কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
জয়ের জন্য নাইট বাহিনীর প্রয়োজন ছিল মাত্র ১২৭ রান। কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে সাত উইকেট হারাতে হয়েছে কলকাতার দলটিকে। এমনিতেই ডে ম্যাচ। তার উপর ছিল প্রচণ্ড গরম। পিচ মন্থর হওয়ায় বল পড়ে ঠিকমতো ব্যাটে আসছিল না। ফলে স্ট্রোক নিতে গিয়ে শুরু থেকেই সমস্যায় পড়ছিলেন ব্যাটসম্যানরা। মজার ব্যাপার হল, দিল্লির ইনিংসে একটিও ছক্কা দেখা যায়নি। সেদিক থেকে কেকেআর সফল। নারিন, রানারা সাতটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের ভিত গড়েছেন।
শুরুটা খুব খারাপ করেনি শাহরুখ খানের দল। ওপেনার শুভমান গিল ও বেঙ্কটেশ আয়ার ভালোই খেলছিলেন। আচমকাই ললিতের বলে ১৪ রানে বোল্ড হয়ে যান বেঙ্কি। বড় রান করতে ব্যর্থ রাহুল ত্রিপাঠিও (৯)। অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান খাতাই খুলতে পারেননি। তাঁকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও উঠতে শুরু করেছে। পর পর উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার চেষ্টা করেছিল দিল্লি। কিন্তু পাল্টা প্রত্যাঘাতে ঋষভদের পালের হাওয়া কেড়ে নেন নীতীশ রানা। ২৭ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানটি। দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন মূল্যবান ২৯ রান। ১৪তম ওভারে ললিত যাদব একাই ২০ রান ব্যয় করেন। এক ওভার পরে রাবাদাও ২১ রান দেন। এই দু’টি ওভারই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়।
কার্তিকের লড়াই থেমে যায় ১৪ রানে। তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়ে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করেন সুনীল নারিন। মাত্র ১০ বলে তিনি ২১ রান যোগ করেন। বল হাতেও ভেল্কি দেখিয়েছেন ক্যারিবিয়ান স্পিনারটি। ১৮ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন দু’টি উইকেটে। হয়েছেন ম্যাচের সেরাও।
সকাল দেখে সব সময় বোঝা যায় না দিনটা কেমন যাবে। দিল্লির ব্যাটিংও তাই। স্টিভ স্মিথ ও শিখর ধাওয়ান যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হয়নি এত অল্প রানে তাঁরা আটকে যাবেন। ধাওয়ান ২৪ রানে আউট হন। নারিনের শিকার শ্রেয়স আয়ার (১)। স্মিথ ৩৯ রানে আউট হওয়ার পর দিল্লির ব্যাটিং কেঁপে যায়। ১৫ রানের মধ্যে চারটি উইকেট তুলে নিয়ে চাপ বাড়ায় কেকেআর। ঋষভ পন্থ একা কিছুটা লড়াই করে ৩৯ রান করলেও বাকিদের থেকে কোনও সাহায্য পাননি। প্রশংসা প্রাপ্য নাইট রাইডার্সের বোলারদের। উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করেছেন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। ব্যাট হাতে আগেই নজর কেড়েছিলেন বেঙ্কটেশ আয়ার। এবার পার্টটাইম বোলার হিসেবেও তিনি সফল। তুলে নিয়েছেন দু’টি উইকেট। রাসেলের পরিবর্তে নেমে একটি উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদিও। আর এক কিউয়ি পেসার লকি ফার্গুসনও দিল্লির দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন।
আইপিএলের মঞ্চে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর বহু নজির রয়েছে নাইটদের। এবারও যেন তারই প্রতিচ্ছ্ববি দেখা যাচ্ছে। নারিনদের এই দৌড় শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে, সেটাই দেখার!