়। তবে পাক অধিনায়ক টেক্কা দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেনকে। বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ড প্লেসিং এবং দলকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে বাবর সফল।
১০) অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট
মহেন্দ্র সিং ধোনি মাঠে থাকলে যতটা ভয়ঙ্কর, ডাগ-আউটে নয়। মাঠের বাইরে থেকে এমএসডি ফারাক গড়ে দেবেন, এমন আশা করাই অন্যায়। তিনি তো আর খেলবেন না! তাছাড়া দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও প্রকট। বিভিন্ন লবির কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ এবং পারফরম্যান্স।
১১) ছন্দহীন বুমরাহরা
পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি নতুন বলে জ্বলে উঠলেও একেবারেই নিষ্প্রভ দেখাল বুমরাহদের। অহেতুক লেগ সাইডে বল করে গেলেন ভুবি, সামিরা। করে গেলেন শর্ট ডেলিভারি।
১২) অন্য পাকিস্তান
ক্রিকেটারদের জয়ের প্রবল স্পৃহা, চাপের মুখে বুক চিতিয়ে লড়াই করার মানসিকতা-- সত্যিই যেন এ এক অন্য পাকিস্তান। তিন বিভাগেই তারা টেক্কা দিল ভারতকে।