কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
তরুণ দে: দীর্ঘ ফুটবলজীবনে একাধিকবার ডুরান্ড কাপে প্রতিনিধিত্ব করেছি। এই পর্বে ইস্ট বেঙ্গল দশবার ফাইনালে পৌঁছেছিল। চ্যাম্পিয়ন ৬ বার। ১৯৮৯, ১৯৯০ এবং ১৯৯১ সালে কাপ জিতে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। তিনটি টুর্নামেন্টেই আমি খেলেছিলাম। তবে ডুরান্ড কাপ ঘিরে দারুণ মধুর অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা বলতে পারছি না। একদিক থেকে এই প্রতিযোগিতা আমার কাছে ছিল অনেকটাই আতঙ্কের।
কেরিয়ারের শুরুর দিকে ক্লাব ও অফিস লিগ মিলিয়ে এক মরশুমে প্রায় ৭৫টির বেশি ম্যাচ খেলতে হতো। কলকাতা লিগেই তখন ম্যাচ ছিল ২৬টি। ফলে শরীরের উপর ধকল পড়ত। ডুরান্ড কাপ খেলতে রাজধানী এক্সপ্রেসের চেয়ারকারে দিল্লি যেতাম। ১৫ ঘণ্টা জার্নি করা খুব কষ্টকর। রাতে তাই চেয়ারকারের মেঝেতেই চাদর পেতে শুয়ে পড়তাম। ক্লাবের পক্ষ থেকে ইচ্ছা করেই দিল্লি যাতায়াতের টিকিট একসঙ্গে কাটত। ফেরার টিকিট করা হত ফাইনালের পরদিন। কিন্তু প্রতিযোগিতার মাঝপথে বিদায় নিলে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হতো। ক্লাব তখন আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিট কেটে কলকাতায় ফিরতে বলত। অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফ্লাইটে কলকাতায় ফিরত। তবে আমি সেই দলে নাম লেখাইনি। ফেরার এই ঝামেলা এড়ানোর জন্য ফাইনালে ওঠাই ছিল আমাদের লক্ষ্য।
ইস্ট বেঙ্গল দিল্লিতে থাকত ক্যাসল গেস্ট হাউসে। ওখানে খাবার নিয়ে সমস্যায় পড়তাম। ডাল মাখানি ছিল আমার ঘোরতর অপছন্দের। নর্থ ইন্ডিয়ান ফুড ভালো লাগত না। তাই অনেক সময়ে ভাত, ঘি কিংবা মাখন এবং আলুসিদ্ধ খেতাম। পরবর্তী সময়ে ফুটবল সচিব সুপ্রকাশ গড়গড়ি আমার জন্য মাছ কিনে আনতেন। নিজের হাতেও তা রান্নাও করতেন। কেরিয়ারের শেষ বছর জাতীয় লিগে খেলেছি প্রদীপ ব্যানার্জির কোচিংয়ে। এই প্রতিযোগিতায় ফুটবলারদের পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধা দেওয়া হতো।