কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
এই উপলক্ষ্যে বিশ্বভারতীর পল্লিশিক্ষা ভবনের রথীন্দ্র কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে আসেন কেন্দ্রের নবনির্বাচিত প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে দ্রুত জানাবেন বলেও এদিন সাংবাদিকদের তিনি জানান।
শ্রীনিকেতনে আয়োজিত এদিনের অনুষ্ঠানে সুকান্তবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অস্থায়ী উপাচার্য অরবিন্দ মণ্ডল, আইসিএআর অ্যাটারির ডিরেক্টর প্রদীপ দে, পল্লিশিক্ষা ভবনের অধ্যক্ষ বিনয় কুমার সরেন, রথীন্দ্র কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান সুব্রত মণ্ডল সহ অন্যান্যরা। এদিন, মূলত খরিফ শস্য উৎপাদনের জন্য কিস্তি প্রদান করা হয়। এতে উপকৃত হলেন বীরভূম জেলার ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৯৯ জন কৃষক। পাশাপাশি, কৃষি, গো-পালন, মৎস্য চাষ, পশু পালন প্রভৃতি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য এদিন বীরভূমের ১০ জন কৃষককে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্তবাবু।
বিশ্বভারতীর বর্তমান অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বভারতী ভালোভাবে চলছে না। বারবার হোঁচট খাচ্ছে। এই নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। সেই সমস্যাটা কোথায়, সেটাও আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বভারতীর পরে প্রতিষ্ঠা হয়েও অনেক কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের থেকে এগিয়ে গিয়েছে। এটা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। বিশেষত, বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে। কারণ, বিজ্ঞান ক্ষেত্রে উন্নতি হলে বিদেশ থেকে অনেক পেটেন্ট আসবে। এরপর বিতর্কিত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে বলেন, উপাচার্যের পদে আমরা সব সময় সেরা শিক্ষাবিদ নিয়োগ করতে চেষ্টা করি। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যেমন সবসময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফল হয় না। মানুষের ক্ষেত্রেও তাই। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চাইব এমন একজন উপাচার্য আসুন, যিনি বিশ্বভারতীকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। পাশাপাশি রবীন্দ্র অনুরাগী হবেন। দিল্লি পৌঁছে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের এই বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে জানাব।