উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
এখন প্রশ্ন হল, নাইটরা কি শেষ পর্যন্ত আপামর সমর্থকের পাশাপাশি কিং খানের মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন? বৃহস্পতিবার মরণ-বাঁচন ম্যাচে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমখি হচ্ছে কেকেআর। এই ম্যাচ হারলে শেষ চারে যাওয়ার আশা কার্যত শেষ হয়ে যাবে নাইটদের। তারা ১২টি ম্যাচ খেলে পেয়েছে ১২ পয়েন্ট। অর্থাৎ প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া সিএসকে’কে দুরমুশ করে পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান আরও মজবুত করার দিকেই নজর দেওয়া উচিত নাইটদের।
এই ম্যাচেও শুভমান গিলের সঙ্গে নীতীশ রানা ওপেন করেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। যদিও পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে এই জুটি ক্লিক করেনি। ব্যর্থ হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন রানা। তিন নম্বরে নেমে রাহুল ত্রিপাঠিও হতাশ করেছিলেন। একেবারেই ফর্মে নেই দীনেশ কার্তিক। সেদিক থেকে দেখলে শুভমান গিল কিছুটা হলেও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছেন। তাই মরণ-বাঁচন ম্যাচে আরও দায়িত্ব নিতে হবে গিলকে। অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের এই ম্যাচে উপরের দিকেই ব্যাট করা উচিত। প্রয়োজনে সুনীল নারিনকে ফের ওপেনার হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। তবে সবাই তাকিয়ে আন্দ্রে রাসেলের দিকে। একেবারেই ছন্দে নেই ক্যারিবিয়ান তারকাটি। গত কয়েকটি ম্যাচে তাঁকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। তবে এই ম্যাচে রাসেলকে ফিরিয়ে একটা ঝুঁকি নেওয়া উচিত কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টের।
দুবাইয়ের পিচে রান আছে। তবে স্পিনারদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ‘মিস্ট্রি স্পিনার’ বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে কুলদীপ যাদবকে জুড়ে দিলে মন্দ হবে না। নতুন বলে দলকে নির্ভরতা জোগাতে হবে প্যাট কামিন্সকেই। চেন্নাইয়ের তারকা ব্যাটসম্যান ফাফ ডু’প্লেসির উইকেট শুরুতে তুলে নিতে পারলে কেকেআরের চাপ অনেকটা কমে যাবে। রাসেল দলে ফিরলে লকি ফার্গুসন বাদ পড়তে পারেন।
প্লে-অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। তাই তাঁদের হারানোর কিছু নেই। কিন্তু আসর ছাড়ার আগে অন্তত কিছুটা মর্যাদা উদ্ধারে সিএসকে যে মরিয়া চেষ্টা চালাবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাছাড়া ভবিষ্যতের কথা ভেবে দল নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন মাহি। কারণ, পরের আইপিএলেও তাঁকে অধিনায়ক রাখার কথা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে সিএসকে কর্তৃপক্ষ।