শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মানসিক সমস্যার কারণে অতীতে ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্টিভ হার্মিসন, মার্কাস ট্রেসকোথিক ও গ্রেম ফুলার। সম্প্রতি সেই পথে হেঁটেছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ক্রিকেটার। ম্যাক্সওয়েলদের পরিস্থিতি সম্পর্কে সহানুভূতি প্রকাশ করেন কোহলি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলতে নামার আগে ‘ভিকে’ জানান, তিনি নিজেও একবার এরকম মানসিক অবস্থার শিকার হয়েছিলেন, যখন কোনও কিছুই ঠিকঠাক চলে না। খুবই অসহায় লাগে। তাঁর কথায়, ‘বিশ্ব জুড়ে ক্রিকেটারদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ম্যাক্সওয়েল। মানসিক দিক দিয়ে সেরা জায়গায় না থাকলে কোনও কাজই ঠিকঠাক হয় না। তাই যখন এমন পরিস্থিতি আসে তখন নিজেকে সময় দিতে হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যুক্ত থাকা প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই নিজের মনের কথা খুলে বলার অধিকার থাকা উচিত। আর সেই কারণেই দারুণ কাজ করেছে ম্যাক্সওয়েল। এটা সত্যিই একটা অসাধারণ সিদ্ধান্ত।’
এই প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেছেন বিরাট কোহলি। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরের কথা বলেছেন তিনি। সেই টেস্ট সিরিজে ১০ ইনিংসে ১৩.৪০ গড়ে ১৩৪ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। সেই ব্যাপারে কোহলি বলেন, ‘আমিও এইরকম সমস্যায় পড়েছিলাম। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে কিছুই ভালো লাগছিল না। কেরিয়ারের ওই সময়ে বুঝতে পারছিলাম না আমার ঠিক কী করা উচিত। কার সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলব কিংবা কী বলব সেটাও মাথায় আসছিল না। কীভাবে অন্যদের সঙ্গে সমস্যাটা শেয়ার করব। সত্যি বলতে কি, আমি সেদিন বলতে পারিনি যে, আমার মানসিক অবস্থা ভালো নেই। তাই কয়েকটা ম্যাচ খেলতে চাইছি না। কারণ এটা বললে তা কীভাবে নেওয়া হবে, সেটা জানতাম না। ওই সময় আমি রীতিমতো জর্জরিত ছিলাম।’ এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী? কোহলির জবাব, ‘আমি হাল ছেড়ে দিতে বলছি না। তবে এমন পরিস্থিতিতে নিজের সঙ্গে সময় কাটানো দরকার। খেলা চালিয়ে যাওয়ার অবস্থায় না থাকলে এটা করাই ভালো। আর এই গোটা ব্যাপারটিকে মোটেই নেতিবাচক ভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ এটা যে কোনও পেশায় যুক্ত থাকা লোকের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে।’