নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার সিকিম গভর্নর্স গোল্ড কাপে হিমালয়ান এফসি’কে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল মহমেডান স্পোর্টিং। বিজয়ী দলের হয়ে দু’টি গোলই করেছেন চাংটে। দুই অর্ধেই মহমেডানের প্রাধান্য ছিল। তবে ৬৫ মিনিটে হিমালয়ান এফসি সমতায় ফিরে আসার পর কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিল দীপেন্দু বিশ্বাসের দল। এই সময়ে বিদেশি স্ট্রাইকার কামারার পরিবর্তে সত্যেন শর্মাকে নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। কলকাতা লিগের মাঝপথে সুব্রত ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার পর দীপেন্দু বিশ্বাসকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন সাদা-কালো ব্রিগেডের শীর্ষ আধিকারিকরা। তিনি দায়িত্ব নিয়ে মহমেডানকে কলকাতা লিগ জয়ের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রতিযোগিতাতেই সাফল্য পেলেন দীপেন্দু। এবার নিয়ে তিনবার সিকিম গভর্নর্স গোল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হল মহমেডান (১৯৮০, ২০১৬, ২০১৯)। ২০১৬ সালে দলে ফুটবলারের ভূমিকায় ছিলেন দীপেন্দু। সেমিফাইনালে গোলও করেছিলেন। এদিন প্রায় ৪০ মিনিট খেলা দেখেন বাইচুং ভুটিয়া। এরপর তিনি শিলিগুড়িতে যাওয়ার জন্য পালজোর স্টেডিয়াম ছাড়েন। বাইচুং বলছিলেন,‘জন সমর্থন ছিল হিলালয়ান এফসি’র সঙ্গেই। কিন্তু মহমেডান বেশ গুছিয়ে খেলেছে। চোখ টানল চাংটের গতি।’
দীপেন্দু বললেন,‘এই দলে সাতজন বাঙালি ফুটবলার আছে। ট্রফি জেতার মুহূর্তে এটাই আমাকে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে। চাংটের পাশে দারুণ খেলেছে তীর্থঙ্কর। প্রসেনজিৎ পাল, হীরা মণ্ডল ও প্রিয়ান্ত সিং প্রতিপক্ষের প্রবল জনসমর্থনের মুখে মাঠে দলকে গাইড করেছে। ওদের দুই বিদেশির উইং প্লে চোখ টেনেছিল প্রথম দুটি ম্যাচে। ফাইনালে হীরার পাশে সফিউলও ভালো খেলায় ওই বিদেশিরা ভয়ঙ্কর হতে পারেনি।’ পাঁচ মিনিটে সুজয় দত্তের পাস থেকে চাংটে গতিতে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে গতিতে টপকে প্রথম গোলটি করেন (১-০)। ৬৫ মিনিটে হিয়ালয়ান এফসি সমতায় ফেরে (১-১)। ৭৫ মিনিটে তীর্থঙ্করের ফ্রি-কিকে থেকে বল পেয়ে চমৎকার ভলিতে জয়সূচক গোল করেন চাংটে (২-১)। কলকাতার অপর দুই প্রধান চলতি মরশুমে ট্রফি জিততে পারবে কিনা, তা ভবিয্যতই বলবে। তবে আই লিগের আগে শহরে একটি ট্রফি এল। যা উৎসাহিত করতে পারে দুই প্রধানের স্থানীয় ফুটবলারদের।